অরুণকুমার
দাস
ভে না
স ব র্গী য়
------------------------
#১
চৌষট্টি আলোর কান্না
দেয়ালে টানিয়ে
একটি ম্যাটিনি শো, আর
একটি প্রজাপতি
অস্বীকৃত ডানায় উড়ে উড়ে
ভূগোলের পৃষ্টায়
অনঙ্গ
চারজন সৈনিক
দেশপ্রেম
মাইলস্টোন যেখানেই থাক
আকাশ আছে আকাশেই
#২
আক্রান্ত চাঁদ, সমস্ত
দেয়াল মুছেহাতঘড়ি ঝুলিয়ে দাও, সিম্ফনির জাদুকর
গোটা পাহাড়টা এপিটাফ
মোজার্ট অক্লান্ত
শতনামের মতন কিছু কিছু
নাম কখনও ভুলিনা
আগামী শীতের জন্য
ক্যালরি গুছিয়ে
গার্হস্থ্য পাখিরা হঠাৎ
বিকিনিতে অভ্যস্ত
কিছু মানুষ সিনেমাহলের
বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে
#৩
নদীর শীতকালে বাতাসের
ফানুশ পাললিক বারান্দায় মুখোমুখি চেয়ার
পাশের কারাকোরাম একমনে
আকোরিয়াম
তৃতীয় পক্ষের চাঁদ নিয়ে
পৃথিবী একা একা দরাজা বন্ধ
শীরদাঁড়াহীন মাছ
প্যানকার্ডে ছেপেছে মৌচাক
সচল স্কোর বোর্ড
বৃষ্টিশূন্য এই বর্ষায়
নদীনামের সম্পর্কের দীর্ঘ টাই ঝুলছে
#৪
গতকাল সন্ধ্যায় শহরে
একদল মোম
উলঙ্গ হতে হতে চলেগেল
শহীদমিনারের দিকে
আমার বেতের চেয়ার কয়েকটা
পেয়েছে
ছুড়ে দেয়া বটফলের মতন
চুম্বন
রিহার্ছাল অল্পই
দৃশ্যের বালিকারা
পেঙ্গুইন
বরফ জমিয়ে সাদা অঞ্চলটায়
রাত ন'টা
পঁচিশ
সূর্যাস্ত হয়নি--
শহরে শুক্লপক্ষের চুমু
এবং ভাগশেষের মতন চাঁদ
খানিকটা শীতকাল
প্রশ্নাতীত
#৫
কুশপুতুল পুড়ে যায়
শ্লোগানের ভেতর
কয়েকটি হাত-মুঠ উঠছে
নামছে
পতাকার বার্ধ্যক্যজনিত
সংগ্রাম
কোপারনিকাস গ্রহণ
খানিক পরে উর্দিবৃষ্টি
হবে
পাহাড়ে
সমতলের বন্যায় অল্পই
বৃষ্টি ছিল
কেউ জাদুকর নয়
গনতন্ত্রের পুত্রকন্নারা
হার্বাল সাবান কেনে
রিহার্সালে যায় নতুন
পুরোনো জিনস পরে
#৬
মাথা বেচে চলে যাব
এইপাড়ায় সোনাবৌদির
মন্দির
ভুলকরে গঙ্গাজলের বোতল
ফেলে এসেছি
পা বাড়াও
প্রনাম ছুঁয়েযাক শহর
শহরে শীতকাল
বোধনের আগের সংগমে
মেতেছে ধানক্ষেত
বুকে পা রাখ দেবী
দেবাদিদেব হব---
#৭
কষ্ট ছিড়ে
বলপয়েন্ট পেনের কালিতে
শেষ পর্যন্ত
বাতিস্তম্ভটা দেখাদিল
আর্শীনগরে
আমার বন্ধুর স্ত্রীর
বিউটি বোনের আড়ালে
খুব ধারালো ছুরিটা
লুকোনো
কথার অষ্টাবক্রতা দোষে
আমার বন্ধু চোর প্রায়
আমি তার ব্যবসা দেখাশোনা
করতে
চাঁদে বসবাস করছি
#৮
বারান্দার পাশেই সাঁকো
মহাশূন্যে যাবার এই
প্রকল্প প্রপিতামহের বাবার সমসাময়িক
পাশের দেয়ালে অর্ধসমাপ্ত
বাঘমুখ
গভীর নিদ্রার মূদ্রায়
আস্ফালনটি ঠিক তার পাশে
শিশুহরিনের
ঝাপসা হয়ে আসা ঘাস এখনো
রক্তে মাখামাখি---
#৯
পাঠ্যক্রমের বাইরে উড়ছে
ছেলান ঋতুকাল
কলিংবেল অপ্রস্তুত,দাঁড়ান
এখনি পৃষ্টা ওল্টাবেন না
মৌসম ভবনের দেয়ালউল্কীতে
শুধু মেঘ
মেঘের অভয় মূদ্রা
জুলাই পার করে ভাবনারা
সুন্দরী
সমকামী বটের ছায়ায় রোদ
আর জলের দীর্ঘ প্রেমালাপ
একজন চেটেপুটে নিঃশেষ
করতে চেয়ে
তীর্যক তাকায়
একজন গড়িয়ে যাবার ছলে
উলঙ্গ হচ্ছে
#১০
মাথা ভর্তি মেঘফুল
জমজমাট ঋতুকাল
বলিনি কদমের ডালে অযোনি
সংকেত
এইভালো
ভালোকরে পাখি হোক দিন, নির্জনে
যতটা পারি মৃতমাছের
প্রাণ অনুবাদ করে রাখি
#১১
তোমার দিকে তাকিয়ে
প্রাঙ্গণের গোলাপ কখন
গোলাপী হল?
বলো মন ডানায় ঢেকেছে
আকাশ সূর্যদেবোতার প্রবেশ কোথায় রাখি?
#১২
চোখ বন্ধ করলে
মোন দরজা খুলে বারান্দায়
এশে দাঁড়ায়
ঝর্ণার পাশটিতে বসে, শরীরহীন
বসবাসটি
ঘিরে রচিত শূন্যকাল
ছায়ার অথর্ব যাপন
এর আগের মার্গ দর্শন করে
আসি
চল---
#১৩
তোলপাড় ঢেউ
রক্ষাকবচ পরোনি আজ?
আকাশের অসিম ডাকাডাকি
উপেক্ষা করে
বুকের ভেতরে ঢুকেপড়ি
জিবাষ্মের কাছে পড়েথাকা
আলবাম
একলা, অনাদরের ধুলোয় মলিন
দেখলাম জাহাজ চলেগেছে
সমূদ্রের ডাকে
একলা আমি বুকপকেটের
টিকিট হাতে নিয়ে
বার বার উলটে পালটে
দেখি-
#১৪
মনের মধ্যের টেবিলটা
জ্যামিতিক
ষড়ভূজ!
প্রত্যেক বাহু থেকে
বেরোনো আঙুল
ছাদ ফুঁড়ে আকাশ ছোঁয়
কক্ষপথে মানবিক মৌমাছি
কল্পনা চাওলা
ভাবো আপেলটা কোনদিকে--
#১৫
ব্যক্তিগত আগুনের পাশে
ইহকাল
আগুন উস্কে গায়ে টানি
গলাপর্যন্ত
এখন আর নেই
শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা
মূখাগ্নী অসমাপ্ত রেখে
ঝম ঝম অকাল বৃষ্টি
বৃষ্টিতে ছাতামাথায় ইভ
হেঁটে বেড়ায়
আপেল বাগানের লনে---
০