মঙ্গলবার, ২১ মার্চ, ২০১৭

বিশ্বজিৎ দাস




বিশ্বজিৎ দাস

বসন্তবালা
পোজ দিয়ে ছবি তুললে এই বসন্তেই
বসন সরিয়ে মৃদু হাওয়া ছড়িয়ে
হৃদয়ে সাপের মতো করে ভেবেও তো
পাইনি গন্ধ কোনোদিন, বসন্তবালা গো

তোমাকে আমিও রাখি তাই সারারাত
আমার হারানো গানে, মনে মনে সুর তুলি
কি এক প্রকাশ্য কলে, রিংটোন বাজে
অথচ তুমি দাঁড়িয়ে তেমনই প্রস্তর
মূর্তিরা যে ভাবে কথা বলে, হৃদয়হীন!



বাতাসে আর্দ্রতা খুব বেশি হলে জেনো
তোমাকে জলীয় বাস্পে অনুভব করি
তোমার গায়ের ঘামে লিখে রাখি সুখ
লোকে বলে আজব তো বটে! মার্ভেলাস!

আমিও অস্থির হই ঝরা পাতা ওড়ে
তোমার নাকফুলে আলো পড়ে আকাশের
প্রিয়, হলুদ রঙের কাছে বিরহ ঐ...



হাত ছেড়ে দিয়ে তুমি যতদূর গেলে
বাসন্তি শাড়িতে তত প্রবণতা রেখে
কষ্ট পেয়েছো তুমিও, আমি জানি আরো
ব্যস্ত শহর পেরিয়ে শিমুল পারুল
হয়ে আর হয়না থাকা, ব্যক্তিগত পথে
তুমিও একলা, পড়শি সে তোমার মুখবন্ধ...

এসিতে পাখাতে ক্রিমে চলে অহরহ
ঢাকাঢাকি! চাপাচাপি! ফ্রিজে আস্ফালন!
নতুন পাতা কোথায়, ঝিরিঝিরি স্নান
বসন্তবালা, হারিয়ে গেছো বুঝি ফ্ল্যাটে
আয়োজন করে ওরা, গেটটুগেদার!



ফুটপাতে খুলে দিও বন নূপুর
রোদচশমা পরে ছায়ার অদৃশ্য ম্যাজিকে
ভেঙে নিও আত্মহত্যা! ওরা বসন্তের
কিছুই বোঝে না, খিদে পেলে মা মা বলে...

পিছন ফিরে তুমিও দেখো, আহা! বৃষ্টি
চোখে ন্যাংটো শিশু, ও সুইট কি মধুর!
আই ফিল বিষণ্ণতা, খালি খালি লাগে
এক মুঠো রোদ্দুর...



কচি পাতাদের ইস্কুলে তুমি ম্যাডাম সুমি
বাসে ট্রামে দম বন্ধ লাগে যে তোমার
ছাঁদে টবে ফুটে ওঠো, খুশির মেঘেই
তোমাকে লালচে দেখায়, জানো আমি শুনি
তোমার গলায় ফুটছে বেদনার ফুল...

আমি তাই এখনো কি অজান্তে বুনেছি
সব ফেলে চলে যাওয়া এ পদচিহ্ন...
তোমাকে পাবো না বলেই ব্যথাটুকুই

সঙ্গী আমার, যাবো ঐ ঋতুস্রাবের দেশে...