সুকুমার চৌধুরী
সম্পর্ক
ভয় মুল্য
পায় । তবু প্রদাহবিহীন এই স্পর্শগুলি
রয়ে যায়
। সন্তর্পনে তাদের আবহগুলি কাজ করে
যায় ।
কেউ বুঝতে পারে না ।
আমরাও
পরম্পর ছুঁয়ে থাকি । কোন উত্তরণ হয না ।
আঙুলগুলি
ছোঢৌ হয়ে আসে । ম্পর্শগুলি ক্ষীণ ।
ছুঁয়ে
থাকি । ছুঁয়ে ছুঁয়ে থাকি । একাত্ম হওয়ার
কথা
ভাবতে পারি না
পরিত্রান
তুলে ধরি
যাপন । অন্য কোন পরিত্রান নেই ।
সাম্যতা
কি কোনদিন হয় । হয়েছিল । দাঁতে দাঁতে চেপে
সংসার
নামের এক অজর মানবী চেয়েছিল নিরুদ্বেগ ।
তার দুধে
ভাতে আজ মাছি হয়ে বসি । চেটে চেটে
তুলি
পরিত্রান । যাপনের মেধ ও মল্লার ।
আর কোন
শিল্প নেই । কোন স্বেদ গান
নীল
আহত হই ।
আহত হোতে থাকি ।
আর কিছু
দিয়েছে কি সংবেদন ?
এত যে
আঘাত এত ক্ষত ।
এত যে
আঘাত এত নুন ।
থিতানো
বারুদগুলি ভিজে ওঠে
স্ফুলিঙ্গবিহীন
।
শুধু
একটি অঙ্গার গন্ধ
ধরে রাখে
শীর্ণ অভিমান ।
এইসব অভিমান
থেকে কোন যুদ্ধ নেই ।
যুদ্ধবিহীন
কোন উত্তরণ এখনো সুদুর ।
বাতাসে
ছড়িয়ে যায় বিষ ।
আকাশে
ছড়িয়ে যায় অভিমান ।
সমূহ
যাপন জুড়ে
সংবেদের
নীল ।
আহত হই
আহত হতে
থাকি
অনর্গল
মুছে যাও
। যেন ক্লাসবুক, এ রকম ব্যপ্ত চরাচর ।
ইরেজার
ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে তুমি শান্ত করো
সভ্যতার
তাবৎ ম্যাডাম ।
ভয় পাও ।
শান্ত হয়ে আসে দিগ্বিদিক ।
তর্জনীর
ধারে আর ভ্রুকুটির গন্ধ নয় । অবসন্ন ক্ষমা ।
মুছে যাও
। মুছে যেতে যেতে দৃষ্টি উড়িয়ে দাও ।
আর জেগে
ওঠে বোধ । বোধের গোপন বিশ্ব ।
গূঢ় ।
অনর্গল ।
আমার
গোপন কোন বিশ্ব নেই । আমি ওই
মুছে
যাওয়া দেখে ফিরে আসি । ফিরে ফিরে আসি
গভীরতা
গভীরে
গভীরে গেলে অসন্তোষ, নিগূঢ় সন্ন্যাস
গভীরে
গভীরে গেলে ভয়ঙ্কর বীক্ষণের আাঁচ
সমুদ্রে
ভেসেছে উই, ক্রুদ্ধ চাপা উই
তবে কি
আকাশ ভালো, তিন কাঠা নিরুত্তাপ ভুঁই
ডাকযোগ
অনুচ্চারটুকু
বুঝি । হঠাৎ বৃষ্টির তোড়ে
ডাকটিকিটহীন
কাউন্টারের সজল শূন্যতা্টুকু বুঝি ।
বুঝি রাত
। পোষ্টাফিসের ঘুম । নিরবতাটুকু ।
খাম ও
টিকিটের মতো উড়ে উড়ে নামি । বেপথু পাতার
মতো নামি
। নিভৃতি-পাগল । আমাদের
বৃষ্টিভয়
অনিবার্য ছিলো ।
আজ এই
দুর্যোগের রাতে
অফিসফেরৎ
একটু
আঁঠার জন্য, খাম ও টিকেট
দু-জনেই
বাড়িয়ে দিয়েছি হাত
অঝোরধারায়