মামনি
দত্ত
বসন্তরাগ
----------------
গানের শেষে যে আবহ রয়ে গেছে
সেখান থেকেই ডানা মেলেছে সদ্যফোঁটা দুঃখ গুলো...
প্রজাপতির মতন রঙিন আগুন নেই ওদের
যেটুকু আছে তার
সমস্তটাই ছাই।
হাওয়ার দিক নির্দেশকারী কে আমি কোনদিন দেখিনি
দুঃখ হারিয়ে যাওয়ার আগে
বুকের অন্ধকারে লিখে রাখি বসন্তবাহার।
শূন্যপথ
---------------
হে মহাকাশ!
আমাকেও শূন্য করো তোমার উদারতায়
কত চৈত্র কেটে গেলো
অসম্ভব অসহয়তায়!
সন্ধানী
চোখ
--------------
ছোটবেলায় আকাশ দেখতাম
অসংখ্য তারার ভেতর
একটি দুটি তারা জ্বলজ্বল করছে...
আজও আকাশ দেখি
উজ্জ্বল তারা সেই একটি দুটি...
মিটিমিটি হাসছে।
অসংখ্য তারাগুলো আর দেখিনা আকাশ ঘেঁটে
বুঝতে পারি সবই আমাদের তৈরি আবহাওয়াগত দোষ।
সাথী ও
অন্তরঙ্গতা
---------------
ঋতু বুনতে বসলে
অসংলগ্ন হয়ে যায় দিনমাস...
পর্ণমোচী বেলায় জলের উপর খেলা করে ফাগুন
আর আগুনের ধার বুক কেটে
চোখে এসে থামে...
আহ! অপরূপ বিরহ জানে তার নিজস্ব চলনধর্ম...
হা ঈশ্বর! উদাসী
হাওয়া পাঠাও চৈত্রপূর্ণিমা হরিণের পায়ে এঁকে
আমিও সাথী হব ভাঙা চাঁদের সমস্ত ব্যক্তিগত দুখে।
আলাপন
----------------
- এই তীব্র দাবদাহে তুই আজও স্বপ্ন বুনিস বৃষ্টি?
- বাহ রে! আমায় যে ডাকে মুকুলের ছন্দ...জানি, এ সর্বনাশ! অনুপম দ্বন্দ্ব...
- মুকুল? তুই শুধু ওই একটি ডাকেরই প্রতীক্ষাকারী?
- আর কে ডাকবে আমায় বল? সবাই বলে, আমি তো ছলনাময়ী নারী।
- সবার কথা শুনিস,
একটিবার শুনেছিস কি
আমার হৃদয়ের নোনা বিষণ্ণতা?
- বিষণ্ণতা? সে তো সহস্র বিষাদ গান, আমি শান্ত থাকি। রোজ
ভিজি... আপ্রাণ...
- বৃষ্টি, এই বৃষ্টি... একটিবার আমার স্রোতে আয়, বিক্ষত মন নিভিয়ে দেব জলের নিজস্বতায়।