মোহাম্মদ
আন্ওয়ারুল কবীর
আকাশ
মেঘের ওপাশে উড়ে যেতেই সে দেয় লাফ
আমার আর আকাশ ছোঁয়া হলো না -
আকাশ কি তবে আরো দূরে,
ছেয়ে থাকে আরশ
আমার আর আকাশ ছোঁয়া হলো না -
আকাশ কি তবে আরো দূরে,
ছেয়ে থাকে আরশ
হাবলে চোখ রেখে আজো আমি আকাশ দেখি
বড় সাধ জাগে একবার ঢুকে পড়ি -
বড় সাধ জাগে একবার ঢুকে পড়ি -
ত্রিকালজ্ঞ তিনিও কি আমারি মতোন আকাশকাতর
হাতড়ে বেড়ান অধরাশরীর!
হাতড়ে বেড়ান অধরাশরীর!
কনফেসন
কালিঘাটের সন্ন্যাসী বুড়োটার কথামৃত,
'শুধু আমি, আমি, আমি ... আমিটা ছাড় এবার,
অমৃতের স্বাদ পাবি।'
'শুধু আমি, আমি, আমি ... আমিটা ছাড় এবার,
অমৃতের স্বাদ পাবি।'
ঢেউয়ের পর ঢেউ ভেঙ্গে গেছে,
অস্তাচলে আমার আকাশ
অস্তাচলে আমার আকাশ
ইগোর আরশে আজো বসে আছি
গরলে ঠোঁট রেখেই ভাঙ্গছি সময় ...
গুরু, ধৃষ্টতা ক্ষমা করো, তোমাকেই শোনাই-
অমৃতের স্বাদ পেয়ে গেলে জীবন থেমে যায়।
আত্মারও
ভূমিকম্প
হাসির পিঠে সওয়ার হয়ে দেখেছি
কান্নাও সাথে চলে
ভেতরে বসে থাকা গুরু বলে ওঠে,
সময়ে সবকিছু্ একাকার
সাকার নিরাকার হয়ে যায়
কিংবা নিরাকার সাকার -
কান্নাও সাথে চলে
ভেতরে বসে থাকা গুরু বলে ওঠে,
সময়ে সবকিছু্ একাকার
সাকার নিরাকার হয়ে যায়
কিংবা নিরাকার সাকার -
আত্মারও ভূমিকম্প হয়
মূমুর্ষের চোখে চোখ রেখে বুঝে ফেলি।
মূমুর্ষের চোখে চোখ রেখে বুঝে ফেলি।
হু এম আই?
আগুনের কাছে প্রশ্ন করেছিলাম,
আগুন জানে না সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ বলে,
'অবান্তর প্রশ্ন, যতোদিন আছো আনন্দে দোলো'
পাখিরা সুর তোলে শীস দেয়.
'যতোক্ষণ শ্বাস ততোক্ষণ আশ'
মানুষ বলেই হয়তো বা সক্রেটিসের পথে হাঁটা!
আগুন জানে না সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ বলে,
'অবান্তর প্রশ্ন, যতোদিন আছো আনন্দে দোলো'
পাখিরা সুর তোলে শীস দেয়.
'যতোক্ষণ শ্বাস ততোক্ষণ আশ'
মানুষ বলেই হয়তো বা সক্রেটিসের পথে হাঁটা!
গোখরো
খেয়ে চলে
কৌশলে পরাভূত, হয়ে যাই কুক্ষিগত
প্রভুর পদতলে স্বর্গ হাতড়াই
প্রভুর পদতলে স্বর্গ হাতড়াই
আমি ক্লায়েন্ট, তুমি কর্পোরেট
টিকেট কেটে প্রমোদে ঢুকি-
টিকেট কেটে প্রমোদে ঢুকি-
গোখরো খেয়ে চলে জোছনার আলো।