সৈয়দ ওয়ালী
ঝোঁক টা
এমনিতেও ওইসব অজ্ঞেয় লোভন সিঁড়ি কেন যেন টানেনি আমাকে,
বউকথিত-ব্যর্থতা, লোককথিত-খাস কিছু হতে না পারার হয়তো,
এটিও একটি মুখ্য হেতু; শেলফের বইগুলোই হয়তো হল্লার মুল,
আদিম হোতা; মাথা নিয়ে সমস্যায় পড়েছি এমন কোন স্মৃতি নেই,
শালার রুচিই বাধিয়েছে নটখট বরাবর;
ঝোঁকটা খুঁতি কে ঘিরে কেন যে গড়ে ওঠেনি, কেন যে বুর্জোয়া বিলাসের জেল্লা
মুগ্ধ করেনি, মধ্য বয়সের এসব প্রশ্নও গুরুত্ব ছড়াচ্ছে আজ হোঁচটে হোঁচটে;
মুগ্ধ করেনি, মধ্য বয়সের এসব প্রশ্নও গুরুত্ব ছড়াচ্ছে আজ হোঁচটে হোঁচটে;
তবে কি আগে থেকেই
সবকিছু
ভেবে রেখেছে, গড়ে রেখেছে কেউ?
সবকিছু
ভেবে রেখেছে, গড়ে রেখেছে কেউ?
ঝোঁক টা কোথায় ছিল তবে এতোকাল,
জলের কাছে ধুলোর কাছে কে যেন প্রশ্ন করে আজকাল এই নিয়ে খুব...।
...
সুতরাং
মুশকিল হচ্ছে যে আপনি চিৎকার না করা বা না কহা পর্যন্ত
দুধ তো দূরের কথা ন্যূনত পানিটুকু পাবেন না
কেউ জানতেই পারবে না যে
এই সংসারে, নাট্যমঞ্চে, আপনিও চরিত্র এক,ছিলেন
শুধু পানি নয়, দুধ ও মধুর প্রয়োজন, আপনারও ছিল
ছিল কিছু শাণিত, পুরাকাল-অজ্ঞাত মিহি-সংলাপ;
মুশকিল হচ্ছে যে আপনি চিৎকার না করা বা না কহা পর্যন্ত
চেয়ার তো দূরের কথা ন্যূনত মাটিটুকু পাবেন না কোথাও,
দাঁড়াবার
দাঁড়াবার
কেউ জানতেই পারবে না যে
নাট্যের কোন এক অধ্যায় আপনি বিনা পূর্ণই ছিল না
স্বর ও সুরের ভেদসহ, গম্য অগম্য কিছু ভাবী-ভাব, আপনার ঝুলিতেও
জ্বলজ্বল করছিল
যা ফেলনা ছিলনা কোন অর্থেই;
সুতরাং
চিৎকার এবং কহার যে কোন একটি,
কিংবা উভয়ই
কিংবা উভয়ই
টেকার স্বার্থে উদ্বায়ী, ধ্রুব।
...
জল ব্যাকরণ
না জেনেই জল ব্যাকরণ
কেন ভিজি, কেন করি নিরন্তর জলকেলি?
না জেনেই পূর্বাপর
কেন এতো, সঙ্গে রাখি সুঁইসুতো,
পিরিতের নক্সা যোগে বুনি কাঁথা?
পিরিতের নক্সা যোগে বুনি কাঁথা?
না জেনেই পূর্বাপর
কেন এতো, কান্না গাঁথি হাস্যছলে,
অজ্ঞাত অন্ধকারে ফুরিয়ে যেতে?
অজ্ঞাত অন্ধকারে ফুরিয়ে যেতে?
না জেনেই জল ব্যাকরণ
অবোধ মানুষ, কেনরে ভাস এমন বেনোজলে...?
...
অধুনা দোলক
দরজাটা খুলুন; ভয় নেই; আমরা মানুষ;
শ্বাপদেরা শিকারে বেরিয়েছে; আপাতত ফিরবে না।
শঙ্কায় কম্পিত, বিমূঢ় হরিণী ভেবেই চলেছে,
দরজার ওপাশ থেকে কাহারা, জানাচ্ছে আহ্বান?
তাহারা মানুষতো, নাকি আলোকিত ভাণ?
ক্রমাগত আসছেই ভেসে অজানা ওপাশ থেকে
কুহেলী আহ্বান;-
‘দরজাটা খুলুন; ভয় নেই; আমরা মানুষ।‘
জর্জর, তুলিত হরিণী শঙ্কিত, দিশাহারা;
অজ্ঞাতে বিশ্বাস তার, অধুনা দোলক; কাঁপছে, ঘরের বাতাসে...।
…
প্রসাধনপেটিকা
মুখোশটা খুলে রাখলেই
ভাল করতে,
অভিসারটা আকাশ কে ছুঁতে পারত,
কিংবা পৌছুতে পারত প্রাপ্তির আত্মায়;
আমিতো তোমার দখলেই থাকি,
যতটা দখলে থাকে তোমার, প্রসাধনপেটিকা;
তবুও কেন যে, আতংকে ভোগ!
নৌকো জলেই ভাসে
অথচ কুমিরের মত প্রাণীরা উভচর; পাহাড়ের বন্ধু
শুধুই যে মেঘ, এ তথ্য ঈগলের কাছে পিঁপড়ের কাছে, থাকে।
পথিকও পথে নামবেই, পাথর যেভাবে ধুলো হবে, হয়, জলের সঙ্গম আর
শোকে।
…