তৈমুর খান
উৎসব
_______
সিংহরা ঘুরে
বেড়াচ্ছে
আমাদের বিষণ্ণ হরিণের পাশে
আমরা দুর্বহ
আলোকে মুখ ঢেকে আছি
আজ কোনো
প্রতিবাদ নেই
উৎসবে
হিংস্র আকাঙ্ক্ষাদের
জয় ঘোষণা
শুধু
অরণ্যসমাজের
চাঁদ হাসছে আকাশে
কল্পিত ঈশ্বর
_________
রাতের বাজনা
বেজে উঠলেই
জেগে ওঠে আমাদের
কল্পিত ঈশ্বর
মানুষের
অশ্রুফুলে ঝিকিমিকি রাত
মানুষের
রক্তে রাঙা পূজার গোলাপ
সমস্ত বিষাদ
চিরে যদিও ওঠে চাঁদ
চাঁদের
ঘুঙুর নেই , জ্যোৎস্নায় ঝরে আর্তনাদ...
বিবাহের মঞ্চ হয়ে উঠেছে সকাল
______________________________
আলোর
ঘোড়াগুলি লাফাচ্ছে না আর
আমাদের
নাটকের মাঝখানে শুয়ে আছে
কেউ এসে উলু
দিচ্ছে ,
লাল চেলি মাথায়
বিবাহের
মঞ্চ হয়ে উঠেছে সকাল
এইটুকু সময়
মাত্র,
অকাল্পনিক হয়ে উঠি
যদিও পোশাক
আছে আমাদের
সামন্ততান্ত্রিক
যুগ পার হয়ে এসেছি
পেছনে পড়ে
আছে ইতিহাসের ধ্বংস কলোনি
লম্বা মিহি
গলা ঘোড়াদের
প্রত্নভাষার
অক্ষরে ছড়ানো তাদের হ্রেষা
করুণ বৃহৎ
চোখে নেমেছে আকাশ
অনেক দূরত্ব
আমাদের
পরকাল ইহকাল
বিমুগ্ধ বিস্ময়
আয়নাওয়ালা
_____________
অশ্রুপথে
হেঁটে যাচ্ছে আয়নাওয়ালা
আমরা মুখ
দেখে নিচ্ছি
আমাদের
মুখের হাসি , চোখের হাসি
বর্ণনা
দিচ্ছে
বর্ণনায় চমক আছে, গমক আছে
সাধু সাধু
আয়নাওয়ালা
বাল্যকালের নদী বেয়ে
আস্ফালনের
ভেতর দিয়ে হেঁটে আসছে
নীরব স্রোতে
সময়ের
বিলাসী ময়ূর নাচছে একা
তার পায়ের
ঘুঙুরগুলি হারিয়ে যাচ্ছে
দু একটি
কুড়িয়ে পেয়ে
আমরা সবাই
নস্টালজিক আহ্লাদে
দ্রুত হচ্ছি
ভাসিয়ে
দিচ্ছি বসত বাড়ি
মেয়ের উঠোন , ঘূর্ণিপাখির কিচিরমিচির
আমরা সবাই
জলের কাছে ঝুঁকে যাচ্ছি
নির্জন এক
পিপাসায়
মরসুমি বাগান
_____________
ধানক্ষেতের
পাশে শব্দগুচ্ছ
আজ বেশ মাছ
হয়ে যায়
কানকো তুলে
হলুদ ছায়ায়
লুকিয়ে রাখি
কৌতূহল
আড়পাখিদের
শান্ত চাউনি
যদিও দ্যাখে
বাল্যকাল
খেলার ঘরে
মেঘ ঢুকছে
বৃষ্টি করছে
কোলাহল
সমস্ত কিছুই
চন্নমধু
কুসুমিতার
গোল্লাছুট
যেদিক ইচ্ছে
ছুটছে মাঠ
মাঠে মাঠে
জ্যোৎস্নাবন
নতুন পাখি
উড়িয়ে দিচ্ছি
কী সুন্দর
নরম ঠোঁট
ধানগাছের
বিকেলে তার
ঝরে পড়ছে
জলীয় সুর