কবিতা উৎসব সাক্ষাৎকার ভাদ্র ১৪২৩
কবিতা উৎসব: কবিতা উৎসবের
পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগত। ‘কবিতা আর বাঙালি: বাঙালি আর উৎসব’ এ যেন এতটাই স্বত:সিদ্ধ যে, এই
নিয়ে কোন সংশয়ের অবকাশই থাকে না। আমরা কবিতা লিখতে ভালোবাসি। কবিতা পড়তে ভালোবাসি।
কবিতায় থাকতে ভালোবাসি। আর কবিতা নিয়ে উৎসব তো আমাদের বারোমাস্যা। তাই কবিতা নিয়ে
বাঙালির এই উৎসবকেই আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ মাসিক কবিতা উৎসব, শুধুমাত্র কবিতার জন্যে কবিদের মাসিক পত্র। বাংলার জনজীবনে
কবিতার এই যে একটা বিপুল প্রভাব এই বিষয়টি আপনাকে কি ভাবে প্রভাবিত করে। এবং আপনার
কবিসত্ত্বার গড়ে ওঠার পেছনে এই প্রভাব কতটা ক্রিয়াশীল ছিল বলে মনে করেন আপনি?
নন্দিতা: কবিতার একটি নিজস্ব আঙ্গিনা আছে এটা ভাবলেই অনেকখানি স্বাধীন হয়ে ওঠে মন। কবির দুটি
ডানা জন্মায় । বিস্তীর্ণ পারাবারে কবিতা আপন গতিতে
চলাফেরা করছে এত কেবল বাঙ্গালীর দ্বারাই সম্ভব।
এ সময় এই অকাজ না করে দু পয়সা আয় করলে তো দিব্য গায়ে গতরে গজিয়ে ওঠা যেত ।
বাঙ্গালীকে উপহাস করে বলেছিলেন বিখ্যাত এক বনিক মাননীয় , বাঙ্গালী করবে ব্যবসা
তাহলে আর রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইবে কে ? আমি বলি তাহলে আর কবিতা লিখবে কে ? কেউ কেউ
আবার উপহাস করে বলেন বড্ড বেশী লেখা হচ্ছে কবিতা । প্রত্যেকটি জাতিসত্বা নিজের ভাবধারায় চলে। এই গড়ে ওঠার পেছনে থাকে দীর্ঘ ইতিহাস । বাঙ্গালীর
ইতিহাস তাকে কবিতা লিখতে শিখিয়েছে । কিশোরবেলা থেকে কবিতা লেখেনি তেমন বাঙ্গালী
কোথায় ! কবিতায় তার প্রথম প্রেম জানায়নি কিম্বা প্রথম প্রেমের চিঠিই একটি কবিতা
হয়ে ওঠেনি তাই বা কে বলতে পারে । কবিতা আমার কাছেও তেমনি অমোঘ টানেই এসেছে।
কবিতা উৎসব: কিন্তু বাঙালির প্রতিদিনের
জীবনে কাব্যসাহিত্যের ঐতিহ্য কতটা প্রাসঙ্গিক কতটা হুজুগ সর্বস্ব বলে আপনি মনে
করেন? অর্থাৎ জানতে চাইছি জাতি হিসেবে
সাহিত্যের সাথে আমাদের আত্মিক যোগ কতটা গভীর। নাকি আসলেই এটি একটি সামাজিক হুজুগ,
সামাজিক পরিচিতি লাভের সহজ একটি উপায় হিসাবে।
নন্দিতা: এই যুগ
তো আত্মকেন্দ্রিকতার যুগ । এ যুগেও যারা কবিতা আঁকড়ে পড়ে আছে বা একটি লিটিল
ম্যাগাজিনকে নিয়ে প্রাণপাত করছে তাদের হুজুগে বলতে পারিনা । সাহিত্যে কি সামাজিক পরিচিতি খুব সহজে আসে ?
একজন কবিকে প্রতিষ্ঠা পেতে জীবন কেটে যায় । আমৃত্যু যশদেবীর সাক্ষাৎ মেলে না ।
কবিতা উৎসব: কাব্যচর্চা বলতে আপনি কি শিল্পসাহিত্যের জন্যেই
কাব্যচর্চায় বিশ্বাসী? না কি মনে করেন কবিতারও একটা
সামাজিক দায়বদ্ধতাও আছে? বাংলাদেশের কাব্যচর্চার
প্রেক্ষিতে যদি বিষয়টি একটু আলোচনা করেন। সামাজিক দায়বদ্ধতার নিরিখে, একজন কবির সমাজসচেতনতা কতটা জরুরী বলে মনে হয় আপনার?
নন্দিতা: শিল্প সাহিত্যের বিরাট ভুমিকা আছে সমাজের প্রতি । আবার
স্রষ্টাকে স্বাধীনতাও দিতে হবে । তাবে তার স্বাধীন মুখটি যেন চটকদারীতে আটকে না
যায় । আমরা দেখেছি সাহিত্যিক ,শিল্পীকে বেঁধে দিলে তার নিজের চেহারাটি অপ্রকাশিত
থেকে যায় । বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেখি ওরা ভাষাকে নতুন রূপ , নতুন আঙ্গিক দিতে পেরেছে । কবির তো
সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি তার নিজস্ব ভাষা শৈলী , যা তার একমাত্র নিজের । সারাজীবন খোঁজ
চলে স্বতন্ত্র অস্তিত্বের । তীব্র জীবন
বোধ , গভীরতা বাংলাদেশের কবিদের কবিতায় দেখি ।
কবিতা উৎসব: এখন এই সমাজসচেতনতার প্রসঙ্গে একজন কবির দেশপ্রেম ও
রাজনৈতিক মতাদর্শ কতটা গুরুত্বপূর্ণ? আবার এই প্রসঙ্গে কি এইকথাও মনে
হয় না, নির্দিষ্ট রাজনৈতিক মতাদর্শ একজন কবির কাব্যভুবনকে বৈচিত্রহীন করে তুলতে
পারে? এমনকি হারিয়ে যেতে পারে সাহিত্যিক উৎকর্ষতাও?
নন্দিতা: কবি কি লিখবেন কি ভাববেন সেটা তার নিজের ব্যাপার । সেটা
কি অন্যে ডিক্টেট করতে পারে ? সুকান্তের কবিতা কি আজ লোকে পড়ে না ? কবিতাকে
আত্মস্ত্ব করলে ভেতর থেকেই উঠে আসবে নির্দেশ ।
কবিতা উৎসব: আবার এই সমাজসচেতনতার ভিত্তি সুদৃঢ় ইতিহাসবোধের উপর
প্রতিষ্ঠিত হওয়াকে কতটা জরুরী বলে মনে করেন আপনি, এবং কেন? কবি জীবনানন্দ যেমন জোর
দিয়েছিলেন সুস্পষ্ট কালচেতনার উপর।
নন্দিতা: সমাজ
সচেতনতার ভিত্তি শুধু ইতিহাস বোধের ওপর নয় সেটা অনেকটা নির্ভর করে সময়ের ওপর যে
সময়ে কবি বাস করছেন । যে সময়টাকে তিনি সঙ্গে করে নিয়ে চলেছেন। যে সময়ে তিনি জন্মেছেন । সবটাই তাকে ঘিরে রাখে । কাল
শব্দটিকে জীবনানন্দ গভীরভাবে দেখেছিলেন আমিও সেই কালের কথাই বললাম । যে কাল দেখেছে
বাংলা । কাল কতভাবে মানুষকে নিয়ন্ত্রিত
করে , শিক্ষিত করে মহামানব তৈরি করে সে তো
আমরা উনবিংশ শতকে দেখেছি । কত সাধারণ অসাধারণ হয়ে উঠেছেন কালের ধাক্কায় । পঞ্চাশ–ষাটের
দশক তো দেখিয়েছে মানুষ কি হতে পারে ।
কবিতা উৎসব:: এই যে স্বদেশপ্রেম, নিজের দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যর প্রতি দায়বদ্ধতা- এগুলি
একজন কবিকে আন্তর্জাতিকতার প্রেক্ষিতে কতটা সীমাবদ্ধ করে তোলে বলে মনে করেন আপনি? অর্থাৎ আপনার কবিতা তো প্রাথমিক ভাবে এই বাংলার সুর তাল
লয়ের মন্থনই। কিন্তু সেই কাব্যসুধায় কি একজন বিদেশীও তৃপ্তি পেতে পারেন যদি আপনার
কাব্য আপনার স্বদেশপ্রেম আপন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উর্ধে না ওঠে? বিষয়টিকে আরও একটু
অন্যরকম করে মেলে ধরলে বলা যায়, কালোত্তীর্ণ সাহিত্যের আন্তর্জাতিকতায় পৌঁছাতে
গেলে যে বিশ্ববোধ জরুরী, দেশপ্রেম স্বাজাত্যপ্রীতি কি সেই
পথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে না?
নন্দিতা: ওয়ার্ডসওয়র্থ
যখন Westminster bridge কবিতাটি লন্ডনের পরিপ্রেক্ষিতে
লিখেছিলেন তখন কি সেটাকে আমি হাওড়া ব্রিজ ভাবিনি । হাওড়া ব্রিজের ওপর থেকে সকালের
কলকাতা । সব কবিই নিজের দেশ কাল বোধ থেকেই লেখেন কিন্তু ভাবটি ধরা পড়ে পাঠকের কাছে
।মানুষ জন্মগত ভাবেই বিশ্বগ্রামের বাসিন্দা । একই সূত্রে গাঁথা । শুধু তার যাওয়ার
পথটি আপন গাঁ ।
কবিতা উৎসব: সাম্প্রতিক
অন্তর্জাল বিপ্লবে বাংলা সাহিত্য বিশেষ করে বাংলা কাব্যসাহিত্যের ভুবন কি বিপুল
পরিমাণে বিস্তৃত হয়ে গিয়েছে সেটা আমাদের সকলের চোখের সামনেই ঘটেছে ও ঘটছে। আগে
লিটল ম্যাগাজিনের পরিসরের বাইরে অনেকটাই ফাঁকা জায়গা পড়ে থাকতো, যেখানে অনেকেই কবিতা লিখলেও তা চার দেওয়ালের বাইরে আলো
দেখতে পেত না। আজ কিন্তু যে কেউই তার কবিতটিকে বিশ্বের দরবারে হাজির করতে পারছে।
এই বিষয়টাকে আপনি ঠিক কি ভাবে দেখেন?
অনেকেই যদিও
বলছেন, এতে কবিতার জাত গিয়েছে চলে। এত
বিপুল পরিমাণে অকবিতার স্তুপ জমে উঠছে,
যে তার তলায় চাপা
পরে যাচ্ছে প্রকৃত কবিতা। এই প্রবণতা বাংলা সাহিত্যের পক্ষে আদৌ কি আশাব্যঞ্জক বলে
মনে করেন আপনি? না কি এটি আসলেই অশনি সংকেত?
নন্দিতা: নতুন
কিছু দেখলেই রে রে করে ওঠা আমাদের স্বভাব । অন্তর্জাল যে কি সাংঘাতিক বিপ্লব এনে
দিয়েছে সেটা বুঝতে এখনও যদি বাকি থাকে তা হলে আর কিছু বলার নেই । বিশাল আকাশের
তলায় এসে সবাই জড়ো হয়েছে । এত গেল গেল রবের কি আছে । যা থাকে থাকবে যা যাবার যাবে
। কবি লেখকদের সম্মান বাড়িয়েছে অন্তর্জাল। অনেক ক্ষেত্রে লাঠি ঝ্যাঁটা খাওয়া থেকে বাঁচিয়েছে । এত এত লেখা তো
অ্যাকসেস করতে পারতো না আগে মানুষ । আমার তো মনে হয় এতে কবি লেখকদের উপকার হবে ।
ভাল মন্দ সবটাই জানতে পারবে বুঝতে পারবে ।
কবিতা উৎসব: সমাজজীবনে
অস্থিরতা কাব্যচর্চার পক্ষে কতটা প্রতিবন্ধক বলে মনে করেন? না কি যে কোন সামাজিক
পরিস্থিতিই একজন প্রকৃত কবির কাছে কবিতা লেখার কার্যকারি উপাদান হয়ে উঠতে পারে।
যেমন ধরা যাক বাহান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। বাংলার কাব্যচর্চার
ভুবনটাকে তো বাড়িয়েই দিয়ে গিয়েছে বলা যেতে পারে। তাহলে সাম্প্রতিক মৌলবাদের উত্থান
লেখক বুদ্ধিজীবী ধরে ধরে হত্যা, নানান রকম ধর্মীয় ফতোয়া, সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা।
রাজনীতি ও মৌলবাদের পারস্পরিক আঁতাত এই বিষয়গুলি অতি সাম্প্রতিক কাব্যচর্চার
পরিসরকে নতুন দিগন্তে পৌঁছিয়ে দিতে পারে বলে ধরা যায়। কিন্তু সেটা কি বর্তমানে আদৌ
হচ্ছে বলে মনে করনে আপনি?
নন্দিতা: এই বিষয়গুলো নিয়ে লেখা হচ্ছে যথেষ্ট । অস্থিরতাই তো
সবচেয়ে বেশী কবিতার জন্ম দিয়েছে । এক একটি সামাজিক অভিঘাত কবিতার বলয়কে অনেক বড়
করেছে । সাম্প্রতিক তেমন ঘটনা অনেক আছে ।
কবিতা উৎসব: আবার ধরা যাক এই
সব নানান জটিলতা থেকে মুক্তি পেতেই একজন কবি বিশুদ্ধ কবিতার কাছে আশ্রয় পেতে
ছুটলেন। যেখানে রাজনীতি নেই, সামাজিক অস্থিরতার দহন নেই, আছে শুধু ছন্দসুরের অনুপম
যুগলবন্দী। জীবনের জটিল প্রশ্নগুলি এড়িয়ে গিয়ে,
কল্পনার ডানায় ভর দিয়ে ছোটালেন তাঁর বিশ্বস্ত কলম। কবিতা তো মূলত কল্পনারই
ভাষিক উদ্ভাসন। কিন্তু সেই পলায়নবাদী কবির কাছে পাঠকের আশ্রয় কি জুটবে? কবির কলম
পাঠকের কাছে কতটা বিশ্বস্ত থাকবে সেক্ষেত্রে বলে মনে করেন?
নন্দিতা: কবিতায় যদি তীব্র প্যাশন না থাকে তাহলে ঠিক বুঝতে পারে
পাঠক । কবিতায় তো অনেক ধরণের পরীক্ষা নিরীক্ষা হচ্ছে । সবচেয়ে বড় কথা কবিকে তার
নিজের জায়গাটি তৈরি করতে হবে । সেখানের কল্পনার সঙ্গে মনের খুঁটিটি গাঁথতে হবে
নাহলে ফাঁকি কোথায় ঠিক ধরা পড়ে যায় । ধরা পড়বে কোনটি আড়কাঠি কবিতা আর কোনটি মন
গাঁথি কবিতা ।
কবিতা উৎসব: আপনার নিজের কবিতার
বিষয়ে যদি জানতে চাই, আপনার পাঠকের কাছে ঠিক কি ভাবে পৌঁছাতে প্রয়াসী আপনি? ‘ফার
ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড’ না জীবনের এই প্রবল ঘূ্র্ণীর মধ্যেই আপনি আপনার কবিতায়
আশ্রয় দিতে চান সচেতন পাঠককে, যে- না আশা আছে। পথ আছে। যে পথে ক্রমমুক্তি হবে
মানুষের।
নন্দিতা: সৃষ্টি
সঠিকভাবে করতে গেলে তো কিছুটা আত্মস্থ হতেই হয় কিন্তু যাদের জন্যে লেখা
তাদের থেকে দূরে সরে গেলে রসদ আসবে
কোত্থেকে ! সাধু সন্ন্যাসীদের তো কবিতা লিখতে শুনিনি । কিন্তু হুড়োহুড়িটা কোন
খাঁতে কতটা বইয়ে দিতে হবে তা জানতে হবে । খাজনা থেকে বাজনা না বড় হয়ে যায় ।
কবিতা উৎসব: আপনার নিজের কবি
মানসে আপনার স্বদেশ কতখানি জায়গা জুড়ে থাকে? এই যে জন্মভূমি বা বাসভূমি যাই বলি না
কেন, একজন কবিকে কতটা প্রেরণা দিতে পারে বলে মনে হয়, না কি বিশেষত এই বিশ্বায়নের
যুগে গোটা বিশ্বই যখন হাতের মুঠোয়, তখন কবির কাছেও তাঁর আপন জায়গার বিশেষ কোন
তাৎপর্য থাকে না আর!
নন্দিতা: প্রত্যেকটি মানুষ তার অঞ্চল , স্বদেশ , এর মধ্যেই থাকে
। বাইরে থেকে বেশী হলে স্ট্রাকচারটা নেয় কিন্তু ভাবটি নেয় তার জল হাওয়া মাটি থেকে
। আর নকল নবিসী করলে টিকতে পারবেন কি ?
সে তো কবিতা হবে না হবে কবিতার নকল ।
কবিতাউৎসব: বিশ্ব সাহিত্যের অন্যতম একটি অভিমুখ অনুবাদ সাহিত্য। সকল উন্নত
ভাষার সাহিত্যেই অনুবাদ সাহিত্যের একটি
খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থেকে থাকে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমাদের বাংলাসাহিত্যে বরাবরই এই দিকটি বিশেষ অবহেলিত।
বিভিন্ন ভাষার মূল্যবান সাহিত্যকীর্তি বাংলায় অনুবাদের যে গুরুত্ব, আজও সেই বিষয়ে আমাদের সচেতনতার বড়ো অভাব। আপনি নিজে
দীর্ঘদিন এই বিষয়টি নিয়ে চর্চা করছেন। এই বিষয়ে আপনার মতামতের একটি আলাদা গুরুত্ব
আছে। আমরা সেইটিই জানতে আগ্রহী। বর্তমানে আমারা ঠিক কোন অবস্থানে দাঁড়িয়ে। বাংলায়
অনুবাদ সাহিত্যের ভবিষ্যত সম্বন্ধে আপনি এখন কতটা আশাবাদী?
নন্দিতা ভট্টাচার্য্য: বাংলা সাহিত্যে অনুবাদের একদম কাজ হয় নি বা
হচ্ছে না তেমন নয় । ল্যাটিন আমেরিকার অনেক কাজ হয়েছে, হচ্ছে
। অনুবাদ পত্রিকা , নতুন শতক , কবিতীর্থ বেশ ভাল কাজ করেছে । ওপার বাংলায় অনুবাদের অনেক
বেশী কাজ হচ্ছে । তাবে আমাদের দূরের ঘাসের প্রতি আকর্ষণ বেশী । ঘরের পাশের রাজ্যগুলি সম্পর্কে আমরা আশ্চর্য
উদাসীন । কোনও খবরই রাখিনা সেই জায়গা
গুলোর । আমার মনে হয় ভারতীয় ভাষার আরও বেশী অনুবাদ হওয়া দরকার । তাহলে অন্যান্য
রাজ্যে কি রকম কাজ হচ্ছে তার সঙ্গে পরিচিত হতে পারি। এই আদান প্রদান সাহিত্যের
উন্নতি করবে ।