রবিবার, ২১ আগস্ট, ২০১৬

সাঈদা মিমি



সাঈদা মিমি
স্ক্রোলবার্তা সবাই বোঝে না
---
অনেকটা হেঁটেছি ফকির--
পোষাকের ছেঁড়াপথে উঁকি
দেয় মায়া শহরের অন্তিম, খনিমুখ
ডুবে গেছে; গুপ্তকক্ষে রত্নভার...
প্রতিমার গোপন সংকেত
সবই অতীত হবে?
স্ক্রোলবার্তা সবাই বোঝে না!


নিরূদ্দেশ বিবর্ণ মগজ
----
জীববিদ্যা পড়ে
আরো জটিল হয়েছি, অলিন্দের
ডান-বামে রক্তস্রোত,
শোধক মেশিন, হৃদপিণ্ড অধরা

তাম্রকুটের পথে নিরূদ্দেশ
বিবর্ণ মগজ, কে যেন আমার ছিলো
নিয়ানডার্থাল গোষ্ঠীর ভীড়ে!

হরষিত করে যায় সেয়ানা বাতাস,
করোটিতে মুখ রেখে স্পন্দন খুঁজি


একজন গোরখোদকের দিনলিপি
---
যে শিশুটি পৃথিবীর আলোই
দেখেনি, তার ছোট্ট কবরটা
খোঁড়ার পর দীর্ঘসময়
অচেতন ছিলাম, অনভ্যাসে জিহ্বা
রুচি হারিয়ে ফেলে, এরকম
ঘটছিলো আর আমি? একজন
অভ্যস্থ গোরখোদক, সিদ্ধান্ত
নিলাম, আর কোনদিন কবরের
জমিনে কোদাল চালাবো না...

একুশ বছর পর:
এখন গোরস্থানেই থাকি, প্রতিটা
এপিটাফ ছুঁয়ে দেখি, জল ঢালি
নতুন কবরে, নয়তো মাটি ফেটে
মুর্দারের রূহ কষ্ট পাবে!
মা ধরণী, মৃতের পাঁজরে
অত চাপ
দিও না; সে তোমারই সন্তান!

শেষ আর্জি:
আমি আমার কবর খুঁড়ে যেতে চাই,
কেবল তোমরা আমাকে শাস্ত্রমতে দাফন করো ।


রূপের কার্ণিস গ'লে
------

রূপের কার্ণিস গ'লে
নেমে আসে পাইথন-
শুঁকেটুকে দেখে; সে বড় আজব প্রেমিক!
সব খাদ্যে রুচি নেই বলে
পোকাদের সঙ্গ ছেড়েছে!!

এইভাবে দিন কেটে কেটে
বয়সের ঝুলিতে জমে
প্রভুর জন্মদেয়া দায়!
এবার সূদ যত দিতে হবে...

যখন সে বলছিলো,
বোঝা গেছে, ল্যাকরিমাল গ্ল্যাণ্ডে
সময় রেখেছে স্পর্শ
চাইলে, একটুখানি কেঁদে নিতে পারো ।


এপিটাফ
---
লেখা যেতে পারে, সে আত্মাকে হত্যা
করেছিলো হত্যার অনেক আগেই-
ভালোবাসার রহস্য জানতে
নেমেছিলো জলে-কাদায়, ভুল
মানুষদের নোঙরে
একদিন সুখ এসেছিলো; দুঃখ চারদিন...
সংকুচিত হয়েছিলো পৃথিবী অথচ
আরও অনেকদিন
তার বেঁচে থাকার কথা ছিলো!
কবরের ঘাস বেড়ে ওঠে,   
নির্জনে বাঁশপাতা ক্রন্দসীঘূর্ণি! ঝরে পড়ে...