হাসিদা মুন
বিপজ্জনক বিশ্ব
বিপজ্জনক বিশ্বে
মেদ'এর খিদেটাই একটু বেশি
অসহায় নগ্নতাগুলো
হোলি খেলে - প্রকাশ্য দিবানিশি
বংশীধ্বনি শীৎকার হয়ে বাজে
ক্লান্ত হয়না সংগ্রামে
মাঘের শীতেও স্তন্যতলা
ঘেমে ওঠে- অসংযমে ......
মুখচ্ছবির বিজ্ঞাপন
শুক্লা তিথির ঢলে পড়া জ্যোৎস্নায়
হিংগুল রঙ্গা পৃষ্ঠায়
মেখেছিলি ঠোঁটের রাগিণী
শ্বেতপত্র লিখেছিলো নিভৃতে - আত্মসমর্পণ
বলে দিয়ে যা - কি করে সে দাগ মুছি ?
লোহিত কণিকার গহীনে
লাল লাল কত ক্ষত
ভরে আছে হৃদয় দেয়ালে- তোর মুখচ্ছবির বিজ্ঞাপন .......
বেনামি
জীবন পৃষ্ঠায় লেখা কিছু কথা বেনামি
যার লেখক ও পাঠক দুই ই হয়েছি আমি
লিখতে লিখতে চলে যাই
পড়তে পড়তে এসে থামি
বেচতে বেচতে ফের কিনে নিই
কিনতে কিনতে বুঝি দামি
হ্যাঁ সেই তুমি
আবার ও তুমি
বেচে দিয়ে আমাকে
কিনে এনেছি যাকে - আমি .....
তৃষার্ত অ্যাগামেনন হয়ে আয়
‘মধ্যরাত ' - তখন মুখোশ খুলে
নীচে নামিয়ে রাখলো
শুধালেম , রাতের পো' !
শেষ সময়ে তাবৎ দুনিয়াকে
ভেল্কী দেয়া মেকআপ অপসারণ করেছো তো
...?
আমার প্রেতাত্মাটা সপ্রতিভ কম্পিত হলো সে শব্দে
যে থেকে যায় বরাবর হৃদয়ের কাছাকাছি ....
মানসিক চাঁদ নোঙ্গরে অন্ধকার দিক ভরে দিচ্ছে ক্রমশ
পৃথিবীর উল্টোদিকের যাত্রায়
পুষ্কর মেঘেদের ডেরা ভরা - পাক খোলা
জল নিয়ে অনায়াসে
হিমভাব বিতরন করে চলে আমার পাশে
সময়ে দয়া করে বর্ণনা করবে ধারাবাহিক কাব্যিক রচনাশৈলী,
আমি কিছু মিষ্টি গভীর নগ্ন কাব্যিক অবয়বে
বিশ্বের জন্য - নারী ও পুরুষ কবিতা চাইলাম
যা ভীষণ প্রয়োজন মহাকাব্যের শব্দগাঁথা গেঁথে দিতে ...
সে মুহূর্তে এক পংতিতে লিখি-
তৃষার্ত অ্যাগামেনন হয়ে আয়
জোর করে নয়
বিঁধি লিপিতেই পাইয়ে দেবো হেলেন ......
আমার মুখের উপর তোমার মুখ
দাঁত ওলা চোখ তোমার
তাকানোতে তির্যক কেটে যাই
ডুবে যাওয়া অথৈ জল ভরা - ওতে
রক্তবর্ণ ঠোঁট চারপাশ ধরা এঁটে
শাখা ঝাপটানি দেয়া বাহুপাশ
মুহু মুহু নীল আঘাতের হাঁসফাঁশ
ত্বকের আড়ালের মেঘ সরিয়ে
হাতের ছোঁবলের
যুক্তিহীন আলিঙ্গনে সেঁটে যাই
অনুমতি পরিণত সুধা ছড়ায়
দৃষ্টি ঘোলা করা - শিরা উপশিরায়
এ যেনো উন্মুক্ত গোরে ভরে দেয়া
জীবন্ত পৃথিবীর যাচিত সকল সুখ
আমার মুখের উপর তোমার মুখ ......