তৈমুর খান
কল্পনা
________
দূরের পাহাড়ের কাছে
উড়ে যায় আমার নিঃস্ব প্রজাপতি
আজ সে ভিখিরি নয়
অভিমান নেই তার
আজ সে নরম নিগূঢ় পর্যটক
দূরদর্শী
_______
পরজন্মে আমাদের ঘরবাড়ি হবে
বাড়ির উঠোনে বাগান
বিকেলের রোমাঞ্চ আলোয়
তুমি দরজায় দাঁড়াবে
আমি ফিরে আসব
বেল্ বাজবে আমাদের স্বপ্নের সাইকেলে
অকৃতজ্ঞতা
____________
অকৃতজ্ঞতা ময়লা হয়ে শরীরে লেপ্টে আছে
যতই সাবান দিই , স্নান করি
আর গেয়ে উঠি পরিশুদ্ধ গান —
অকৃতজ্ঞতা দেখা দেয় না
অথচ বুঝতে পারি তার আগমন ।
কিছুতেই ঘুমোতে পারি না —
সে এসে বিশ্বাস ভেঙে
কলঙ্কিত করে যায় চরিত্র আমার !
বিশ্বাস
______
আমরা বিশ্বাস পুষে রাখি
বিশ্বাস এসে আলো জ্বালে
আলোকিত ঘরে
আমাদের শিশুরা চাঁদ দ্যাখে ।
চাঁদ কি টিক দিয়ে যায় তাদের কপালে ?
দুধ নেই । দুধ খাওয়ার বাটি নেই ।
তবুও বিশ্বাস আছে আমাদের ।
হাত
_______
অনেক অনেক হাত
হাতে হাতে বন্ধুত্বের স্পর্শ ফিরে আসে
কিন্তু নির্ভরতা আসে কি কখনো ?
রোজ সন্ধেবেলা গলাদড়ি ঝুলতে থাকা
গাছটির পানে তাকাতে পারি না —
বউটি একাকী যেন শূন্যে ঝুলে আছে
গোধূলি রঙের শাড়ি তার লুটিয়ে পড়েছে
মাটিতে
একটিও হাত তার দিকে কেউ বাড়িয়ে দেয়নি কোনোদিন....