মৌ মধুবন্তী
অনধিকার বোধ
নারিকেল টা ভাঙ্গো , এক চুমুক পান
করি
জ্বলছে অগ্নাশয় থেকে যমুনার তীর পর্যন্ত
লেলিহান শিখায় পুড়ে যাচ্ছে অন্তর মাঠ ঘাট
আর বিস্তর জমানো দিনের খড় কুটোর মাচা
নারকেল টা ভাঙ্গো এক চুমুক পান করি...।
চারিদিকে ঘুরপাক খাচ্ছে
প্যাঁচানো পুংলিঙ্গ, অবৈধ
স্ত্রীলিঙ্গ, বহুব্রীহি উভয়
লিঙ্গ
দিনের জঠরে লুকিয়ে থাকা ক্লীব লিঙ্গ।
এতো এতো লিঙ্গ- তবুও লিঙ্গ মানেই শিশ্ন।
নারকেল ভাঙ্গো এক চুমুক পান করি
২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
টরন্টো, কানাডা,পৃথিবী
দুঃসময়ের আলো
আমারে আমি যতটা চিনি তার চেয়ে বেশী চেনে আমার কবিতা ---
অক্ষয় কিরণে আলোকিত কবিতা মাথা নোয়াতে জানে না ---
দুঃসময়ের চেয়ে বেশী কালো আকাশে আমি সাহসের আলো জ্বালিয়েছি
সবাক তান্ডবে
জ্বলবে আলো আকাশ জুড়ে
পথের বাঁকে পথ হারালে
অন্ধকারের অপর পারে
জ্বলেজ্বলে এক আলো থাকে
কেউ দেখে কি না দেখে
আমি দেখি অন্তর চোখে
কে আমার পথ ঠেকাবে
পথ তো আমার পায়ের তলে
" আমি কি ডরাই সখি ভিখারী রাঘবে"?
টরন্টো,কানাডা,পৃথিবী
৩ সেপ্টেম্বর,২০১৬
নিদাগ চেতনা
"আমারই চেতনার রঙে পান্না হলো সবুজ, চুনি উঠলো রাঙ্গা হয়ে..."
কবিতা বলো, কি করে আমি আকাশ
থেকে নামবো এখন মাটিতে?
"আমার আকাশ থেকে সরাও তোমার ছায়া"
বিবস্ত্র বিশপে তুমি , ন ও তু মি
মাছরাঙ্গা
বারে বারে কবিতা পড়ো, কবিতার মানে
জানো না
চিৎকারে শিৎকার মিলিয়ে দিয়েছ, চেতনা মানেই জানো না
-কে যায় ঐ পথ ধরে,
-মানুষের সন্ধানে গিয়েছিলাম,
না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছি
-সাথে কি নিয়ে যাচ্ছ?
-একা এবং এক লক্ষ অঙ্গীকার
যা কিছু আমার এবং আমার চেতনার।।
টরন্টো, কানাডা, পৃথিবী
৪ সেপ্ট,২০১৬
উনুনে আঁচ
সারা রাত জল, উনুনে আঁচ, মাংস ফুটছে
কাঠি ধরে নাড়া , উ নু নে আঁচ-
আগুনে ল ড়া ই
নিভে গেছে আঁচ, মাংসেরা বেদনাতুর, পাথারে
নিজেকে নিজে বাজাই। কি যে
ছাই। কি যে চাই!
ঘুম বালিকা হায় চুম ডুবে
পানকৌড়ি কুড়িয়ে খাবে
কুয়োতে ব্যাঙ , লাফিয়ে পড়ে
ব্যস্ত জীবন কাম সাবাড়ে
ব্যাঙের পায়ে সাজ
দুর্গা বাড়িতে দুর্গা
মায়ের লাজ
জাহান্নামে বসে
জান্নাতবাসীর কাজ
হৈ হৈ হৈ, রৈ রৈ রৈ
মুলতাজ
পরিপাটি ঘটিবাটি ফুলসাজ
নিষ্কর্মা ঢুকেছে, নি;সংগ কারুকাজ
খুলে গেছে হাঁড়, জলের অহংকার
কতকাল আর চলবে বলাৎকার?
টরন্টো, কানাডা, পৃথিবী
কবিতা স্বাধীনতার কথা বলে
দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংক ব্যালান্স
শুন্য থেকে কোটিতে নিতে রক্ত ঝরাচ্ছি
কতকাল ধরে জাঙ্গিয়ার সাইজ
মিডিয়াম থেকে স্মল এ আনতে ঘাম ঝরাচ্ছি
কতকাল ধরে অবিরাম যুদ্ধের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি
হাই হিল সেন্ডেলের হিল চার ইঞ্চি থেকে ক্ষয় হতে হতে
একের সীমায় নেমে এসেছে,
কবিতায় স্বাধীনতার কথা বলি,
অথচ প্রতি মুহুর্তে বাক স্বাধীনতা খর্ব
করছে
যে কবিতার কারিগর সে উচ্চারণে মাথা নত করে না
যে স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ সে স্বৈরাচার মানেনা
যে নারী মুক্তির শ্লোগান তোলে,
সে পরকীয়া প্রেম সমর্থন করে না
কবিতা আমার রক্ত প্রবাহ,
কবিতা আমার সকল পার্থিব –অপার্থিব শক্তির উৎস
আমার মাথা নত হয় না।
কবিতার উচ্চারণে এসে
অন্যায়ের সাথে আমার বিবেক আপোষ করে না
আমার মাথার উপরে পুরষ শাসনের ছাদ নেই,
আকাশে আমার মুক্ত বিচরণ
কবিতার কোন উপদেষ্টামন্ডলী নেই
কবিতা পুরুষকে পুজা করেনা
অথর্ব নারীর মেরুদন্ডে লাথি মারে কবিতা
আমি ভোগের পুজারী নই,
আমি কবিতার ভিখারী
এক লাইন কবিতার জন্য শতাব্দী ধরে অপেক্ষা করি
আমি তোমাদের স্বৈরাচার মানিনা ।
কবিতা ও কবিতার উচ্চারণ হোক
মুক্ত –স্বাধীন –নিরপেক্ষ-আত্মপক্ষ সমর্থনে ক্ষুরধার।