বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

সোনালী পুপু



সোনালী পুপু
প্রিয় শিল্পী বন্ধু শর্মিষ্ঠা পাল কে
বাসার সংগে ভালবাসারর নিবিড় যোগ তো চিরটা কাল
ভাষার সংগে ওঠাবসার তাল মেলাতেই হচ্ছি নাকাল
উপরন্তু দূরভাষ আর চলন্ত ফোন আ্যাপের ঠ্যালায়
প্রেমের বাঁশি রাধার সংগে গাধা দিয়েও ছন্দ মেলায়
তাই বলে কি বাধ্য হব দূরভাষেরই মানতে শাসন?
নরম ঠোঁটে গরম হাতে বুকের মাঝেই প্রেমের আসন।



আমার রবি
আমার আকাশ আলোয়ে ভরা
আমার মেঘে সোনা ।
মেঘের কালো ঘোমটা টানা
বৃষ্টি ফোঁটার কণা ;
ছোট্ট পুপুর জানলায়ে মুখ
পিছনে সুর বাজে
হাওয়ায়ে ওড়ে গানের পাতা
মন লাগেনা কাজে
রঙ্গিন শাড়ি ,কাজল চোখে
রূপকথা যায় ছোঁয়া।
স্বপ্নগুলো সত্যি হয় যে
ষ্টেজের আলোয় ধোয়া।
সেই সখাটি- ই হাত ধরেছে,
হাত রেখেছে হাতে।
দুখের দিনকে পেরিয়ে এলাম তারি সাথে সাথে।



একা একা
কেউ কেউ একা থাকার জন্যেই জন্মায়ে।
তাদের একা থাকাটা ঠেকানো যায়ে না কোনও ভাবেই।
তাতে দুঃখটাই বা কোথায়ে?
এটাই বোঝাতে পারলাম না বড়দের।
ছোটবেলা থেকে কেবল ভয় পাচ্ছে,
মেয়েটা একা একা কি করবে?
মেয়েটা একা একা কি করবে?...”
আরে, একা থাকার চেয়ে দোকা হওয়া যে অনেক বেশি কষ্টের
এটা কি বড়রা জানেনা?   
কি জানি বাবা!

আমার ছোট্ট রঙ্গিন কাঁচের arch দেওয়া লম্বা ফ্রেঞ্চ জানলাওয়ালা মিষ্টি সীমা স্বর্গ,
তার খুদে রাজকন্যা,
তার তাক ভর্তি বই,
তার খাট ভর্তি গান,
তাকে দোকা করতে গিয়ে একেবারে যাবজ্জীবন জেল ,
সশ্রম কারা দণ্ড ।
আচ্ছা, মানলাম সূর্যদেবের বরে ,
গায়েব গায়েবী পেল----
নেড়ে চেড়ে বেলা যায়।
কাজও বাড়ে কত?
তারা বড় হয়, ভালো হয়
সূর্যের আলোয়ে ঝলমল ;
মা ক্লান্ত হয় , একা হয়,
সীমা স্বর্গের স্বপ্ন  দেখে বসে ।


 তাই বলে ,
একারা দোকা হয় না।
আর একা থাকা কিছু খারাপ থাকাও নয়।
এইতো দিব্বি রোদের উত্তাপ আর ঠাণ্ডার শিরশিরানি মেখে
আদরের স্মৃতির আঁচল
গায়ের চার পাশেতে
টেনে নিয়ে ;
ওম মেখে থাকা।



ক্যালিডোস্কোপ
একটা পৃথিবীর মধ্যে
কি ভাবে অনেক টুকরো টুকরো পৃথিবী ঘুরতে থাকে।
আমার রবীন্দ্রনাথ ছোঁয়া ;বইপত্র ছড়ানো পৃথিবী,
তোমাদের ট্যাঙ্ক টপস পড়া ডিজাইনার পৃথিবী,
 পাঁচি মাতালদের ঝাঁঝালো গন্ধ আর চাট মাখা পৃথিবী,
বাচ্চাগুলোর খাতা বই আর পরীক্ষার টেনশান ভরা পৃথিবী
সব যে যার অক্ষ পথে ঘুরে চলে সারাদিন ভর।
দৈবাৎ কাছাকাছি এসে
একটা একটার সঙ্গে ওভার ল্যাপ করে যায়।
এ পৃথিবীর বাসিন্দা ও পৃথিবীকে বলে
হাই ,কেমন আছো ?”
ঝাঁকি দর্শনের পর আবার সবাই চলতে থাকি নিজের নিজের বৃত্তে।
কিন্তু অচেনা জীবনের নাগর দোলা
চেনা যায়না, চেনা যায়না।



সংগী
যদি চলে যাই পথে
শ্যাম চলে সাথে সাথে চরণে চরণ ঠেকাইয়ে
আমার সাথে সাথে চলে গো
ছোট বেলায় বড়রা তার ভরসায় রেখে কাজে গেছেন রোজ
শিশু কৈশোর কাল পেরিয়ে প্রেম অজান্তে হাত ধরলে এসে
প্রেম বুঝি?
হবে তাই
আমি শুধু পথে পথে দেখি পায়ে পায়ে জড়িয়ে রয়েছে
শ্যামলা নূপুর পড়া আরামের দাগ
সংসার ঢেউয়ের তালে তালেবর
স্কুবা প্যারা গ্লাইডার ডিপ সি ডাইভিং
দড়ি হাতে বসে আছে সাথে সাথে চলা
বন্ধুরা আড্ডায় কেউ নাস্তিক কেউ বা অস্তিতে
আমি চুপটি  হয়ে থাকি
জানিনা তো আমি কোন দিকে
শুধু রাস্তা পার হতে টের পাই
পায়ে পায়ে বাজে
ছবি বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলা
চরণে চরণ ছুঁয়ে ছুঁই।



পদ্মপাতা
আদর তুমি
 ব্যথার গাঢ়
লালচে কাল
চোখের জল।
আদর আমার
পদ্মপাতায়
জলের ফোঁটা
মন কাজল।
নিষ্পেষিত পাপড়ি
গোলাপ গন্ধ
কত মন বাহার
দু হাত পেতে
বিষের বাঁশি
বুকের মাঝে

অলংকার।