অনিন্দ ঘোষ
অসুখী নীরার
সাথে সুন্দরের ছাইভস্ম ( নীললোহিতকে )
১
ফ্লুরোসেন্ট ঊরু – সাক্ষী তিন মাস্কেতিয়ার্স – অলৌকিক রুশ কবোষ্ণ রুমালে ভরা শরীরহীন নিঃশ্বাস ম্যাজিক – স্বপ্নের স্থানক – সিন্দুকে লুঠ ধ্যানজ অস্থিরতা – কুরূপা অপ্সরার হাএ না মানা হার , পরাজিতা শোকের অস্থির মৃত্যুশোকে নারীঘাতী পুজো –যোনিসমুখ লিঙ্গদের রক্ত ও সৃষ্টির দ্বিধা – অশরীরী মুখ – মৃত গোলাপেরা পাঁজরে প্রেতিনীর নারকীয় অরুন্ধতী – বেপরোয়া হার্মাদেরা মসীমাখা ওষ্ঠে ধুচ্ছে স্বপ্নবদলের
সিংহাসন ।
২
রুগ্নফুলেরা অনলশক্তির কবজি
ভরে – নারক নারীর মহিষীর শালুভারে
– আলজিভে – স্বর্গচুম্বিত শরীর ভরে – শরীরের কামনা ভিক্ষের কপাট খোলেনাকো – ঈশ্বরের কোলে – দাসত্বভিখিরি ১৯ এপ্রিল বারুদে পোড়ায় সুঠাম নিরুপম মাটির
শরীর – গানের ঝঙ্কারে সূর্যের
বিধবাকন্যের স্পর্ধিত যৌবন – অবুঝ সুরজতারার ম্যাজিক মোহরের শিলান্যাস – সস্নেহ নির্লিপ্তি চাটছে জয়ের স্বাক্ষর – নিরুপমা ঘ্রাণ – লক্ষ ফুল বিকশিত কনিষ্ঠ আঙুলে ।
৩
সাত ঘোড়া স্পর্ধায় ছড়াচ্ছে
বেদনামধুর পরিক্রমা – জুয়াড়ির সঙ্গিনী
কবিতার জিভে শুধুই কবিতা লেখে – আর লাথি মেরে নরকে পাঠায় শরীরের যাবতীয় শিল্পকলা – মহাকাশ জুড়ে মাংসের উৎসব – পৃথিবীর প্রতিটি পথ শিশুর মৃত্যুর জন্যে দায়ী – দেবদুতীর উদাসীন সঙ্গম । অথবা প্রতিটি পথশিশুর মৃত্যুর
জন্যে দায়ী দেবদুতীর উদাসীন সঙ্গম – অথবা প্রতিটি corruption – সিদ্ধ জোছনাধোয়া যোনি – বর্বর নির্বাসন
বিলাসিতা খুনী জিরাফের
পুরুসভাগ্যের রাখাল – ছায়াসঙ্গীদের
ঘামার্ত পরশয্যা – রানীরাও নারীদের
কাছ থেকে শিখে নেবে অপরূপ ঊরুর হাঁটুগড়া নোটবই
৪
মুকুটহীন মুকুটমণিরা জিভ
কাটে টাকার লজ্জায় – আত্মারা লুকোয়
উপপতি – সম্মতির মধ্যরাতে সুধারানী
খুন – শলাইজ্বলা শ্রোণি – যার সহমরণে – প্রেমিকের কাঁটা আর চামচে – শীত শরীরের থেকে – দরবেশের মাংস দরাদরি – বহুদূর প্রেমিকের ভয়ঙ্কর হাত কাঁপে না – তারাদের শব্দের আত্মারা কাঁপে না – নিঃস্বতার কাঁপনে – আগামী অসুখের জন্য বরাদ্দ সময় – অন্ধনাভির ফ্যানায় রহস্যস্নেহ – হাসিমুখ হাঙরও ঋদ্ধ হয় – ঈশ্বরপিপাসু ইনজেকশনে – গীতাভবনে বিস্ফোরক হাইমার – ধর্মদ্রোহীর পাষণ্ড আত্মগোপন – গায়ত্রীর নদী বিশালতর ঊরুপাতে – জঙ্ঘা মেলে অশ্লীল
- খায় বুকভরা অশ্লীলতা – শব্দের ব্রহ্ম সব্বাইকে খুন করে – খোলা জোছনায় – কবিতার অলীক রাজপ্রাসাদে –
৫
বাল্যসাথীরাও হনন হয় চেনা ও
অচেনা সাধের ভুলের আগুনে – আমৃত্যুর পণেরা
ব্যাকুল – আমন্ত্রণ জানায় - হিংস্র
ঘাতককে –শপ্ত পদাঘাতে আতরের সাথে
মাংসগন্ধ জারিত প্রতিশ্রুতি – ভাঙে – ফেরে – ছবি আঁকে – চিরে ফেলে- আবার গোপনতম অমরতা – শেকলের দুঃস্বপ্নের মত দুঃসময় চিরে বেরোয় – অবিন্যস্ত লোভাতুর হাতে অনৈতিক পাতাল যাত্রার মুহূর্ত – জাগে বিনিদ্র – ব্যর্থ যৌনতার শেষে কৌতুকী নারীর লোধ্র ঝরে লীলাময়ী ঠোঁটের
লাস্য থেকে – টলমল অশ্রু
হৃদয়ের নিভৃতে লুকিয়ে ভাঙে কাঁচের চুড়ি আর লণ্ডভণ্ড সভ্যতা –
নৌকোর গলুই ভরা অস্ত্র – মায়ের বুক মর্দন করে রাষ্ট্রের পাহারাদার – শিশুকন্যের রক্তে উচাটন উত্তাল হাত – মুছিয়ে দ্যায় চৌকিপিতা – শূন্যগর্ভে বাসা বাঁধে বীজ – অঙ্কুর হয় দারিদ্র্যের দুধ – দুই ঘটি জঙ্গল মহল – বিষাদী চাঁদ উড়ে গেলে পড়ে থাকে একা অন্ধকার – স্বর্গের চেয়ে অনেকতর ভালো অসভ্যতা -