বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

মোকসেদুল ইসলাম



মোকসেদুল ইসলাম

মধ্যবিত্ত
....................
ভাগাভাগি করিনি কেবল হিংস্রতা
মধ্যবিত্তের শরীর আমার, সব কিছুই নীরবে সইতে পারে
বিবেক বিক্রি করতে না পারার যন্ত্রণায়
শামুক কষ্টে আছি বেঁচে
ঝুলন্ত বাদুরের মতো রাতের চোখ মেলে বসে আছি
বিনোদনের শেষ বিন্দুতে পৌঁছার আশায়।

ছিনিয়ে নেয়ার মাঝে কোন মহত্ত্ব নেই জেনেও
আমাদের রক্ত প্রবাহিত হয় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে,
কোন কৈফিয়ত নয়, এইটুকু জানার অধিকার তো আছে
কেন ভাগাভাগি করে খেয়ে চলেছো অতীত-বর্তমানটাকে।






আঁধারের ঘুম
......................
আমি না হয় আঁধারের পাহারাদার হবো
শহরের ভীড়ে যে চোখ সুখ খু্ঁজে ফেরে বিবাগী রাতে
তাঁদের হাতেই জমা দিয়ে দেবো সাঁঝের বাতি।
প্রশ্নকারীরা, তোমরা চুপ থাকো,
সামাজিক আলোচনায় কেটে যাক রাত
আকাশ থেকে পরীরা নেমে আসলেই অশ্লীল হতে নেই
ঘুমে কারো কারো অনীহা থাকতেই পারে।






বৃত্ত পথে বন্দি জীবন
......................
ভীতু সূর্যটা তাপ দিতে ভুলে গেছে বলে
দীক্ষা নিতে আমাকে জ্বলন্ত অগ্নিকুন্ডের কাছেই
যেতে হয় বার বার
সন্ন্যাস ব্রত নয় সত্যিকার মানুষ হওয়ার আশায়।
তবুও বিষন্ন আকাশ জুড়ে এ যেন প্রাচীন অভিমান
অদ্ভুত ঘোর লাগা দিনে কেন মিছে অশ্রু ঝরাও।
জেনে রাখ, আমিও পাকা খেলোয়াড়
দাবার ঘুটির দেবো এমন কঠিন চাল
বৃত্তপথেই কাটবে তোমার সারাজীবন।






কামুক
.............
কামুকশব্দটি অনেকের কাছেই অশ্লীল শোনায়
অথচ এটিই আদিম ক্রীড়ার আমন্ত্রণ
অগ্নিগর্ভ যৌবনের সময় তুলে আনে কাব্যিক ব্যঞ্জন।

আমাদের শামুকস্বভাব নয় যে চিরকাল গুটিয়ে থাকি
রাত গভীর হলেই জ্যামিতিক বোধের খেয়ালে
আমরা সবাই কামুক হয়ে উঠি
অথচ সবাই জানে আমরা সত্য বলতে প্রচন্ড ভয় পাই।






প্রকৃতির সাথে থাকি
.................................
কাছে আয়, কানে কানে শুনিয়ে দেবো বিশুদ্ধ শীতের গান
কখনও পাওয়ার হিসেব করিনি
জীবন সংকলনে এখনো অনেক কিছুই বাঁকী
ভোরের শিশির পায়ে মাড়ালে হয়তো বিশেষ ক্ষতি হয় না
শুধুই গুমরে কেঁদে মরে ঘাসফুল।

অভিশাপের থালাটা তবুও দূরে সরিয়ে
প্রকৃতির সাথে মিশে হই একাকার
জীবন যন্ত্রণা ভুলে কেউ কেউ শীত নিদ্রায় যেতে চায়
কেউবা শীতের মশা মারতে কামান দাগায