মিজান ভূইয়া
তাঁকে
নষ্ট করি
সূর্য অস্ত যায়
মাঠের সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ে ঘরে
দেহের বসন্তে কাছে আসে লাল জবা
ধীরে ধীরে নিভে যায় মাটির কলস
সেইসব তাপ, সেইসব গান
একটি মুখ
একটি উঠোন......
স্মৃতির বাতাসে ডাকে দুপুরের দোয়েল
খুব একা হয়ে পড়ে
মনে রাখা নদী! ঝোপে ঝাড়ে তখন
অন্য পাখি ডাকে
অন্য আকাশে চলে মেঘের নির্জনতা।
সে কি জানে
তাঁর চোখের কবিতা পড়ে
আমি জল পান করি, চুপ করে থাকি
ছায়া দেখে দেখে নীলিমার গান গাই, পথ চলি।
হয়তো জানে না
তাঁর আঁকা ছবিতে আমি
রঙ করি, তাঁর ভাস্কর্য বানাই
তাঁকে নষ্ট করি।
আগুনের পূজো
পূজোহীন সরাবো হাত
এতোটা অধম আমি নই ছিলামও না কোন কালে
সকালের স্নানে
সিঁথির সিঁদুরে
গাঢ় লাল দুঃখ কিছু থাকে
ইচ্ছে বিরুদ্ধ নিষিদ্ধ কথার ঘ্রাণে
বেলা চলে যায়
মুখোমুখি অভিমান
মুখোমুখি চারাগাছ মাটি
কালো কালো ব্যথা নিয়ে উড়ে যায় মেঘ
পূজোহীন সরাবো হাত এতোটা অধম
আমি নই
খুব কাছে এসে পেতেছি হৃদয়
শীতের বছরগুলো শেষে
কল্পনার কক্ষগুলো জ্বলে.......
আমি তাঁর পায়ের কাছে রেখে যাই নির্জন
আগুনের পূজো।
কাঁপছে
সিঁড়ি
য়োর চোখের কবিতায় পথ দেখি
পাখিস্নানের জায়গাগুলো নিয়ে হোটেলে ফিরে যাই
তখন একহাজার এসএমএসে
কাঁপছে সিঁড়ি
শুকোতে দেয়া শাড়িতে
আলোকিত হয়ে আছে ছাদ
গাংচিল উড়তে গিয়ে উড়ে না
খুব ঝাপসা হয়ে গেছে দুপুরের সূর্য
প্রভু কে সে?
এতো ঠান্ডা আগুনে আমাকে পোড়ায়
আমি তাঁর ছায়া ভুলে বিশ্রাম নিতে চাই
ফুলে জ্যোৎস্নায় ভেসে ভেসে সারারাত
জল পান করে
বোতলের সুগন্ধে উড়ে যেতে চাই আরেক শহরে
আরেক নগরে।
ঠোঁটের
জোনাকি
নদীপথের বাজারে তাঁর
সাথে দেখা
পরণের পোশাকে ছিল বৃষ্টির দাগ আর
ভুল ঠোঁটের জোনাকি
তবুও
পকেটে এক পয়সার রংধনু নিয়ে
আমি তাঁর হাসি মুখস্থ করি
তাঁর জন্য মেঘের দেশে রাখি পাখিকণ্ঠ, রাখি
কিছু সবুজ
হয়তো সবাই জানেনা কেউ কেউ জানে
অস্তিত্বের অন্ধকার নিয়ে শরতের টেবিলে ফুটে চা
সেইসব যুদ্ধ শেষে
নদীরা পাখির মতো উড়ে
তখন আমি
যাবতীয় সন্ধ্যা মুখস্থ করি একা!
একাকিত্বের
ফুল
এক কাপ চায়ের মতো
উষ্ণ দূরত্বে থাকা
উজ্জ্বল মুখ অকারণে ফ্যাকাসে রাখা
কোন সফলতা নয়,
যদি পারো
অনুবাদ করে নিও পদচিহ্নের আলো,
আমার বিশটি বছর;
দ্যাখো কতো একা হয়ে বসে আছি
মৃত্যুর সাথে...
পরিপার্শ্বে শিমুলের রঙ, স্মৃতি
জানালার কাচ ঘেষে চুপচাপ পাতা ঝরে,
বৈশাখের পাহাড়গুলো
হামাগুড়ি দেয় বুকে
তবু নির্জন বিকেলে ফোটে
একাকিত্বের ফুল!