বুধবার, ২১ জুন, ২০১৭

মন্দিরা ঘোষ



মন্দিরা  ঘোষ

বহু যুগ  পরে আবার

তোমার জানালার গরাদে
ভয়ংকর বিষন্নতার বাসা
তোমার বুক থেকে ঝরে পরা
একটি মনখারাপে
ছেয়ে আছে সারা আকাশ
তোমার একবিন্দু কান্নাজলে
ভেসে যায় গোটা জনপদ
একটি হাহুতাশে গোটা  মহাভারত
জন্ম নেয়
বহুযুগ পরে তাই  এলাম আবার
শূন্য মুঠোয় ভরে দিতে
কিছু আজন্মের  আশ্বাস।




সমুদ্রের তীরে

আজন্মের ক্লান্তির পথ এসে থামে
বিষন্ন মেঘ সরিয়ে আলোকরেনু
ছুঁয়ে থাকে সমুদ্রতট
রুপালি বালিহাঁসের পালক
আলতো  চমকের ঘোর নামায়
বিলাসী ঝিনুক  চুমু আঁকে
রাত আদরের মত
অনেক পোড়া  রাস্তা পেরোনো
পায়ে দগদগে ঘা,
বিশ্বাস পোড়ানো
ভালবাসা প্রেম ইচ্ছে পোড়ানো
পথ পেরিয়ে পেরিয়ে আজ
সমুদ্রের তীরে-
সূর্য রঙ নীরবে আলতা এঁকে চলে




রাতঘুম দুহাতে আমার

ক্লান্তির স্বেদঘুম  রাখা আছে
বালিশের ভাঁজে
মিহি অন্ধকারে জড়ো করি
আমাদের যূথবদ্ধ  স্বপ্নশ্রম
চোখের চারপাশে সাজিয়ে রাখি
না বলা শ্লোক যত
রঙ তুলি  মুছে দেবে আমাদের
অবৈধ  স্বরলিপি সব
উঠে বসো একবার
দুহাতে ঝুলি ভরে তুলে নেবো
রাতজাগা যন্ত্রণা তোমার                  




ঘুম ঘুম সকাল

একটা নির্ভেজাল
সকাল নামুক 
তোর চোখে,
ভোরের কুয়াশার মত
ছুঁয়ে থাক ঘুম।
একটি স্বপ্ন আসুক
বার্তাবাহী সুখপাখির
নীলচে ডানায় ;
না বলা কথারা শুষে নিক
কপালের মুক্তজল,
অদৃশ্য গোলাপি ঠোঁট
মুছে দিক এযাবতকাল
হিসেবের ভুলচুক




একটি  শব্দের প্রেক্ষিতে

খুব সহজেই ছিঁড়তে পার তার
শিরার মধ্যে স্বরগতি
থামাতে পার অনায়াসে
ভালবাসার অভিমুখ 
বদলে নিতে পার অবলীলায়
নদীর নরম বুকে  যে উত্তাপ
রেখে এসেছ
তাকে রাখি কোথায় বলতো!
সে তো খুলে রেখেছে আগল
শেষ পারানির হিসেব টুকু
বুঝে নিতে