শ্রাবনী সিংহ
ক্যানারি পাখির বাসা
****************
কিছুটা মৃত্যুভয়
জন্মদিনের ভোর থেকেই শিশুটিকে কাঁদিয়ে বেড়ায়,
কিছুটা মৃত্যুভয় আসে
স্বদেশ থেকে দূরে সরে গেলেও ।
কিছুদুর
বিকেল নিষ্ফল
অন্যের জুতো পায়ে দিয়ে হেঁটে আসার মত,
সেইসব বিকেলে রাজহাঁসেরা চন্দ্রবিন্দু হারায়
পানকৌড়ির ঠিকানায়।
বিপ্লবের সুর কেটে গেলে
প্রতিটি
শ্বাস
ক্যানারি পাখির
বাসা হবে একদিন।
নশ্বর তারাজীবন
****************
কল্পনায় জেগে
মমিঘর অব্দি যাওয়াই হল না আজও
অথচ
দুঃখের মিশরে
রাতজাগা পিরামিড
... শোনাচ্ছে প্রাণাধিক ফারাওদের ভালোবাসার গল্প ।
এবং প্রাণের বীজ
সুপ্ত সম্ভাবনার।
অনেক দূরে
দুর্জয় মন্ত্রে কেঁপে যাচ্ছে ওঁ মধু
তর্পণের আয়োজন চলছে কোথাও...
মধুময়
একটা মৃত্যু নশ্বর করে দেয় তারাদের জীবন।
অন্তাক্ষরী মুদ্রা
****************
একটা বিশেষ মুদ্রা ভেবে শূন্যের দিকে ছুঁড়ে দিলে যেদিন আমাকে
জাগতিক পাখি
সেই থেকে উড়ি ...
সেই থেকে খেলা শুরু
শূন্য থেকে মহাশূন্যে
......
বায়বীয় ঘূর্ণন
হেড না টেল?
হেড না টেল?
মাথার ভেতর ঘুরপাক খায় চক্রবালে ঝনঝনানি
...
অতঃপর তোমার খুলে দেওয়া মুঠোর তেরঙ্গায় আসছি
ফিরে।
অন্য কোথাও...
****************
মধ্যরাতেও স্যান্ডউইচ-এ ভাগ বসায় কেউ।
এক মুসাফির বিরহ ফের বাসা বাঁধে। বিষাক্ত
সালফারের স্রোত বইছে বাইরে এবং ভিতর। বৃষ্টি তার অপর নাম।
দেয়াল জুড়ে শরীরের অন্য ছায়া। গলে যাওয়া মোমের
থেকেও প্রাচীন। নাম তার সহিষ্ণুতা ।
আমাকে বলেছিলে প্রাচীন গোপিনীদের কথা।
যেভাবে রাত্রি ছোঁয় পাইনের বন।শালফুল মানেই
বন্যতা।
......
তুমি ছুঁয়েছিলে
মহুল
আর লালপাহাড়ীর
তাল তাল নির্জনতার লাগাম ছুঁয়ে অন্য কেউ ...
পর্ণমোচী
পর্ণমোচীদের সময় শেষ।
হলদে বোঁটায় ঝুলছে আলগা বুনোফুল রসিকতা
মরা হেমন্তের গায়ে,
আর্কাইভ থেকে
কেঁপে ওঠে থেকে থেকেই
ক্ষণস্থায়ী পাতাদের বুক!
হারাকিরি
অস্তিত্বের সঙ্কট এলে আমরা
সরলরেখায় বিশ্বাসী হই।