অরুণকুমার
দাস
বিবাহহীনতা
------------------
কাল বলেদিয়েছ
বিবাহিত সম্পর্কের সমস্ত উপকরণ
ফিরিয়ে নিচ্ছ
রুপেরমধ্যে যতখানি কল্পনা
পার্থিব অপার্থিব চাওয়া
তা-সব ছুটি পোহাবে-
আজ থেকে
কালের গতিতে একটা একটা পেরেক
আমাদের সন্তান
আমাদের সন্তানজনিত একটা পরিচয়
মোছেনা
থাকবে---
মাথার উপর বুকের উপর সর্বোপরি
মনের উপর সমস্ত পেরেক সজোরে ঠুকে
দিতে দিতে রাত নামল
গভীরতায়-
তাকে তখনও বলাহলনা-
আজথেকে আমরা আর বিবাহ বিবাহ
খেলবো না!
নিমগাছ
------------
নিমগাছ অনেক তিক্ততা ধারণ করে
দাঁড়িয়ে থাকে
যাকে আর ঐকিক নিয়মে বাঁধা যাবেনা
মাথার উপর যেটুকু নীল এখনো প্রচ্ছদ
শাখা - প্রশাখায় বিভক্ত হতে হতে
নদী হয়ে ওঠে
আর নিমফুলের গন্ধে ম ম বিকেল
এই বিকেলের পাশে একা শ্রীমতী ঘরবার করে
তার শ্রী খানিক উদাস,
বিগত সংখেপ এভাবে সেজেছে
যে কোন মুহুর্তে সে আসবে
আর জয় করে নেবে সমস্ত অর্গাজম
তোর সাথে
----------------
তোর শরীর থেকে ডেকেনিই হন্যে হাওয়া
আর অ-প্রবল সংলাপ
গাছের মত হাঁটতে শিখিনি তাই নিজের
ভেতরে ভেতরে হাঁটি। অপ্রতুল পথ
ছোটোজামার মত টানতে টানতে
টানটাই প্রসঙ্গ হচ্ছে
জ্যামিতি যুগের দিকে এগোচ্ছি
ভাঙাকাচের শব্দ ভাঙা ভাঙা কোরিওগ্রাফ
উলটে পালটে একটা
ছোটো ফুল
জলের উপর তার ভাসমান জীবন
চোখ নত হয়ে আসে ভগ্নাংশের কাছে
জীর্ন এসরাজটি আগলে রাখি
বাজাইনা-
বাজাই শুধু নিজেকে
পুরোনোকে আঁকতে আঁকতে কাশবন এশে পড়ে
ঘাসবনের বাঘ আয় তোরসাথে খেলব আজ----
একটি
গল্প যা বলাহয়নি
-----------------------------------
বিকেলজন্মে কিছু চুল সাদাকরে রাখি
কিছু পাশবালিশ দূরত্তবাড়িয়ে অন্য সংসার
তারমধ্যে ধারাপাতের অক্ষর
মন ও শরীর
বাইরে ওরা দেখাচ্ছেনা ভেতরকার প্রফাইল
লোহার আয়নায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখি
নিঃস্ব একা চড়ুই
পান্ডুর শহর গর্জন লুকোতে লুকোতে
তৃণভোজী
মানুষের ভেতরে একদম একা একটা বটগাছ থাকে
অন্ধকার গন্তব্যে নিদৃত ঘোড়াদের পাশে
তেপান্তর লিখে শুয়েপড়ি
সকাল হতে হতে আরোকিছু চুল সাদা হয়ে যায়
তুমি
ডাকলে যাই
-------------------------
আমি বারে যাই না
বারে বারে যাই, তুমি ডাকলে
যাই-
চাঁদের ভুলপৃষ্টে নেমেছে আঙুরের ঈশ্বর
আঙুলে বাজাই তার
তার তারে তারে বাজাই তারে
নির্বাণের শহরে শ্রমণ একলা
একলা সুজাতা ও
বহুদিন, ভ্রমনে যাওয়া হয়নী
ভিক্ষাপাত্র খালি পড়েআছে
বোধীবৃক্ষের চারপাশ শুনশান
ধবলপাহাড়ে আজখুব হীম
উষ্ণতাভীক্ষা চেয়ে দাঁড়াই দুয়ারে
আমি বারে যাই না
বারে বারে যাই, তুমি ডাকলে যাই---