জারা সোমা
.........মন
খারাপ......
এক অজানা মন খারাপ
তুমি এলে সে ও সঙ্গী হয়
পিছুপিছু ,
শুধুই মনে হয় মাঝে
বেড়ে যাচ্ছে দূরত্ব
মাথায় হাত দিলে
পাশে এসে বসলেও
এক অজানা ভয়,
তোমাকে ছুঁলেও মনে হয়,
ভালোবাসা পলাতক
শরীরটা সামনে
কিন্তু মন!
কালো মেঘ জমা হয়
সমস্ত শরীর জুড়ে
বিষাদী সানাই,
তুমি এলেই সঙ্গী একরাশ
খারাপ খবর,
বন্যা, দুর্ভিক্ষ, খরা ,দাবানল,
নিম্নচাপ, ভুমিকম্প, সুনামী ,
কান্না, আর্তনাদ, মৃত্যু!
তুমি এলেই মন খারাপ
তোমার চলে যাওয়াও
অসহ্য ,
অপেক্ষায় পথ চাওয়া ,
একরাশ মন খারাপ .....
হয়তোবা
সে আমার সামনে দিয়ে চলে গেলেও
পিছু ডাকি না ,
এইভেবে সান্ত্বনা পাই কিছু আগেও
সে ছিল পাশাপাশি
সড়ক পথের চলমান দৃশ্যগুলো বেশ প্রিয়
বড়ো বেশি জীবন্ত
আচমকা মেঘ ডাকলে ভেতরটা
কেমন যেন গুড়গুড় করে
সে আমার হয়তোবা ...........
মাপঝোক
জল মাপছি রোজ
নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে
বেশি কাছে গেলে
জানি জাস্ট ভেসে যাব
দোরগোরায় নতুন বছর
প্যাশন ও ফ্যাশানে ভাসে হৃদি
তারপর মাঝে বিরতি
তেমন কোনো চাহত নেই বলে
জলকেলিতে যাইনি অ্যাকোয়াটিকা
নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা
একটি বোকার হদ্দ........
তৃষ্ণা
তৃষ্ণার্ত চাতকের ঘোর পিপাসা
শরীর জুড়ে ,
বৃষ্টিহীন বৈশাখে গোপনে
ছুড়লাম যে সংকেত,
তুমি কি জেগে আছো !!
চোখ মেলেছো কি !
শুধু হাত বাড়িয়ে দাও,
তারপর
আছড়ে পড়ুক
কালবৈশাখী ......
............লাশ..........
একজন জলজ্যান্ত মানুষ কখন কিভাবে
লাশ হয়ে যায়, তার নিজেরও অজানা
জানেনা বলেই স্বপ্ন দেখে , শপথ নেয়
দূরত্বে সরিয়ে রাখে সত্য
মেনে নেয় কাল্পনিক ধর্মাচরণের
জটিল স্বর্গ নরকের ব্যাখ্যা,
বিশ্বাস করে জন্নতের সুখ দোজখের
ভয়ঙ্কর অগ্নির গালগল্প,
বর্তমান কে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে কাল্পনিক
পুর্নজন্মের বাসনাকে লালন করে
নিজেই নিজেদের হন্তারক
একজন জলজ্যান্ত মানুষ কখন কিভাবে
লাশ হয়ে যায়, তার নিজেরও অজানা
চলন্ত সময়ের হাত ধরে জন্ম দেয়
সন্তান, লোভ, লালসা , ঘৃণার
আশায় কাটিয়ে দেয় জীবনভর
ছুঁয়ে যাওয়া খরা , বন্যা, দূর্ভিক্ষে ,
কখনও বা দার্শনিক ঢঙে দেয় ভাষণ
কেউ বলে তিন হাত মাটি , কেউবা
আলতা পায়ের জলছাপ,
ক্রমে ধূসর হয় দেওয়ালে টাঙানো ছবি
শুকনো বাসি মালার স্তুপ,মলিন স্মৃতি,
কখনওবা ঢুকে আসা বেনোজল, সংসার
সম্বিত ফিরতেই দেখে অবয়বহীন
বাতাসের ধুলিকণায় খড়কুটোর মতো
উড়ে বেড়ায় বিলাপ, সুযোগের পরেও
এ জীবনে বাঁচার মতো বাঁচতে না পারার
সীমাহীন আক্ষেপ,
মানুষ কখন বেঁচে থেকে লাশ হয়ে যায়.......