চৌধুরী ফাহাদ
খেলা
আমরা ক'জন-
দাড়িয়াবান্ধা খেলতে গিয়ে
প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছি
বালক, এভাবে হয়না...
এই খেলা হৃদয়সিদ্ধ
এই খেলা মৈত্রীর
এই খেলা গোত্রীয়
এই খেলা যুগলবন্দীর
সহজাত শ্বাসে ধরে রেখো
ত্রাস
আলিঙ্গনে নাছোড় বিশ্বাস
পলকেই ছুঁয়ে দাও তরঙ্গ তড়িৎ
শিরায় শিরায় রক্ত উল্লাস
অনায়াস আপন করো বাহুনিবাস
দ্বিপক্ষীয় মধ্যরেখায় এসো,
ঝাপটে ধরে হয়ে যাই ইতিহাস!
মৃতদৃশ্য
আমাদের ঈশ্বরেরা যেদিন থেকে
বলি হয়ে গেছে প্রভুত্ব লাভে
সেদিন থেকে তৃণভোজী পাঠার
সাথে ঘ্রাণের বিরোধ
নাক চেপে ধরে মানুষের ক্রোধ
ধবল টানে সেইসব ঈশ্বরেই বুঁদ!
হাঁটতে শিখলেই ঈশ্বরের পথ, প্রভুও রাখে
অন্ধকারের নামে শপত...
মানুষ হতে পারেনি যেসব
প্রাণ এইসব গন্ধমঘন সঙ্গমে
গাধারঙপীঠে কুলীন শীৎকারে
জীবন-মানচিত্রের আলিঙ্গনে...
ভ্রম
এক একটা দুপুর পাশ কাটিয়ে
চলে যাচ্ছে,
ধরছে না কেউ!
এক একটা দুপুরকে পাশ কাটিয়ে
যাচ্ছে চোখ,
রমণীয় সন্ধ্যায়!
হৃদয় কোমল বুঝে, কোমল খুঁজে-
জীবন!
এক একটা দুপুরকে পাশ কাটিয়ে
জীবন,
এক একটা সন্ধ্যায় থমকে
দাঁড়ায় হৃদয়।
মিশে যেতে যেতে হৃদয় ডুবে
যাওয়ার কিছু নেই;
ডুবে যেতে যেতে রঙ, সেই আঁকড়ে ধরে
জীবন!
শৈশব
দুই'টা শৈশব
পাশাপাশি হেঁটে যাচ্ছে
স্মৃতিতে...
রঙিন জামা গায়ে ভবিতব্য
সাদা জামা গায়ে অতিক্রান্ত
দুই'টা শৈশব হেঁটে
যেতে যেতে পাশাপাশি
ছাড়িয়ে যাচ্ছে চোখের আয়োজন
সমরেখা হৃদয়,
সরল পথ-সময়-জীবন-এক এক দুই
সাধ্যে অসামাঞ্জস্য ছুঁই
সামনে রঙিন
সুদুরে দিন-রঙিন
দুই'টা শৈশব হেঁটে
যাচ্ছে পাশাপাশি
দুই'টা শৈশব পার হয়ে
গেলো
সীমাবদ্ধতায় রেখে রঙিন
সূচি...
ঘর
আমাদের ঘরের পরে তোমাদের
ঘর-
ছিল
সীমানা পেরিয়ে দেখি কিছু
নাই
না আমাদের, না তোমাদের-
ঘর
দালান এখন এক একক লৌকিক
শোভা
গড়তে গড়তে ঘর ভেঙে বাড়ি উঠে
গেছে
আমাদের ঘরে আমার আছে
তোমাদের ঘরে তোমার আছে
আমার-তোমার বাড়িতে আমি তুমি
আছে
আমাদের ঘরের পরে তোমাদের ঘর
ছিল
আমার বাড়ির পরে তোমার বাড়ি
এখন
যেতে যেতে ফাঁকা হবে কি
আকাশ?
যেতে যেতে মাঠ হবে কি ভরাট?
যেতে যেতে নদী রবে কি
নিরবধি?
যেতে যেতে সবুজ থাকবে কি
অবুঝ?
যেতে যেতে পথ চিনবে কি 'আমাদের' তট?
একদিন, এভাবে একদিন
ঘরে গড়ে উঠতে উঠতে বাড়ি
আমি তুমি এক রেখে আলাদা হবে
একদিন, এভাবে একদিন
সীমানার ওপাড়ে কিছুই থাকবে
না
ঘরে ঘরে বাড়ি
বাড়িতে বাড়িতে পর
ঘর, ভেঙে গেলে...