সোমবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৬

ইন্দ্রাণী বিশ্বাস মণ্ডল



ইন্দ্রাণী বিশ্বাস মণ্ডল
(পাকিস্তানী) মহাভারত
সত্যার্থী মালালা
কাঁটা তুলে
সাহসী মুকুট

পাশাপাশি দুই দেশ,
সিন্ধু-গঙ্গা এক গেলাসে
পান করেছে
প্রবল ইংরেজ

আফিং খাইয়ে ঘুম পাড়ায়
রাজা প্রজাকে
আর কত কাল মান বাড়ানো
বিদেশী চকোলেটে ?

দিলাম তো কত !
ভাগ করে খাও
মহাভারত ' শেষে




অশান্ত উপত্যকার মাঝেও.......         
মেঘের আঁচলে উড়িয়ে নিলাজ
ভালবাসায়
লক্ষ মানিক কঠিন চোখেও
আগুন জ্বালায়
বুটের তলা শত্রুপক্ষের রক্তে ভেজা
অনন্ত রাত পূ্র্ণিমা চাঁদ
হয়নি দেখা !

প্যারেড-বুলেট-মানচিত্রে
মনটি বাঁধা
অনেক শীতেও পাইনি আগুন
স্বপ্ন দেখার

দড়ির ব্রিজে পা রেখে সাম্য হাঁটা
নদী-শরীর স্রোত দেখিয়েও
অনেক ভাঁটা

বোম-বাক্সে মাথা দিয়ে
তাকেই খুঁজি,
অনেক দিনের অদেখাতে মনোবিকলন
পূর্ণিমা চাঁদ ঝলসানো এক প্রগাঢ় চুম্বন 




নতুন সূর্য
আজ যাকে হাতে পেলাম
তাকে ছুঁয়ে জোয়ার হলাম

আদর্শলিপি, বর্ণ-পরিচয়
দেখানো পথে হাঁটলাম
বুঝলাম এও এক
হিউয়েন সাঙের পরিক্রমা,
দ্রোণাচার্যয এগিয়ে এসে
তীর-ধনুক হাতে দিয়ে বললেন
একাগ্র হও

আপন মনে নিঃসৃত গোঠের বাঁশি
হীরক কনা হয়ে অক্ষর হলো
যে অক্ষরের জন্ম দিতে পেরে
এক গিরিখাত শ্বাস নিয়ে
দাঁড়ি হলাম

আবার কমা, কোলন,
সেমিকলনের আসরে
মায়াময় ছায়াপথ দেখে
আবার অপেক্ষা করব
আর একটি হিরন্ময় ভোরের জন্য





পারিনি
অজস্র বর্ষণে সুখি শালিক
ভেজে,
মহানগরীর উঁচু উঁচু
ফ্ল্যাটগুলো ভেজে
তবু মৃত্তিকা
তোমাকে পারিনি ভেজাতে

সহসা নদীর জলস্রোতে
মানুষ-জমি ধুয়ে যায়
দুরন্ত স্রোতের গর্জনে
পৈশাচিক হাসি মিশে যায়
ভীরু চাঁদ লন্ঠন নিয়ে
পথ দেখায়

তবু পারিনি তাকে
ভীত করতে




দলের নাম
নাসা ঘোষণা করলো
কসমিক রে
পৃথিবীর ঠোঁটের ধার ঘেঁষে থাকে __
মাভৈঃ

বিপদ ঘটলেও ঘটতে পারে
তবু সাবধানের মার নেই

পথ চলতি কিশোরী
বাইকের ইচ্ছে স্পর্শে
ছিট্কে গিয়ে পড়ে
ঘাসে

তার শরীরের ধেয়ে আসা
কসমিক যৌবন
ধাক্কা খায়

পৃথিবীকে আরও
দৃঢ়, মাধ্যাকর্ষণে বেঁধে রাখো
নিউটন_
যাতে সে কুলটা না হয়

আসছে কসমিক রে- দল
জহর ব্রত করো হে সভ্যতা