বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়
জন্মদিন
এক জন্ম থেকে অন্য জন্মের পথে
প্রতিদিন পরিক্রমা, নিজেকে নতুন করে
ভেঙ্গে দেখা মুহূর্তের আলোবন্দী রূপ ।
রাস্তার
বাঁকে
কুড়িয়ে পেলাম কিছু ধুলো বালি
নির্জন ঋনের
দাগ,
মাটির প্রচ্ছদে লেখা
বৃষ্টি বাদল ।
আবহমানের এই পথরেখা
তুলে তুলে ঝুড়িতে
ভরেছি স্মৃতিফসলের ভূমি ।
প্রতিদিন শাঁখ বাজে
শব্দের
সঙ্গম । এক জন্ম থেকে জন্মান্তর ......
জ্যোৎস্না প্লাবিত অক্ষর অনন্ত জন্মের খোঁজে দুয়ার পেরিয়ে যায় ।
কম্পনাঙ্ক
_________
খোলসপর্ব শেষ হলে রঙ লোপাট
সম্বিত হারানো ঐ প্রলাপের পথ
কম্পনাঙ্ক বদলে বদলে হিম
প্রতিস্থাপিত
চেতনায় দীর্ঘতর ঘুমরাত
আঁধার কুসুম
যাদুমুগ্ধ তবু
আরক্তিম ।
গাছ
শেকড় ডুবিয়ে
বসে আছি
তোমার ভেতরে
এই কাদামাটি তার পেলবতা ছুঁয়ে
তলদেশে
জল ও লবন
পাই অলৌকিক স্বাদ
ধ্বনির বিক্রিয়া থেকে উঠে আসে ওম
এ রোমাঞ্চ ভূমি
বেহেস্তের উদাস বাগান আলোপথ
অরণ্যের গোপন ছায়ায় বসি কিছুক্ষণ
তৃষ্ণা নিবারক ।
আনন্দলিপির গান বেজে উঠে বুকের কার্নিশে
বাষ্পমোচন
উগরে দিই শূন্যতার খাঁজে
তৃপ্তির ঢেঁকুর ।
জলখেতের মাঝে
জলখেতের মাঝে
ওই যে
ছায়াটি ঘুমোয়
তার কান্না ভাদ্রের মেঘ হয়ে ভেসে আছে
এই তীব্র দাঁতচাপা নিঃশব্দ টনটন করে ওঠে আকুলতা
তার জন্য টেনে আনি নদীটির ওম
শূন্যতার অনুবাদ কখনও বাতাস দিয়ে
গ্লানি মোছে ?
অপমান ক্ষত কেউ
জলের সেলেটে লিখে যায় ?
ওই যে ছায়াটি কাঁদে
তার কান্না নদীজল তার কান্না আরোগ্য তরল ।
পাহারা
তুমি চাঁদ হয়ে রাত পাহারা দাও
আমি স্বপ্ন লিখি বেদখল সাদাপাতায়
কতদূর থেকে বৃষ্টি ভেসে ভিজিয়ে দেয়
আমার প্রলাপ , জন্মান্তর তা দেয় , ডিম ফোটে
আলো উড়ে গেলে
রোদের মলাটে তবু রয়ে যায় অস্ফুট সম্ভাবনা ।