সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০১৭

শ্রাবণী সিংহ



শ্রাবণী সিংহ

পাহাড়ি

বৃষ্টিফুল ঝরে ...
বৃন্ত উঁচু পাহাড়ির ঘাসে।

               নির্বীজ চাষি স্বপ্নে আবাদী বুনে সমতলের জল নিংড়ে আঁকা            
 মেঘের  ছায়াছবিতে।

এক পেয়ালা ধোঁয়ার নৃত্য রেখে উড়ে যাবে চাতক রোদ
বাকিটুকু  ভগ্নাংশ জুড়ে  খুচরো লালসা জীবন

কথা চালাচালি হোক
জাল বোনা হোক
ধ্বংসের
কিংবা ছলনার....।

কাঠের ঘরবাড়ি , ফেরার বন জঙ্গল
আজও  গাছেরা  আসবাব হতে চলেছে কোথাও ।




গুম্ফার আলো

কিছু সবুজাভ মেঘের ঘুড়ি ভোঁ-কাট্টা হয় না, চিরন্তন থেকেই যায় বর্তুলাকার নীলে।

বাঁধের ওপাশে কিছু ফর্সা বক উড়ে গেলে সাদারঙ চেনা যায়।
পাথরের কলস থেকে জল গড়িয়ে খেয়ে উড়ে যায় দাঁড়কাক
পাখিদের মনস্ত্বত্ব বোঝে কে?
মানুষের ?

পেবল গলে গেলে কলসীর কানা বেয়ে জল নেমে যায় খোয়াই উপত্যকায়।
গুম্ফার আলো পথ দেখায়
নিরাশ্রয়কে ঘর ।




চাকা

উৎরাই বেয়ে নেমে যাচ্ছে যে হিমচাকা
তাতেই কি রাত গড়ায়?
রাতের মত যে সমস্ত দুপুর...

হাওয়ার পাগলপন কিছু ইশারা দেয় কি?
আলু-ভাতে আর ডাঁটা চচ্চড়ি খেয়ে ঘুমন্ত কিষানের পাশবালিশ।

ডাইনীতন্ত্রের সব ভুডু ডল হানা দেয়
প্রেতযোনিতে ,অস্বচ্ছ কুয়াশা
সরলরেখার মাঠ

ম্যাকাও পাখি ডানা ঝাপটায়
তথ্যচিত্রে

আমরা কি পিছিয়ে পড়ছি না তো?
চাকার ইতিহাদ অথবা অন্যকিছু থেকে ...




বর্ষাতি মন

ছেঁড়া অমনিবাসের তালিকা দীর্ঘ হয়। বয়স বাড়লে বেলাও দীর্ঘ হয়।
ছন্দপতন থেকেই
ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়ে।
এ মন  বর্ষাতি আজ। বাইরেটা ভেজা নয় তবু মন ভিজে আছে,
আত্মঘাতী নীলে পেখম তুলে ময়ুরনাচের বাগান।

ইন্দ্রিয়ের সংসার জুড়ে অসংখ্য লাইলাক লতা।
প্রব্রজন কাল।
যাবার তো কথা নয় তবু যাই ভেসে ভেসে যেতে কার না মন চায়?
ভাঙ্গনের শীর্ষ হতে হতে
মোহময়  একদিন।





আইসক্রিমের কাঠি

পোড়া জিভে জল আসে না ,
আইসক্রিমের গোলাপী দাগে  ঠোঁটের নিজস্ব ভীরুতা
গলে যাওয়া আইসক্রিমের কাঠিগুলো নাড়াচাড়া করি।

একটা দীর্ঘ প্রতীক্ষার ফল জানি আসছে  খনির ভিতরের হীরামন
দ্যুতি নিয়ে  ,
লণ্ঠনের আলোয় কাঁপা-কাঁপা অস্পষ্ট সব অন্ধকার মনে হয় 'ক্ষমা'

মোড়ের মাথায় একটা প্রশ্নচিহ্নের মত দাঁড়িয়ে থাকা  কিশোরী বকুলগাছ। তাকেও
ঢেকে দিয়েছে ছোঁড়ারা ফেস্টুনে,

ধর্ঘমট

এখানে অন্যভাবেও  হিংসা ছড়ায়
মনে হয় আমার শহরেও
তোমার উর্ধাঙ্গে যেদিন কাঁচপোকারা গেঁথে গেল বখাটে যন্ত্রণা ।