মন্দিরা ঘোষ
সমীভবন
জানি
তোমার অসহায়তার শূন্যচোখ
ইথারীয়
স্পর্শকে ঠেলে রাখা
বিবেকবর্জিত
তরঙ্গের
ভেতর দোল খায় ফিঙে
ভিজে
ডানায় গড়িয়ে যায় কৈবল্য
স্খলিত
রেনুর কলরবে
মাথা
তোলে অজস্র রক্তবীজ
দূর্বার
ঘূর্ণনে আহ্বান সমানুপাতিক ছন্দ
সমীভবনের
ইচ্ছা করি
বিপর্যয়
সংহারে ক্যাটালিস্ট
ইথারকণা
তোমার জ্যোৎস্না হাসি
চাহিদারা
হাত গুটিয়ে রাখে
তোমার
উদারতায়
কাজের
মানুষ,দুধওয়ালা,
টেলিফোনের
ব্যস্ততায় ঢাকা পড়া মুখ
আঙ্গুলজীবন
হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত যখন
তুমি
ঘরে এসে গোছগাছ শুরু কর
বোতল
খুলে জল খাও
স্মার্ট
ফোনের মেসেজে চোখ রাখো ,
সাদা
বিছানায় গড়িয়ে পড়ে
তোমার
জ্যোৎস্না হাসি
আমার
সারাদিনের রাস্তাঘাটে
পরিপাটি চাদর পাতো
অথচ
আমার চেয়ে থাকার পথে
তোমার
পাশ ফেরানো পিছুটান
দিনের
শেষে তোমার জ্যোৎস্নাহাসি গুলি
সযত্নে
কুড়িয়ে রাখি আমার ক্যানভাসে
ইচ্ছেঘুড়ি
আজও
একশো ইচ্ছেঘুড়ি
আকাশপারে
নির্জনলোভের
ঘাই কাদাজলে
হাজার
বছরের পুরনো মেঘদুপুরে
জমাট
বসন্ত মৈথুনের অধিকার
উচ্ছিষ্টের
মত হলুদ দুঃখবোধ নিয়ে
কড়া
নাড়ে বন্ধ বাতিঘরে
কান্নামোড়া
বাঁশপাতার নৌকোয়
ইশারার
পথে ভেসে থাকা
ভালবাসার লালনপালনে
কড়ি
হলুদের নিবিড় গাঁটছড়া
অন্যরকম
দিনের
রঙগুলি একইরকম ফ্যাকাসে
মাঝে
মাঝে চায়ের স্বাদ পাল্টাই
একঘেয়ে
কাপও বদলে ফেলা
জরুরী
কখনো
হঠাৎ
একটি ভাঁজ করা বিকেল
সারাদিনের
রঙ পাল্টে দেয়
সময়গুলো
টুকরো করে খুলে রাখি
পথগুলো
উদ্দেশহীন ছিল যখন
হাসির
ভিতর শুধুই সাদা ওড়না উড়ত
ভালোলাগার
হাল্কা পালকরেনু
ধানশিষটির
গায়ে
করমচা
আর আতাফলের গন্ধে
সন্ধ্যে
নামত শানবাঁধানো উঠোনে
ভাঁজখোলা
অগোছালো হয়ে আছে সব
যোনির
অন্ধকারে দুঃখবোধ ঘাড় তোলে
ভাঙ্গা
কোমরের আস্ফালনে
চেয়ে
থাকা চাওয়ার মাঝে
শূন্যতা
ঝেঁপে আসে
শূন্য নামাও অনিকেত
সময়
এসেছে অনিকেত
পালটে
ফেল চাল
মদ
মাংস নারীর পাশে
পরমান্ন
রাখো
শমীবৃক্ষের
ডালে
লোভের
আতসবাজি
পুড়ে
ছাড়খার হোক
হিসেবের
গোলাবারুদ
সব
সংখ্যা মুছে ফেলে
শূন্য
নামাও
ভরে
যাক জোনাকির যোনি
যেভাবে
পান্ডবের হাত ছুঁয়ে
করেছিলে
কিস্তিমাত
সেভাবেই
না হয় আজ
পন্ড
কর ধর্মাধর্ম খেলা