শাহানারা ঝরনা
নতুন নামতা
তোমার
তুমিতে মেশা জলছবি দিন এক
আমার
আমিতে মিশে একাকার সারাক্ষণ ।
মানবিক
কষ্টের জলে দুটি চোখ বিরাগী হলে
ধারাপাতে
যোগ হয় গৃহকাতর অনুভুতির নতুন নামতা ।
মন বাড়ি
থেমে যায় শব্দের উৎসব ।
আঙুর
রোদের তাপে পাশাখেলা প্রহর কাটে ।
বিধ্বস্ত
মন বাড়িতে দেখি অরক্ষিত পড়ে আছে
যান্ত্রিক
ভাবনার গেরস্থালি ।
শিশু বেলা
নেশাগ্রস্থ
অতিথির মত বারবার আঙিনায় আসে স্মৃতির সারেং ।
করুণ
সুরে গান গায় কুটুম পাখিরা ।
অস্থিরতার
ঝুলনে দুলি ।
শিশু
বেলা আমন্ত্রণ জানায় এক্কাদোক্কার উঠোনে ।
প্রচ্ছদে আঁকি
দ্বিধাবিভক্ত
সময়ের অনুশাসন মেনেই
পয়মন্ত
হয় আগামির বারোমাসি ।
মনন
প্রচ্ছদে আঁকি সময় ও সভ্যতার ছবি ।
শৈশব
বিলি কাটে বুকের ভেতর ।
পরাণের গহীনে
তোমাকে
মুছতে গিয়ে মুছে গেল কত রাতের তারা
ডুবজলে
ভেসে গেল কত প্রেমের পাণ্ডুলিপি । পরাণের গহীনে হাসে
মাদক
বাতাস । দারুচিনি স্বপ্নঘোরে কাঁদে বয়সি বৃক্ষ ।
কখনও
কলস্বরে মাতে ঝিনুক সন্ধ্যা । দেখি বাক্যদান আবেশে তুমি
দিব্যি
জলসা মাতাও নেশা মন্ত্রের তসবি হাতে ।
ভবঘুরে
বিষাদে কাটে তমসা প্রহর,
আমি চিন্তাহরণ ধ্যানের মহৌষধি
সেবন
করে পরজন্মের সতীর্থ হই । কিছু বোঝার আগেই সুরতন্ত্রে বেজে ওঠে
তোমরা
কুঞ্জ সাজাও গো '
----!!