বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়
অপত্য
বৃষ্টি
আর রোদে
তোকে
আগলে আগলে রাখি ।
ঝড়
ওশীতের দিনে
একান্ত
আশ্রয় টুকু
তোর
পকেটে পুরে
ঐ দূরে
বিষন্ন দাঁড়াই ।
নির্দিষ্ট
স্বপ্নের জন্য
বারবার
ঝরে যেতে রাজী ।
বিচ্ছুরণ
যা
ছুঁয়েছো স্পর্শাতীত
হাতে
নিবেদন
চিহ্নগুলি স্থির মগ্ন
ক্রমশ
বিস্তৃত হল সত্যের মহিমা
দিব্যময়
হেসে ওঠো….
প্রণত
অস্মিতা তাও রেখে যাই
দিগন্তের
কাছে….
চোখ
মেলো, অখন্ডমন্ডলাকার
দ্যুতিময়
প্রতিদিন
বিকেলের আলো
বিকেল
ছোট হয়ে আসে…..
দুপুর
অল্প
একটু আলো
ধীরে
ধীরে সন্ধ্যে নামে
মনকেমন
বিষন্নতা একপাশে পড়ে থাকে ।
এখন বিকেল নেই
ফুটবলের
গায়ে লেগে থাকা রোদ
জানলায়
উঁকি মারা লাজুক রোদ
স্কুল
ফেরত বাস থেকে নেমে পড়া রোদ
ওরা
সবাই দূরের কোন অফিসে কাজ করে ।
কেবল
একটি রবিবার থাকে বিকেল দেখার ।
একটি নক্ষত্র আসে
( কবি
জীবনানন্দ দাসকে মনে রেখে )
রূপসী
বাংলার বুকে
বনলতা
সেন হেঁটে যায়
এই
হাঁটাপথ ধরে ফুটে আছে তিমির বিনাশী তারা
অনশ্বর
বর্ণমালা
শব্দের
মানচিত্রে ধ্রুপদী মগ্নতা
অনন্ত
নক্ষত্রবীথি সজাগ স্নায়ুতে
একটি
নক্ষত্র আসে
ঝরা
পালকের মত খসে পড়ে প্রাচীন আঁধার
তারপর…
কেবলই
দৃশ্যের জন্ম হয়
জন্মদিন
এক
একটি জন্মদিন মাথার উপর আঁকে আনন্দ আকাশ
শুভেচ্ছা
সফরে তাই হৈ চৈ তুলকালাম খুশি ও মৌতাত, হেসে ওঠে সন্ধ্যাতারা
তুমি
হাত বাড়িয়ে দাও দিগন্তের দিকে
ঝমঝম
বাজতে থাকে নিরালা এস্রাজ ।
এক
একটি জন্মদিন তোমাকে বুনতে থাকে রঙীন সূতোয়
ছবিগুলো
বদলাতে বদলাতে নিজেই নিজের মনে হাসো
-এরকমও ছিলাম
একদিন
রোদ আর
আলো এসে দরজা খুলে দেয়
এক
একটি জন্মদিন
পালতোলা
নৌকার মতো ভেসে যায়…
: এই যে
শুনছো
ব্যস্ত
হাওয়ায় উড়তে থাকে সময় ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাবার অবকাশ নেই
“দেখো
আমি বাড়ছি মাম্মি”
শব্দ
গুলো ছড়িয়ে পড়ে দূর থেকে আরও দূরে ...।