মৌ মধুবন্তী
নির্ঘুম রাতের ফসিল
পৃথিবী
এক গর্ত
বেঁচে
থাকার শর্ত
তবে কি
আমি বেঁচে নেই?
রাত
আসলে দিন ফুরাবেই
হেই
রঙিলা
ধানের ক্ষেতে
রয়েছি
আনন্দে মেতে
আমার
ভেতরে চলছে এক ঝড়ের তান্ডব
আমি
পরাধীনতা মানিনা, এটাই বাস্তব
তাই
পৃথিবীর গর্তে আটকে যাওয়া পা
টেনে
নিয়ে যাচ্ছি, চাঁদ তার হচ্ছে বহতা
মানুষে
নেই কেন একতা
যুদ্ধ
খেলায় সবাই উন্মত্ত
বেঁচে
থাকাই যেখানে শর্ত
সেখানে
খুনপিয়াসী হয়ে কি পাবে?
দুরারোগ্য
ব্যাধি খাবে? নিকোলাস আইস্ক্রিম
কিংবা
ডিনামাইট
দুঃসহ
দিনে, অসহায় লোকের কান্না পাহাড়ের সমান হাইট
পার
হবে কবে, কেমন করে? ভাবনা,ভাবনা
কে
ছিলাম,কি ছিলাম
কি
পেয়েছি,কি পেলাম
সব
কিছু রেখে দিয়ে পাশে
হাতে
হাত রেখে মানুষ কে ভালোবাসো না
ও
মানুষ আর হত্যা, খুনাখুনি করোনা
পৃথিবীতে
বাস যোগ্যতা হারিও না
মাথার
দিব্যি দিলাম
চোখে
কর্ণিয়া হলাম
দুচোখ
মেলে পৃথিবীকে কর উপভোগ
বেঁচে
থাকাই সুবর্ণ সুযোগ
হারিয়ে
ফেলো না
জঞ্জালে
ভরো না
মনটাকে
রাখো উর্বর
সবুজ
সমাধির উপর
নতুন
বিষ্ণুপিয়াকে দেখো না
হা, আহা হা।
পৃথিবী
হয়নি ক্লান্ত
তুমি
কেন এতো শ্রান্ত
নীরবতার
দাগ তুলে দাও
কন্ঠ
খুলে জয়গান গাও
আমরা
মানুষ আমাদের
বাঁচতে
দাও,বাঁচতে দাও
সাবলীল
ভূমি আর পলিমাটির দেশ
আমাদের
দিয়েছে আনন্দ অশেষ
তবু
কিসের জন্য এতো হত্যাকান্ড
বুকের
ভেতরে গর্ত এক প্রকান্ড
কেন
খুড়েছ? কেন রেখেছ?
মানুষের
মুখে মানবতা দেখেছ?
কেন
দেখনি, কেন পড়নি
নিজেকে
প্রশ্ন কর, উত্তর
নিজে
পাবে, রেখো প্রত্যয়
মানুষ
নিজেকে নিজেই কর জয়।
পৃথিবী
রবে অক্ষয়।
সকাল ৫
টা
টরন্টো, কানাডা, পৃথিবী
আগস্ট
৮, ২০১৭
কামুক
হরতন, রুহিতন
ভাবে
কতজন
জীবনের
সম্ভ্রম!
সব
কিছু মেলে দিয়ে
ঘুমাতে
গেলে অসময়ে
সময়
চুরি হয়ে যায়!
মন ভরে
যায় ব্যথায়
শুকনো
খটখট অনুভব
এই ভরা
বরষায়
মাথার
উপর অবোধ শুন্যতা
উড়ে
বেড়ায়, ঘুরে বেড়ায়, পালক ফেলায়
সভ্যতাকে
যান্ত্রিক বলে, কয়জন অর্গাজম পায়?
চলে
যাচ্ছে ঘুম নিউরন ঘুমের ডেরায়।
তবুও
কেনো আমাকে ভাবায়
কাল
সকালে সুর্য উঠবে তো?
নকলিপুরাণ কবি
এই যে
শুনুন, আপনি নাকি তোড়জোড় কবি,
শুনুন
একটু কথা বলি
কবিতার
সব গুণাবলি
একটু
আলচনা করি
হে, কে বলেছে?
আমি
ওসব কিছুই জানিনা
দিনে
রাতে সময় কাটে লিখে কবিতা
এই
যা।তেমন বড় কিছু না
সবাই
অনেক কিছুই জানতে চায় আমার কাছে
সব
বিষয়ে আমার মোটামুটি দখল আছে
দিনে
দশ খানা বই পড়ি, রাতে অনেক কিছু নকল করি
এখন
সবাই বলে আমি জবরদস্ত কবি
বাহ বা
বাহ বা
আপনার
তো জুড়ি হয় না
কিংবদন্তীর
সদস্য আপনি
নকলে দেখি
দক্ষতা ভারী
বলুন
তো দেখি, কার কবিতা
করেছেন
নকল ও কারচুপি
আমি তো
ছোট মোট কেউ নই
বিশ্ব
খ্যাত ছাড়া নেই কোন কবিতার বই
এইসব
নিয়ে মহা হট্টগোল
এতো বই
এলো কোথা থেকে -
বলেই
বন্ধুরা বলে, কবিকে ধরে তোল
তুলতে
এমন উপরে তুলছে নামবার পথ নাই
মাটি
ছাড়া কবিত্বের শেকড় পাবে কোন পথে ঠাঁই?
ওসব
কথা ছেড়ে দেন
চলুন
গল্পে আডডায় কাটাই
আপনিও
বাঁচুন আমিও নিজেকে বাঁচাই
আমি
কেবল আমার কৃতিত্বের কথা সবাইকে শোনাই
শুনলে
শুনুন, না শুনলে করি কেয়ার তোড়াই
আজ তবে
চলি, কবি
দেখেছি
নকলবাজের ছবি
নকল
আপনার পেশা, নয় হবি।
অবৈধ সভ্যতা
লাসাঞ্জার
ব্রা আর পেন্টি
জীবনের
অনুর্ধ গেঞ্জী
সমাজের
সভ্যতাদস্যু তুলে নিলো
মেয়েদুটি
আমরা
আরবের গুহায় থাকি
বিবেককে
দিয়েছি ছুটি
প্রতিটি
নারীর কাছে করজোড়ে বলি
পুরুষ
সন্তান উতপাদন বন্ধ কর।
নারীও
জন্ম নেবেনা
পৃথিবী
মানুষ হলে নতুন ভ্রুণ জন্মাবে
থাকবে
না, নারী-পুরুষ বৈষম্য ব্যবধান
রাত দুটো
মে আই
হেল্প ইউ।
দুচোখ
বিস্ফোরিত। নিটোল চোখ, ভাষায়
ভাসিয়ে
নিয়ে গেলো নির্জনতা।
রাত
দুটো।
ক্যান
আই হ্যাভ এগ বিল্ড বিএলটি এন্ড কফি ইউথ মিল্ক,
নো
সুগার।
ডাবল
সুগার।
নো
সুগার
নো
ম্যান্স ল্যান্ড। থমথম নীরবতা।
রাত
দুটো। ম্যাকডোনাল্ড দন্ডায়মান।
রাত
দুটো, ফাইভ টুয়েন্টি ফাইভ।
বুকের
ভেতর হু আওয়াজ-
অনলি
মিল্ক নো সুগার। ইতিহাস নেমে আসে
অতীতের
স্বর্ণসোপান সুগার বৈদিক ইতিবৃত্ত
নিয়ে।
রাত
দুটো। শুনতে পাচ্ছ? একটি আমাকে পাঠাও।
তোমার
দিব্যি। রাত দেবো না।
দিনের
স্বর্গ অন্তর জুড়ে মহাকাব্য, বিলেতি
বকুল, নীল পদ্ম, কালো গোলাপ,
ফাঁকা পার্কিং লট,
টুয়েন্টি ফোর আওয়ার্স ড্রাইভ
থ্রু, হোমলেস
বাম
বান্ডি জীবন
কি চাই
তোমার? এর সবি দিতে পারি, ফিতে বাঁধি।
রাত
দুটো আমাকে দাও। সে অসম্ভব।
ইন্দ্রধনু
জানো না
রাত কত
গভীর, বিলোল প্রত্যয় আর অংগে
জড়াজড়ি, দাবী দাওয়াহীন, ভীষণ গোপন
নিত্যপ্রিয়, খুব তোষামোদ, উল্টোপাল্টা, বৈরী প্রতাপ, তরুলতা ধ্যান।
রাত
দুটো আমাকে দাও। সে অসম্ভব। ওরা
আমার
হাত ছুঁয়ে দেয়, গাল ছুঁয়ে দেয়,
কপাল
জুড়ে বিত্তবানের চুমু, বুকের উপর
নাকের
কলস, ঝল্কে উঠে জলে,
নাভীর
উপর রাতের পলিস উছলে উঠে ঘামে,
উরুর
উপর তারার বাতি হাঁটু বেয়ে নামে,
পায়ের
পাতা বিশ্ব ফাঁদে জড়িয়ে ধরে জোরে,
আমার
তোমার
লক্ষ
যোজন দাঁড়িয়ে আছে রাত দুটোর ফাঁকে।
রাত
দুটোকে আটকে দেব বড়শী বেলার দিনে।
সে
অসম্ভব।
এমন
করে বললে তুমি, আমি এখন আটকে
আছি
দিনরাত্রির মাঝে।
বাড়ানো
এই হাতের পাখী নেই যেখানে শুন্য
ব্যাপক
তুমি, বিষয় তুমি, ঐশী
তুমি, তুমি আমার জন্য
ম্যাকডোনাল্ডের
ঐটুকু রাত
আমায়
কেবল দিও
লক্ষ্মীবন্তী
তীরের ফলা
এইটুকু
তো মানো
নীরবতাই
বলে কথা
সকল
কথা সত্য কথা
সে তো
তুমি জানো
আমার
প্রিয় গোপনবাসী
এখন
রাত দুটো।
বলাকা চাঁদ কার হেফাজতে?
ও
বলাকা চাঁদ তুই বসে আছিস কার হেফাজতে?
তুই
উড়ে বেড়াস তোর আপন রথে
তোর
আলো ছড়ায় বিভা মানুষ ও গরুর চক্রে
তোকে
নিজের করে পেতে চায়, অনেকেই একাগ্রে
তুই ঐ
আকাশের সংগী, মাটিতে নাচের মুদ্রা
তোকে
গুম করে দেবে, খুন করে খাবে তুই নাচ থামাস না