রীনা তালুকদার
পরমাণু কবিতা -৩৮
এভাবে কী হয় ? পর পর দূরে দূরে মোবাইল বসতিতে
না দেখা ফটোগ্রাফ ধূসর ধোঁয়াটে মেঘ সরিয়ে মঙ্গল থেকে তাকিয়ে থাকা। যতবার কল্পনা
করি ফটোগ্রাফ জল রং তৈল রং মেখে পোর্ট্রেইট হয়ে যায়। তবুও তোমার আশায় রাতের মেলা
শেষে ভোর আসে নিরস মুখে। আমিতো সূর্য আগুনে জলন্ত প্রভাতের অগ্নি উপাসক।
পরমাণু কবিতা -৪০
সেই কণ্ঠস্বর
বিহবল করে রাখে সারাবেলা
মোবাইল বেজে ওঠে
উচ্ছলতায় হারাই
আত্মবিশ্বাসের নম্বরটি আরো বেশী
জড়িয়ে ফেলে আবেগী বুকের উত্তাপে
কতদূর তবুও একটি রিংটোন
গলাগলিতে মিলায় মুহূর্তেই।
পরমাণু কবিতা -৩৬
সূর্য হতে চাইলেই তোমাকে আঁকড়ে ধরি। জলন্ত আগুনের তাপে
বাস্প হতে থাকে বৃষ্টির জল। বারুদ চোখের চাহনি সে মোহময় ভাষা তোমার চির চেনা। আর
কেউ বোঝে না সে বর্ণমালা। তেজস্ক্রীয় পরমাণুর বিস্ফোরণ ঘটে। উপত্যকার খাঁজে খাঁজে।
বালকীয় পালক ঝরা আকাশে উড়ছে তোমার দুরন্ত হেলিকপ্টার।
পরমাণু কবিতা -৩৪
গোপন হৃদয়ের উৎপাদন ইউনিটের গতি ধীর। মস্তিস্কে আবেগের
লিম্বিক ইউনিটে কোনো দৃশ্যই সালোক সংশ্লেষণ উপযোগী হয়ে উঠছে না। যেনো অকল্পনীয়
চিন্তার কোনো বিষয়বস্তু নেই। আলফা বিটা লেভেলে ধ্যানমগ্ন হতে পারি না। প্রাত্যহিক
রুটিন বাধ্যতামূলক খাবার আর ঘুম ছাড়া অন্যত্র যোগাযোগহীন। মাঝে মধ্যে উঁকি দেয়
প্রিয় মুখ। কেনো জানি আগের সেই মোহময় চেনার সাথে মিলাতে পারি না। একটা ঝড় ভাঙ্গা
ঢেউয়ের অপেক্ষায় থাকি। তবুও থাকে নিস্প্রাণ উচ্ছলতার সেই মুখ !
পরমাণু কবিতা -৩৩
বেঘোর জ্বর বেড়েছে শরীর জুড়ে। পাওয়ারফুল জ্বরের কাছে নস্যি
প্যারাসিটামল। পারদের প্রান্ত রেখা ডিঙ্গিয়ে যায় হঠাৎ হঠাৎ। কিছু কিছু জ্বরে
এন্টিবায়োটিক হয় প্রয়োজন। ব্যায়াম, ইয়োগা মিলিত প্রচেষ্টা। এক সময়
বেজে ওঠে সেলফোন। কল রিসিভ করতেই নামতে শুরু করে তাপমাত্রা।