সুকান্ত মজুমদার
*সবিশেষ*
সে
ভেসে যাওয়ার
অনিচ্ছা
সবখানেই ছিল
মনগড়া
অর্ন্তজালে প্রতিটি বাঁধন,
অসম্পূর্ণ
আবদারে স্বপ্নভেজা
তুমিতে
আত্মহারা আছড়ে পড়া
সবিশেষ
আমি শীর্ণকায় ক্লেশ।
এখন
আনমনা নদী প্লাবনে
বিস্মৃতির
কচুরিপানা ভাসমান
অবহেলিত
সমর্পণ বারংবার
তোমাকে
নিয়েই রঙহীন
সন্ধ্যা
গড়ে, বিশাল জলকায়া তুমি
নীরব
ধ্বংসকে দাও আলিঙ্গন।
* বৃষ্টি অরণ্যে *
আত্মহারা
প্রেম জল রঙের
পানসী
মত ভাসি অবাধ সুখে
তোমাকে
রাতজাগা গান ভাবে।
সারারাত
বৃষ্টি অরণ্যে
সেই
প্রতিক্ষীত আবেশ
ভেজা
কাক হয়ে নিশ্চল দৃষ্টি
সুদীর্ঘ
অপেক্ষা বীরত্বে সিক্ত
গলিত
আত্মসন্তুষ্টির বিধ্বস্ত বর্ষা।
কথা
বলে শুধু তোমার
ফুরিয়ে
যাওয়া অবসন্ন ধৈর্য্য
তীর্যক
বিচার দৃশ্যে দুজনে
বিভাজিত, যে যার
মতন-
আত্ম
পীড়ন অভিযোগ সব
লীন হয়
যখন আবার তুমি
ভিজে
না ভেজার ছলে হেটে যাও
দীর্ঘ
কবিতার স্তবক ছেড়ে
অন্য
সূত্রে অন্য আবেগে।
*বৃষ্টি তোমার সাথে *
শ্রাবণ
পরবাসী পাষাণ গাত্রে
বৃষ্টি
তুমি সৃষ্টি ফোটা স্ফটিক
সারা
শ্রাবণ অসহ পাকে
জলরঙ্গে
একা ঘাটি যন্ত্রণা
সুখ
বিলাসী সে ঘুম রঙে
আচ্ছাদিত
অলভ্য প্রাপ্তি
ললাটে
চুম্বন আকে হতাশা।
তুমি
এসে সবুজ সতেজ সৃষ্টি চাও প্রবাহিণীর নিসিদ্ধ বাসরঘরে
অন্তর্ভুক্ত
হবার ছলে ছলছল
মন্দাকিনী
রোষে সে অনুরাগ গলিয়ে
আজও
উদ্ভিন্ন কামনা ফিরে আসে
নিতান্ত
জলাশয়ে ভীষণ বর্ষা
একগাল
তুমি হয়ে অস্ফুট সারারাত।
*নিরুপায় আমিতে*
সর্বস্বে
অতিমানবিক ললিতকলা
দুমড়ে
ওঠা আমিতে ঘনত্ব আসে
লঘু হয়
শুধুই বেঁচে থাকা -
রূপভেদে
তুমি দিয়ে যাও
এমনি
অনন্তের আলেখ্য
আরও
মন্থনময় সময় বারান্দার
বৃষ্টি
ভেজা উদাসী এককোণা।
কতবার
নিঃসঙ্গের দেওয়ালে
ভুলে
ভরা ছবি আকতে কেঁদেছি,
জলাভূমি
হৃদয়ে পদধ্বনি একেছি
ছলছল
দেহে ছোট তরঙ্গ
অলেখা
বিষন্নতা মিশিয়েছে।
যে কটি
বর্ষা রাগ ছিল
সব
ছড়িয়ে আরো গভীর করেছি
সূর্য
ঢাকা দিন, নিরুপায় আমিতে।
*অবকাশ *
শৈশব
মাখা জলক্রীড়া
ছড়িয়ে
আছে জল ঘাটা সংবাদ,
ভিজে
যাওয়া উপকরণে
সুখ ও
দুঃখ উপচে পড়া অবকাশ
এরিমাঝে
আকাশ কুসুম
রম্য
রচনার তাগিদ ও ভ্রম।
বৃষ্টি
শেষের গানে
একজন
বহুজনে উঞ্চ আলিঙ্গন,
ভালো
থাকার ভৌতিক প্রয়াস
সব ভুল
ভুলেরি মোহে স্নান সারে
কতিপয়
বিরূপতা উপহাস্য
নান্দনিক
ফুলে পূজা সারি
কর্কশ
কন্ঠে সুরেলা বন্দনা
নিরবিচ্ছিন্ন
মোহিত ধোঁয়া দেখি।
............/.............