সোনালি পুপু
অন্য মন
১
অবিশ্রান্ত
বৃষ্টি ধারা দহন তীব্র ভূমি
ভালবাসার
ঋণ শুধবো তটের রেখা তুমি
বিরাগ
বিরোধ ফেনিল আগুন
ক্রোধের
হল্কা বধির
জলের
ফোঁটায় হাত পেতেছি
মেঘ
কেন আজ অধীর
কোথাও
কোন মিঠাস পাইনা
জ্বলন্ত
গাছপালা
আয় রে
বৃষ্টি
বুকের
মধ্যে একশ মানিক জ্বালা
সেতার
সরোদ যুগলবন্দী
তেহাই
সমের ঝোঁকে
মন
ভেঙে যায় একলা ঘরের
ঘুম
নেই কো চোখে
২
বেলা
গড়ালে মেঘলা রংয়ে ভার
মনের
মধ্যে জমতে থাকে কথা
পাতায়
হাওয়া আলতো বয়ে যায়
তুমি
আমার মীড়ের নীরবতা
কাজের
দিনে ফাঁকের খোঁজে রোদ
একঘেয়ে
পথ শুকনো দুপুরবেলা
আমার
কানে মোহনবাঁশি ধুন
ফোটোর
ফ্রেমে পুরোনো ডালপালা
আমার
সন্ধে সকাল রান্নাঘর
খাবার
টেবিল টেলিভিশনে ডাক
আমার
মন শুধু আমারই মন
নেই তো
দাম তবু আমারই থাক।
দেশ
আমার
সমস্ত জুড়ে
পেতে
দিলে আলো বোনা জাল ।
বাইরের
আতঙ্ক , অগ্নি, বিভীষিকা ,
অসভ্য
মাতাল , কদর্য ইঙ্গিতি চোখ ,
লালা-ঝরা
শ্লেষ্মা মাখা গালি –
তারও
মাঝে দু পা গেড়ে মাটিতে
মশাল
শিখা জ্বালি
নিস্পলক
দৃষ্টি নিয়ে ।
এক পা
এক পা সামনে রাখি
পিছোয়
হাঁ –জন্তুর মুখ –
একেই
বিজয় বলে ?
বল এই
কি জিতবার সুখ ?
কচি
মাথা গুঁড়ো করে নিশাচর
ক্লীব
অশ্বত্থামা ।
তৃণ
রঙা হে কেশব ,
থামাওনি
যুদ্ধের দামামা
এ
পৃথিবী দেবো কাকে ?
বেশ্যাগ্রস্ত
কৈশোর ঝিমোয় ।
যোনীতে
পেতেছে ফাঁদ
মাতৃত্বকে
রাস্তায় বিকোয়
অট্ট
হাস্যে ছিন্নমস্তা ।
এ আমার
ভারত বর্ষ , দেশ ?
তবে
জ্বালো আরও চিতা ।
রজঃস্বলা
ছিন্ন মুক্ত কেশ
যুদ্ধে
আমি বাকি আছি ।
আমি
আছি জাগ্রত সংঘাতে
ধর্ষকের
মুখোমুখি সংশপ্তক অস্ত্র ধরা হাতে ।
শব্দ কল্প
সোনালি
চৌখখুপী
কাটা ঘর ছিল
সাদা
কালো কালো সাদা কালো
শব্দে
অন্তে অনন্ত জীবনে
মোম
বাতি টুনি বালব জ্বালো
নব রসে
সরোবরে নীলে
খুচরো
টাকায় তুমি ছিলে
রোজকার
ঝুল মাখা মনে
শব্দে
অন্তে অথবা জীবনে।
হেঁটে
যাওয়া পায়ে পায়ে ঘাসে
অথবা
একঘেয়ে বার মাসে
পুরোনো
পাতায় মাস দিন
নববর্ষ
পুজো বড় দিন
এল আর
চলে গেল ক্লিশে
বাঁচা
শুধু বিষ আর উনিশে
বাকি
সব ক্লান্তি মাখা ছবি
থোড়
বড়ি খাড়ার ভৈরবী
ই সি
জি তে আদর উত্তাmল
আধ
বুড়ো শব্দ মায়াজাল।
একলা আরাম
একাকিত্বকে
চাদরের মত জড়িয়ে রাস্তা হাঁটি
সবাই
পালায় একলা থাকার থেকে
আমি
কিন্তু বেশ আছি
রাস্তা
পথ চড়াই উতড়াই
দিব্বি
আছি নিঃশব্দে
মানুষজন
চারদিকে হাঁচোড় পাঁচোড় করে
পালাচ্ছে
কেবলি
একলা
থাকার থেকে
আমি
খাদের ধারে দাঁড়িয়ে কুয়াশা দেখছি
আমার
কোন তাড়া নেই
পৃথিবীর
যেখানেই যাই
সেই তো
একলা আমি
ঊর্ধ
অধঃ ঈশান নৈঋত
ওকেই
লণঠন করি হাতে
ওই একা
একা থাকা
পকেটে
রাখি টমেটোর মত টক মিসটি দুটো ছোটটো মুখ
সংসারের
কাজ
তার পর
পথ হাঁটি
একলা
থাকা আমার হাত ধরে পাশে পাশে হেঁটে চলে।
যোগ
তোমার
সংগে দুঃখ যোগে
যুক্ত
হয়ে থাকি
ক্ষুধার
বিষে ব্যথার জলে
রক্তঝরা
নীলোৎপলে
অজস্র
দিন অনিদ্র রাত
প্রেম
রেশমের রাখী
তোমার
সংগে ব্যথার যোগে
যুক্ত
হয়ে থাকি।
চরাচরের
এপার ওপার
ছোট্ট
ঘরের চালা
হোঁচট
খাওয়া পায়ের ব্যথা
আগুন
ধোঁয়ার জ্বালা
দুর্বিনীত
একলা দিনের
স্বজন
বিহীন রুক্ষ ঋণের
এক
চুমুকেই গণ্ডূষ পান
হলাহলের
সাকি
তোমার
সংগে যন্ত্রনাতে
যুক্ত
হয়ে থাকি।