অলভ্য ঘোষ
দাবানল
পয়গম্বর
নই-গো আমি;
নয়কো
খোদার খাসি ।
বাঁচার
মত অন্ন বস্ত্র
পেলেই
আমি খুশি ।।
বাঁচার
মত বাঁচতে চাওয়া
সকলের
অধিকার ।
সেই
মণিহার পৃথিবী মা তো
দিয়েছেন
তোমার আমার ।।
মনেতে
তাই তুষের আগুন
ধিকি
ধিকি জ্বলে ।
কারা
আমার ভাত মেরেছে
আমারই
কান মুলে ।।
সংবিধান
বামন বিধান
ঢেমনামি
দিয়ে লেখা ।
সংরক্ষণ
আর আরক্ষণে
সাম্যের
নেইকো দেখা ।।
মণ্ডলেরা
ডাক্তার হয়েছে
চক্রবর্তী
মুচি ।
বৈষম্য
রয়েই গেছে
চলছে
নাকো কাঁচি ।।
পুরুষের
থেকে এগিয়ে গেল
নিপীড়িত
ললনা !
বাস্তুতন্ত্র
টিকবে সমানে সমানে
তোমরা
তা জান না ।।
পুঁজিবাদী
নাঙ্গা সাধু
ভিক্ষা
মেঙ্গে ফেরে ।
এমন
দৃশ্য কে দেখেছ
বলো
দেখি বড়াই করে ??
সুন্দরবনে
বাঘ বাড়েনি
দুর্নীতি
বাড়ছে দেশে ।
ভাঁড়
চেটে খাই তুমি আমি
নেপোয়
দই খাবার শেষে ।।
টাটারা
সব টাটাই আছে
পাঁঠা
তুমি আমি ।
তোমায়
আমায় দিয়েই
ঘোরায়
সামন্তদের ঘানি ।।
একটা
কথা কানে কানে
তাই
বলি আজ শোন।
আমার
বুকের তুষের
আগুন
দাবানল হয় যেন ।।
এই গানটি উৎসর্গ করলাম
বসিরহাট দাঙ্গায় নিহত স্বর্গীয় কার্তিক ঘোষ ও ওনার দুই ছেলে প্রভাশিস ঘোষ, দেবাশিস ঘোষ এবং তাদের
পরিবারকে। ওনারা যেভাবে দাঙ্গায় রক্তাক্ত বাবা কার্তিক ঘোষের সঙ্গে একই
অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে নিয়েছিলেন কাঁদানে গ্যাসের শেলে আহত অচেনা "চাচা"
ফজলু সর্দারকে এবং বাবার আগে হস্পিটালে অ্যাডমিট করেছেন তাকে। তা আমার মত এ বাংলার
আপামর ভর সংখ্যার মানুষের লুণ্ঠিত হওয়া মানবতার লজ্জা রক্ষা করেছে। দাঙ্গাবাজ
রাজনৈতিক দল নেতা নেত্রী যে কোন সম্প্রদায়ের মানুষকে ধিৎকার জানাই আমি। এই গানের
মাধ্যমে।
(ক)
কার্তিক
ঘোষ আর নেই
ফজলু
চাচা বেঁচে গেছে।
হিন্দু
না মুসলিম; মুসলিম হিন্দু
আসলে
ভোটার লড়েছে।
ভোট
ভোট ভোট এটাই ম্যাটার
দাঙ্গা
শুধুই ক্ষমতা লোটার।
মক্কা
না মদিনায় বসে
আল্লা
সমকামীর বেশে
মহম্মদের
সাথে ফটোশপে
ফেসবুকে;
ইসলাম
গেল ক্ষেপে।
ধর্ম
ঠুনকো নাকি এত
এিশূলেতে
কনডম যত।
অধর্ম
গুরুরা সব ধর্মের ষাঁড়।
ভোটের
রাজনীতি নাচায় ভোটার।
আসলে
চাষ হয় যত নির্বোধ
চেতনার
পথে পথে রোজ অবরোধ।
(খ)
কার্তিক
ঘোষ আর নেই
ফজলু
চাচা বেঁচে গেছে।
হিন্দু
না মুসলিম; মুসলিম হিন্দু
আসলে
ভোটার লড়েছে।
কলকাতা
একশ
কিলোমিটার দূরে
প্রভাশিস
চাচার
স্যালাইন
আছে হাতে ধরে।
দেবাশিস
জানে না তখনো
বাবা
আর ফিরবে না কখনো।
গুরুতর
আহত দুজন
জাতের
ফুরিয়েছে প্রয়োজন।
রাম না
রহিম কী নাম তার?
মুমূর্ষুর
কাছে ঈশ্বর অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার !
আল্লা
আল্লা হায় হায় ভগবান
চালক
বাঁচাবে আজ আরোহীর প্রাণ।
আল্লা
ও ও ও ভগোবান!
(গ)
কার্তিক
ঘোষ আর নেই
ফজলু
চাচা বেঁচে গেছে।
হিন্দু
না মুসলিম; মুসলিম হিন্দু
আসলে
ভোটার লড়েছে।
হিন্দুর
মৃতদেহ পাওয়া গেছে
হিন্দু
নেতারা সব এলো নেচে।
হস্পিটালের
মুখে ভিড়
কার্তিক
ছিল শুরো বীর।
অথচ
দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে
চাকু
এসে লেগেছিল তার পিঠে কাঁধে।
ও
আমাদেরই লোক
এ
আমাদেরই শোক।
বাকি
সব মুসলমানের তোষণ।
ঠেকাতে
গণ্ডগোল পুলিশের শাসন।
লাশ
নিয়ে টানাটানি;
মরেও
হয়রানি।
কার্তিক
ঘোষের ছেলে
এবার
জোড় হাত করে বলে।
বাবা
ছিল পরিবারের
একমাত্র
উপার্জনের।
হয়তো
একটা চাকরির অফার
বাবার
অবর্তমানে জুটে যাবে তার।
হয়তো
মিডিয়াকে দেয়া সব বিবৃতি
শেখানো
পড়ানো বলবে টা তুমি কি।
তবু
বলি কার্তিক ঘোষের ছেলে
এই
বাংলার ঘরে ঘরে যেন রোজ মেলে।
জাতপাত
অজুহাত সকলি নিপাত যাক;
মানুষ
মানুষের জন্য বেঁচে থাক!
আমার বাংলা দেশী বন্ধুদের
জন্য
(গান) 12.02.2013
আমি
যদি গাই সংখ্যালঘুর গান ।
আমার
কণ্ঠ্য কেটে ফেলে দেবে গরিষ্ঠ ভগবান ।
আমি
যদি গাই সংখ্যালঘুর গান ।
অপরাধ
আমি গাইছি যে গান
না
বুঝে শুনে পরিসংখ্যান !
কাফের
আমি যবন আমি
অধর্মের
ফেরে দাগি আসামী ।
অপরাধ মানবতা
!
বেদ-বেদান্ত, হাদিস ঘেঁটে
ধরিনি
মৌলবাদীর ছাতা ।
অপরাধ
মানবতা !
তুমি
হিন্দু, তুমি খ্রিষ্টান,
তুমি
বৌদ্ধ, তুমি ইসলাম
কে দিল
সীলমোহর ?
খোদাও
হাসেন দেখে ও মোল্লা
ছাপ্পা
ভোটের বহোঁর ।
মানুষের
আকাশ, বাতাস
মানুষের
কত শহীদ দিবস
কে
দেয় রোজ ভাগ করে ?
সেই হতোভাগাদের
পিঠে ভাগে জেনো
সব
লুটে খায় চাঁদ বেনে ।
যারা
মন্দির আর মসজিদ ভাঙ্গে
রোজ
নেশাকরে ধর্মের ভাংয়ে ।
আমি
তার থেকে বেশি ধার্মিক
ভণ্ডামি
করিনাক পোরে গৈরিক ।
কাট
কাট আমার নলি
ওহে
গরিষ্ঠ হতে চাই বলি ।
তবে
গাইবো তোমারও গান
যে
দেশে তুমি সংখ্যায় ম্রিয়মাণ ।
যেখানে
তোমারও পোড়ে গোলা ধান
অমি
গাইবো তোমার গান ।
জাতের বিচার
আমার
কাছে পতিতা পল্লী মসজিদ এবং মন্দির এর থেকে অনেক বেশি পবিত্র।
কারণ
সেখানে জাতের বিচার হয় না ;
এইডস
এর ভয় থাকলেও জাত খোওয়াবার ভয় নেই ।
চুল
দাড়ি ছেটে কিংবা দাড়ি গোঁফ রেখে সতী সাজার ভণ্ডামি ও নেই!
ওটা যে
খানকি পাড়া সবাই জানে।
আর
তোমাদের ভদ্রলোকের পাড়ায়; কত যে বেশ্যা লুকিয়ে আছে
তার
হিসেব নেই।
নিষিদ্ধ
করতে গেলে যোগী খুঁজতে গ্রাম উজাড় হয়ে যাবে।
ধর্ম
ভীরুরা শোন
(১৪ বছর বয়সে লেখা )
পথের
মাঝে ধুলোয় লুটোয় ভগবান
মন্দিরে
কেন খোঁজ ।
ভগবান
তুমি ভগবান আমি
এই
সত্য কথাটা বোঝ ।
চৈতন্য, যীশু, হজরত
এ
ধরিত্রীতে চালিয়েছেন ধর্মের রথ
তার
তলায় মানুষ মেরেছে কত ?
ওরে
পাষণ্ড; শান্তি আর জীবন দানই
প্রতি
ধর্মের ব্রত ।
ইট
পথের দেবালয় গড়ে
ভগবান
কে খোঁজ ।
ভগবান
কে বোঝার আগে
বল; নিজেকে কতটুকু বোঝ ।
মৌলানা
আর গুরুদেব সাহেব
ব্যবসা
ধরেছ ভালো;
কোরান
গীতার কতল করে
নিজের
কথাই বলো ।
কি বলছ; তুমি ভগবান ।
কেটেছ
দেখছি দুই খানা কান ।
হায়রে
চৈতন্য, যীশু, হজরত
ঈশ্বরের
দূত বলে দিলে পরিচয় ।
এই
হতভাগাগুলো বলে
এরা
স্বয়ং ঈশ্বর দূত টুত এরা নয় ।
ধর্ম
ভীরুরা শোন;
ভগবান
শুধু তোমার বাবা নয়;
সকলের
বাবা জেন ।