সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০১৭

পিয়ালী বসু



পিয়ালী বসু

সেসব কিছু যা আদতে প্রামাণ্য নয়
----------------------------------------
আমি ' বলতে নির্দিষ্ট কাউকে বুঝি না এখন
প্রচলিত অভ্যাসের দিনে যারা বিনা আয়াসে নির্জনতার সাক্ষী হয়
কাঙ্খিত স্মৃতিগুলিকে তারা বুকপকেটের নিভৃতে রেখে ...
'বিষাদ মরশুম ' লিখে রাখে
:
আমি ' বলতে নির্দিষ্ট কাউকে বুঝি না এখন
আয়না এবং ছায়ার দেওয়াল তোলা বাড়ি ঘিরে
যেটুকু শূন্যতা অবশিষ্ট থাকে ...
:
স্নান বিকেলের নিভৃতি ছুঁয়ে ... তাকে ' ছায়াজন্ম ' আখ্যা দিই






কার্ফিউ
--------
ঠোঁটে এখনও গত জন্মের কার্ফিউ
প্রিয় বন্ধুর প্রেমিক কে চুমু খাবার পরে লিখে যাবো জীবনের শেষ শরীরী এপিটাফ
জাতিস্মর শহর .......
আমার স্বেচ্ছা মৃত্যু কে স্বচ্ছন্দে হাঁটতে দিয়ো ইয়েটস'এর দেশে






বৃষ্টি - একটি ব্যক্তিগত এপিটাফ
--------------------------------------
এখন রোজ নিয়ম করে বৃষ্টি নামে
একরাশ ক্রিসেনথিমাম হাতের মুঠোয় নিয়ে
কপালের ঘন নীল কালশিটে ছুঁয়ে ...
চতুরঙ্গ বর্ণময় বৃষ্টি নামে
:
কোজাগরী ধুন তুলে
স্নায়ু যোগ্য কথাগুলি শিথিলতার গভীরতর আয়োজন সম্পূর্ণ করে
:
প্রতিটি অব্যক্ত ইচ্ছে এখন অমোঘ স্পর্শবর্ণাতুর
নীল নির্জনতা বিরহ- মিলনের আশাবরী...
 আঙ্গুলের প্রতিশব্দে জেগে ওঠে পুনর্বার
:
এখন রোজ নিয়ম করে বৃষ্টি নামে
নষ্ট দুপুরে আরও একবার বিপজ্জনক ভাবে বাঁচার স্বার্থে






যাপনচিত্র
--------------
জীবন ও যাপনের মধ্যে কোনরকম সাযুজ্য রাখিনি ইচ্ছে করেই । 
এখন বিস্তৃত করেছি পরিসরের ব্যাসার্ধ , যাবতীয় বিরহ অভ্যাস ...
:
নিজেকে আগলে রেখো জীবন ... স্বল্পকালীন শালীন সংলাপে
অনবরত শব্দক্ষরণ ... আর স্বয়ংক্রিয় মুহূর্তের আলফাজ মেপে
:
আলনায় পাট করে রাখো ছায়া- শরীর
যাপনের গালিচায় এখন আত্মঅনুসন্ধানের সর্বশেষ চিত্রকল্প






বেলাশেষে
-------------
কথা'রা এখন নেমে আসে নৈর্ব্যক্তিক দুর্যোগের মতো
:
সুদীর্ঘ নীরবতা পালনের মধ্যস্থতায়
'প্রেম ' মহানাগরিক সম্পর্কের আখ্যা পায়
:
ছুঁয়ে দেখা হয়ে ওঠেনা আর ...
তিনজন্ম পার করে ফিরে আসা প্রথম ঈশ্বর জন্ম মনে করিয়ে দেয়
:

চলে যাওয়া ' আসলে অকাল শপথ ভাঙা ... জীবনের মধ্যবর্তী ঋণমাত্র