সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০১৭

রত্নদীপা দে ঘোষ




রত্নদীপা দে ঘোষ

পাখিদের পাখিরা


উড়ছে
হাসি
নেভাতে চেও না
এই বৃষ্টি সেই মেঘ
পুরনো হয় না
উড়ছে
কান্না
মাপতে চেও না
পাখিদের কুয়াশা হয়
শীতকাল শোনা যায় না





পাখি
আশ্চর্য একটি মেয়ে
পুরনো একটা ডিসটেম্পার লিখতে লিখতে
রঙহীন হয়ে যাচ্ছে
এমনকি
তার জেন্ডারটিও
প্রায় ফেরারি





পাখিদের সান
পাখিরাই সানশাইন
ভর সন্ধে
রাত যত বেশি
পাখিদের রোদ গ্লো করে
টুনিবাল্বের নাচ শুরু
একটু পরে






পাখিগাছের যে ফল
তার রিদমটি আসলে ব্রিজ
ব্রিজটি ভীষণ মৌসুমি
আমি তাকে চেয়েছিলাম
জানোই তো
আমার ভেতরে জলের খুব অভাব
ব্রিজটির কাছে
একটি ফলন্ত নদী চেয়েছিলাম






দুটি ভিন্ন প্রজাতির পাখি
আমাদের ছাপোষা বিবাহটিকে
বিয়ে করছে
শুধরে নিচ্ছে
আমাদের ভুল






ছলছল
কলকল
এই শব্দটুকুই
পাখিকে
মানুষ হওয়া থেকে বাঁচায়





পাখির রূপ বেশি হলে
রাজকন্যা সে
গায়ে কড়িয়াল
চওড়া চক্রবাল
রুনুঝুনু পায়েল
পৃথিবী পালকিওয়ালা
দুলকিচালের চাঁদ
উধাও পাখিসমাজের
রাজধানী






পাখি হোক
তুমুল পাখি হোক আগে
তারপর না হয়
পরিচয় হবে
আলাপ থেকে গড়াবে বন্ধুতা
বন্ধুতা থেকে প্রেম
পাখিদের আশে পাশে থাকা
সবার জন্যেই একদিন
বাধ্যতামূলক হবে





জলে থাকে মাছ সাঁতার চেনে না
গাছে থাকে আকাশ সবুজ চেনে না
নিরো থাকে বেহালায় ছড় চেনে না
আমার দারুণ লাগে
যখন কেউ কাউকে চেনে না
আমিও আমাকে
পাখিও আমাকে
আমিও পাখিকে




১০

হ্যাঁ ভিজবো
পাখির সাথে পাল্লা দিয়ে
তার পর
ভারি বৃষ্টি
হাল্কা নোটেশন
মেঘের জাহানারা




১১

দুটি পাখি দিয়ে তৈরি একটি ঘর
ঘরটি বিন্দাস
ঢুকে পড়লো মানুষের ভেতর
একটি ঘড়ি থেমে রইল
খাঁচার ভাড়াবাড়িতে




১২

পাখি নেই বলে আমি ফিরে যাচ্ছি
পাখি নেই বলে তুমি ফিরে আসছ
এই আসা এবং যাওয়ার মাঝখানে
কিছু পাখি অ্যাসিড অ্যাটাকে
ঝুলে আছে





১৩

দেবতারা সরে গেছে
আর ঈশ্বরবিদ মানুষ
পাথুরে নির্মাণ বাঁচাতে বাঁচাতে
মরে গেছে
এই মরে যাওয়া পাথরটি আসলে
পাখিদের তীর্থস্থান





১৪

যদি না পাখিদের মত কেউ আসে
পুড়িয়ে দ্যায় কিছু কাকতালীয়
ততদিনই
খড়ের কাঠামো
আমি আর আমাদের
নিকাহ প্রস্তাব




১৫

আমার প্রশ্ন একটাই
মানুষ কী করে পাখি থেকে বিচ্ছিন্ন হল
পাখির প্রশ্ন একটাই
বিচ্ছিন্নতাবাদী পাখিরা কী কোরে মানুষ



১৬

মানুষের চোখে
কোথাও না কোথাও পাখি
চোখের পালক জানে
কী কোরে
পলকের পা
ম্যাপের গা
মেপে
চলতে হয় সাবধানে




১৭

তোমার কবিতায় কোন পাখি নেই
সেই নয় দশকের পর
তুমি কোন পাখির ভেতরেই থাকোনি
পাখিরাই বরং
তোমাকে দেখে
লেখা করে
দাঁত নখ দিয়ে
শিশির খোঁটে
তোমার বেঁটে বেঁটে উপন্যাস খায়




১৮

তুমি আসছ না
কোনদিনই আসছ না
আমার শহরে
আমি আঁকছি
ঘাম মুছে দিচ্ছে একটা পাখি
ঘামটার টিস্যু টের পাচ্ছি না




১৯

পাখিরা নিচু থাকতে পারে না
মাথা তুলে বাঁচতে চায়
হে শিকারি
ট্রিগার চেপে ছুটে আসো
ডারউইনে ফিরছে
ফিরবেই পাখিরা



২০

সে তুমি যতই ডানা ঝাপটাও