রিপুকরা সময়ে
মোহাম্মদ আন্ওয়ারুল কবীর
বাতিঘরে
জ্বলে উঠেছে ভয়াল সংকেত
ঈশ্বরের ঘরে
আগুন!
প্রেমপাথরে
ফিনকি দিয়ে ঝরছে নোনাজল
শাস্ত্র
ফুঁড়ে নেমে আসা ঋষিরা করছে যজ্ঞ
কোথায়
মহেশ্বর!
থেমে নেই
কিছুই
ফুলের
পরাগায়ন,
গাঙশালিকের বসন্তবাসর
বাড়ন্ত
ভ্রুনের নিভৃত সঞ্চালন
প্রেমিকার
চোখে প্রেমিকের মরণ আর
যুগল
স্বপ্নের ঘাসফড়িং খেলা।
রিপুকরা
সময়েই ফলাবো মুক্তা
মেয়ে তুমি
দিয়ে যাও তোমার ছোঁয়া।
হাজারো প্রশ্নে আটকে থাকে
মোহাম্মদ আন্ওয়ারুল কবীর
হেঁয়ালী
থেকেই যাবে শেষতক।
বেলাশেষে
ডুবদেওয়া সূর্য বলে গেলো কানেকানে-
কী করে
বুঝবে তুমি অ আ ক খ ;
শুরুটা যে
বড়ই গোলমেলে -
বিভ্রমে কত
কি যে দেখা
বিগব্যাং, সময়ের
ভ্রণ, অঙ্কুরোদগম, বিবর্তন, কত
জারিজুরি!
খিঁচুরি
পাকানো পরম -
হাজারো
প্রশ্নে আটকে থাকে সঙ্গমের বাহাদুরী।
তার ছিঁড়ে গেলেও
মোহাম্মদ আন্ওয়ারুল কবীর
ভুল সংকেতে বালিকার
মতিভ্রম
পান্ডুলিপি থেকে ঝরে গেছে অক্ষরগুলো
শুধু রয়ে গেছে ঘ্রাণ -
কে করে কার শূন্যস্থান পূরণ !
পান্ডুলিপি থেকে ঝরে গেছে অক্ষরগুলো
শুধু রয়ে গেছে ঘ্রাণ -
কে করে কার শূন্যস্থান পূরণ !
দেয়ালে
হেঁটে চলা বিষণ্ণ টিকটিকি
সশব্দে আওয়াজ দ্যায় -
তার ছিঁড়ে গেলেও রেশ থেকে যায়।
সশব্দে আওয়াজ দ্যায় -
তার ছিঁড়ে গেলেও রেশ থেকে যায়।
মেঘের ফাটলে
মোহাম্মদ আন্ওয়ারুল কবীর
অতঃপর তিনি
বললেন, ‘দৃষ্টি
প্রসারিত করো’
দিগন্তরেখা
ছুঁয়ে গেলো রেটিনা
চাপ চাপ
অন্ধকারে ছেয়ে যাওয়া ক্বলব
আমরা পাঠ
করতে শুরু করি -
রিখটার
স্কেল ছাড়িয়ে হঠাৎ ভূকম্পন
জলদকন্ঠে
এবার প্রশ্ন,
‘বৎস,
বুঝলে কি কিছু?’
মৌনতায় আমরা
স্মিত হাসি -
মেঘের ফাটলে
উঁকি মারে রাজা ঈদিপাসের মুখ।
ফাঁকা ক্যানভাসে আঁকা কি হবে
মোহাম্মদ আন্ওয়ারুল কবীর
সূর্যস্নানের
সময় ফুরিয়ে এল ভেবে পৃথিবী কি টাল!
উনুন এখনো
ছড়ায় আঁচ
নারীর উষ্ণতায় ফসিলের ঘুম ভাঙ্গে
ফুল খুঁজে চলে প্রজাপতিডানা পরাগায়ন নেশায়।
নারীর উষ্ণতায় ফসিলের ঘুম ভাঙ্গে
ফুল খুঁজে চলে প্রজাপতিডানা পরাগায়ন নেশায়।
আয়ুরেখায়
হিসেব রাখে নিঃসঙ্গ পরম।
সময়ের চোখে
জল ...
নিমেষেই উধাও হবে রঙ্গমঞ্চ
নট নটি ছুটে ছুটে কোথায় কে যাবে
নিমেষেই উধাও হবে রঙ্গমঞ্চ
নট নটি ছুটে ছুটে কোথায় কে যাবে
শূন্যতায়
শূন্যময় হাহাকার
ফাঁকা ক্যানভাসে আঁকা কি হবে অন্য কোন ছবি!
ফাঁকা ক্যানভাসে আঁকা কি হবে অন্য কোন ছবি!