পরোয়ানা জারী
----
ঝিলিমিলি
কবিতাদের
বিচার না করেই
ব্যক্তি
রত্নদীপাকে নিয়ে বড় বেশী তোলপাড়,
রায় হতে
যাচ্ছে-
কবিতাগুলো
জাদুঘরের গ্যালারীতে স্থান পাচ্ছে,
নারী-পুরুষের
বিশেষ বিশেষ অঙ্গের খেল দেখিয়েছেন বলেই রত্নদীপা কোন কালের কবিই নন ।
পরামর্শ করি
--
আমরা এখন
যদি রত্নদীপার নাম বদলে দিতে পারি,
যদি সত্যি
বদলে দিতে পারি সমুদ্রের কন্যা বলে !
কিন্তু দেখা
যাবে সেই একই ঢঙের হাত- পা নিয়ে
কোমর দুলিয়ে
তিনি হেঁটে যাচ্ছেন সমুদ্র সৈকতে ।
তার
কোনকিছুই বদলায়নি,
ঠিক স্তনের
জায়গাটা উঁচু ভিটেমাটি নিয়েই
দাঁড়িয়ে আছে
সসম্মানে,
ভারী
নিতম্বের মাংস কমিয়ে
দিব্যি
স্বর্গে যাবার পথটিতে নেমেছেন -
ও জানত এত
স্থুলতা নিয়ে কবিতা লিখা যায় না।
কারণ যে
হাতে কলম ধরেছিল,
সেখানে ঠায় তাকিয়ে জেনে এসছিল হাতের বিকল্পের অন্য
অঙ্গ নাই যাকে কলম ধরার অবলম্বন করা যায়।
তারপর নারী-মানুষেদের পেটই বাচ্চা ধরল,
কি কান্ড বল
দেখি,
রত্নাদীপা
বলে দিল-
যনি শিশ্মের
মিলনে ভালবাসার ফুল ফোঁটে।
রত্নদীপার
দোষ অঙ্গ প্রত্যঙ্গের নামকে
স্পষ্ট করে
বলে দেওয়ায়,
কানাকানির
মাঝে না রেখে দিয়ে।
মায়েদের
এতদিন শিশুদেরকে বলতে হত,
তুই এসেছিস
চাঁদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে মায়ের কোলে,
আজকাল
স্কুলে ভিডিওতেই বাচ্চা হওয়ার কাহিনীকে
মগজে ঢুকিয়ে
দেওয়া হয় ।
কনডম
নাড়াচাড়া করে দেখার সুযোগ স্কুলেই করে দেয়,
ধরে নাও -
স্কুলটাই
উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের মাথা নষ্ট করে
তাকে তাকে
সেক্স বুঝানোর বইপত্র ঠেসে রেখে ।
স্কুলদেরকে
কোন সমাজপতি এসে
সিলমোহর করে
দেয় নি।
রত্নদীপা
একটুও ইংরেজি ছাড়ে নি,
বলেছিল
স্তনকে টিপলে শরীরে স্বস্তি বয়,
যৌনতারর
কিছু ভাষা ব্যক্ত করলে নিরাময় হয় শরীর,
ঘুমেরা
স্বপ্নের বাড়ি যায় নিমন্ত্রণ পেয়ে।
ধরে নাও
রত্নদীপা কবিই নন,
কিন্তু
যনি-শিশ্ন তাতে কি কোথাও উধাও হয়ে যাবে!
কিংবা
সঙ্গমের পদ্ধতি কি বদলে যাবে?
সরস শব্দের
সঙ্গম সহ্য হল না ,
হৃদয়ের
সঙ্গম তো আরও বহু দূরের,
মানে না
বুঝে বাচ্চাপয়দার কারখানা আমাদের,
রঙগুলো তাই
বিবর্ণের।
কোথাও যেন
কেউ নাই তাই আদর করে
প্রিয় মুখে
চুম্বন করার!
রত্নদীপা
তুমি আরও প্রকাশিত হও,
বলে দাও
তাদের-
প্রতিটি
মানুষ পরাজিত হয় জীবনে,
দু’ঠোঁটের
চুম্বন বিফলে গেলেই।
রত্নদীপাকে
ভালবাসে অনেকেই,
রত্নও জানেন
-
তিনি মন
দিয়েছেন যারে,
শরীর যায়
তারই সাথে।।
----------------------
প্রেম
_____
ঝিলিমিলি
তোর
সঙ্গে আমার আবার প্রেম !
কথাটা
ভাবলেই হা -হা হি-হিতে- ।
তুই গাছে
উঠে আম পেড়ে ছুঁড়ে দিতি ,
আমি টোনা
ভরে কুড়াতাম ,
ভাগ ছিল
অর্ধেকের ।
ও পাড়ার
ছেলেটির বিয়ে বাড়ীতে গিয়েও
তুই আমাকে
নিয়ে একটি অপকাণ্ড করলি,
চুরি করে
হাড়িসমেত মণ্ডা মিঠাইগুলো আমার বাড়ীতে রাখলি,
আর বিজয়ের
ভঙ্গীতে কিনা হাসি দিলি
যেন সমস্ত
জিতটাই তোর।
তারপর যখন
আমার বিয়ে হয়,
বললি সাবধান
মেয়ে কাঁদবি না,
তোর
হাজব্যান্ড বিরাট বড় লোক,
গেলেই তুই
আমাকে নিয়ে যাবি মুক্তাগাছার মণ্ডার দোকানে -
কখনও না
করবি না।
আমি কাঁদব
কি; সবার
সামনে এক গাল হেসে ফেলে বললাম,
তোকে নিয়ে
পারি না ।
তারপর কোন
কথাই আর মনে রইল না ,
সব
স্মৃতিগুলো ঝাপসা হতে হতে তুই আমার বুকে আমুলে গেঁথে রইলি ।
তুই নাকি
আম- বাগানের নীচে বসে কেঁদেছিলি,
বিয়ের রাতে
আর ঘরে ফিরে যাসনি ,
গোপনে
জেনেছিলাম ।
--------------------------------
নিশ্চিন্তের মজলিস
-----------
ঝিলিমিলি
তোমার গুটি
কতক ঘুণে ধরা চেয়ার আছে,
ও নিয়ে তুমি
তটস্ত নও।
তুমি সুবিন্যস্ত
ন্যায়-পরায়ণের,
হৃদয়ের ঘাটে
ঘাটেই আনাগোনা করো,
প্রিয়জনেরা
তাই চেয়ার ছেড়েই শতরঞ্জিতে বসে।
-----
কবিদের প্রতি
---
ঝিলিমিলি
সবার মৃত্যু
হয়ে যাচ্ছে ,
উড়ার আগেই
পাখীর পাখা দুটো মেলার সুযোগ পেলনা,
চারিদিকে
কুণ্ডলী পাকানো ভয়ংকরের ধোঁয়া উড়ছে ।
কোন কথা আর
হবে না -
শুনতে
যাওয়ার আগেই,
বলা-কওয়ার
সংযোগের আগেই ,
বাকরুদ্ধ
হয়ে গোঙানির এক মৃত্যর ছটফট-
জমদূতেরা
একযোগে বলছে,
মৃত্যু ছাড়া
আমাদের আর কোন পথ নাই।
কবিরা
হুঁশিয়ার!
আমরা জীবনের
কথা বলতেই
ঠিক এইখানে
সিংহের সিংহাসনে বসে
প্রতিজ্ঞা
নেব প্রেমের ফলকে লিখে,
চাঁদের সাথে
পৃথিবীর মিলন হতেই পারে,
মৃত্যুকে
ঠেকাতেই হবে - ।
সাগরের জলের
রূপে মুগ্ধ বালিকা জোছনা,
স্বপ্নের
নিশ্চিত মৃত্যুর কথা কখনও কেউ শুনেছ !
পরোয়ানা
দিয়ে দিব মৃত্যুর পায়ে পায়ে,
জীবনের গল্প
দিয়ে,
একদিন চাঁদ
সিড়ি বেয়ে নেমে আসবেই প্রেমের টানে ।
আমাদের গন্তব্য নেই
---------------------
ঝিলিমিলি
অচেতন এক
জাতি,
আমরাই
আমাদের সাথী,
জ্বলছি
কেবল।
ঝলসে যাচ্ছে
চামড়া,
বাঁচুক
হাড্ডি,
যুদ্ধে যাব
না গো ততক্ষণ ।
ঘুমাব আর
জুড়াবো প্রাণ বাপ দাদার চৌকির বদৌলতে,
বাবা মাছি
যে মিষ্টি খায় --
খাক না মাছি,
সরকারেরা আরও
যে কত খায়,
বাঙ্গালীর
আছে মনের রস,
কেবল
হুসখানির হয় নাই ইজ্জত!