অলভ্য ঘোষ
বালক পুণ্ডরীক
[প্রথম দৃশ্য
] স্থান: তপোবন \ সময়:
প্রাতঃকাল
(সাদা পর্দার
সামনে একদল ঋষিপুত্র কে দেখা যায় আসনাবিষ্ট ভাবে চোখ বন্ধ করে । সামনে একটি
চক্রাকার বেদি ।
পর্দা
উন্মোচনের সাথে সাথে তাদের মুখের ওপর লাল প্রভাত আলো এসে পড়ে । পাখির কাকলি ভোরের
আভাস দেয় । )
{গীতা পাঠের
শব্দ শোনা যায় ।}
।। যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত ।
অভ্যুত্থানম ধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম্
পরিত্রাণায় সাধূনাং বিনাশায় চদুষ্কৃতাম্ ।
ধর্মসংস্হাপনাথায় সম্ভবানি যুগে যুগে ।।
{শঙ্খ ও ঘণ্টা
ধ্বনি হয় । }
(লাল আলোক
শিকা প্রজ্বলিত আলোক পিণ্ডে পরিণত হয়ে দিনের আভাস দেয় । কুমন্ডল হাতে মাথায় জটা
গায়ে গৈরিক
বসন ধারী ঋষি
বর প্রবেশ করেন । কুমন্ডল থেকে জল ছিটিয়ে দেয় ঋষি পুত্র দের মাথায় । )
ঋষি বর ।।
পরিত্রানঃ ভব ।
ছাত্র
গণ ।। প্রণাম গুরুদেব ।
ঋষি বর ।। হে
শিক্ষার্থী গণ ; আসন পরিগ্রহন
করো আপন আপন । তোমাদের আজ পাঠ্য শাস্ত্র বেদান্ত । বেদের সমস্ত জ্ঞান
জেনে রেখ অভ্রান্ত । যেমন আগুন
কিংবা রথ আবিষ্কার মানুষের বিশেষ জ্ঞান । তেমনি বেদান্তে আছে জেনো অষ্টেপৃষ্ঠে
বাঁধা বিজ্ঞান । শিক্ষা তখনয়ই
সম্ভব ; যখন তোমার
চেতনায় জাগবে জীবনের কার্য-কারণ অনুভব । শিক্ষার্থীর
চোখে আলোর অভ্যুত্থান; সকল অন্ধকার
করবে মোচন । মনুষ্য জাতির পিতা মাতাই প্রথম গুরু ; গর্ভের প্রগাঢ় অন্ধকার
থেকে তাদেরি আঙ্গুল ধরে সকলের পথচলা
শুরু । এই অন্ধকার থেকে আলোয় আগমন ; জেনে রেখ জীবকুলে মনুষ্যের
সর্বশ্রেষ্ঠ ধন । এ রতন খুইয়ো না ; কুপথে যাইয়ো
না ।
ছাত্র-গণ ।। গুরুদেব আমাদের কর্ম সম্পর্কে অবহিত করুন ।
আমাদের জীবনের লক্ষ্য কী হওয়া উচিত বলুন ।
ঋষি বর
।। শাস্ত্রে একাধিক যোগে জ্ঞানের উচ্চলোকে
অবতরণ । এদের মধ্যে সহজ এবং উৎকৃষ্ট ভক্তিযোগ জেন সর্বজন । ভক্তির মাঝে
মুক্তি ; মুক্তির মাঝে
প্রজ্ঞার বাস । তাই হে ছাত্র-গণ অনুক্ষণ ভক্তি ভালবাসায় কর এ পৃথিবীকে বশ।
ছাত্র-গণ ।। গুরুদেব এ কঠিন উক্তি যদি সোজা করে বলেন ; অ-বোধগম্যের
শুষ্ক পাত্রে দয়াকরে তরল পানীয় ঢালেন ।
ঋষি বর
।। তাহলে এসো ভক্তির দিই ছোট্ট দৃষ্টান্ত
। যদিও ভক্তি মহাবিশ্বে অপরিমেয় অনন্ত ; মনে রেখ তোমাদের কৃষ্টি সংস্কৃতি সর্বাগ্রে
নির্ধারণ করবে জীবনের গতি । মাতৃদেব ভব
..... পিতৃদেব ভব । বাবা মাকে দেবতার সনে পূজিবার এ স্তব পুরোটাই মেনেছিল
সব ; যে বালক এসো আজ তার গল্প বলি ।
ছাত্র-গণ ।। বিলম্ব নয় গুরুদেব মুক্ত করুন আপনার গল্পের
ঝুলি ।
ঋষি বর ।।
ছাত্রের কৌতূহল বৃদ্ধি এও ভক্তিরই সিদ্ধি ।
ছাত্র-গণ ।। গুরুদেব দয়াকরে গল্প করুন
প্রসারিত ।
ঋষি বর ।।
তাই হোক ঋষিপুত্র-গণ ভক্তিকে করি ব্যক্ত । চন্দ্রভাগা নদী তীরে পুণ্য ক্ষেত্র
পুন্ডরীপুরাম । সেখানেই ছিল ব্রাম্ভণ বালক পুণ্ডরীকের
ধাম । প্রত্যহ প্রাতে মা বাবার চরণ
কমলে জানিয়ে প্রণাম ; নিমগ্ন
চিত্তে বিদ্যাভ্যাসে সিদ্ধহস্ত হত সে অধম । পুণ্ডরীকের ভক্তি
শ্রদ্ধার এ নিদর্শন ; স্বয়ং শ্রী
কৃষ্ণ কেও করেছিল আকর্ষণ ।
(
দৃশ্যটি
ছবি হয়ে যায় )
[দ্বিতীয়
দৃশ্য] স্থান: চন্দ্রভাগা নদী তীরে কুটির \ সময়: পূর্ণিমা রাত্রি
{ একটি তিন দিক
বেষ্টিত কুটিরের গায়ের বেড়ার ফাঁক থেকে চন্দ্রভাগা নদীকে খেলা করতে দেখাযায় ।
আকাশে প্রস্ফুটিত চন্দ্র । কুটির
কোটরে
প্রজ্বলিত প্রদীপ শিখা । খড়ের বিছানায় শায়িত পুণ্ডরীকের পিতা মাতা । ধ্যানও মগ্ন
চিত্তে তাদের পাদুকা পল্লব মর্দন করে দিতে থাকে
পুণ্ডরীক । }
পিতা ।। পুত্র রাত্রি
ছুঁয়েছে মধ্যগগন ; তোমার
বিশ্রামের আছে প্রয়োজন ।
মাতা
।। দিনো ক্লান্তিতে তুমিও ক্লিষ্ট
; শয্যার কর
আয়োজন ।
পুণ্ডরীক
।। আপনাদের নিদ্রা স্পর্শ না করলে ; আমার চক্ষু
থাকে অবিচল আঁখি মেলে
মাতা
।। কিন্তু পুত্র তোমার ওতো মানব
শরীর ।
পিতা ।। ক্লান্তি , গ্লানি , জর্জরতা আপাদমস্তক করে বধির ।
পুণ্ডরীক ।। পিতা মানব পৃথিবীর উৎকৃষ্ট জীব ।
প্রতিকূলতার সাথে যে না লড়ে সে যে ক্লীব ।
পিতা
।। তবুও তো প্রকৃতির নিয়ম আমরা
করিনা লঙ্ঘন ; অবিশ্রান্ত
শ্রমে ভয় পাই পাছে ভাঙ্গে শরীর মন ।
পুণ্ডরীক ।। মাতা প্রকৃতিতো আপনাতে আমাতে
নিমজ্জিত যেমন চালাবেন তাকে সে হবে পরিচালিত ।
মাতা
।। কী কঠিন উক্তি তোমার পুত্র ।
পুণ্ডরীক ।। কিন্তু মাতা ইহাই বাস্তবিক সত্য । আর যাহা
সত্য তাহা সুন্দর । সুন্দরয়ই ঈশ্বরের ঘর। প্রকৃতি হবে মানুষের সহৃদয় ; তবেই আসবে
ছিন্নমূল জয় ।
অবিরত বিশ্রামে নয় মানসিক ; শারীরিক ;আধ্যাত্মিক
উন্নতি সাধন । কর্মই করে জ্ঞানের বিকাশ ।
শরীরের গঠন । তরবারি পাথরের ঘর্ষণে ধারালো
হয় । এমন শুনেছেন কী এ পন্থায় তার ধার কমে
যায় । যার প্রথমে আত্মা পরে শরীর ; সেই তো পৃথিবীর জিতেন্দ্রিয় বীর । আত্মা যেখানে ভক্তিতে
নিমগ্ন;
সেখানে শরীরের মূল্য সামান্য ।
পিতা
।। পুণ্ডরীক জননী তর্কের বৃথা
চেষ্টা তোমার । জ্ঞানের উচ্চ মার্গে ; আত্মার উন্নত লোকে পুত্র আমার ।
পুণ্ডরীক ।।
পিতা অধিক কিছু যদি বলি কর জোড়ে মার্জনা চাই খালি ।
মাতা
।। না বৎস তুমি পরিমার্জিত ; তোমার বিনম্র ভাষা মধু বেষ্টিত ।
পিতা
।। এসো আমরা প্রয়াস করি ঘুমবার ; সত্যি বালক তোমার ভক্তি ইর্ষনীয় সবার।
(পুণ্ডরীকের
পিতা মাতা চক্ষু বন্ধ করে । পূর্বের ন্যায় পুণ্ডরীক তাদের পাদুকা পল্লবের সেবা করে
চলে । )
{সহসা কুটির
বাহির দ্বারে বিদ্যুৎ চমক খেলে যায় । মঞ্চের ওপর থেকে নীল আলোক রশ্মি সরল রেখায়
কুটির দ্বারে পতিত হয় ।}
{শঙ্খ ধ্বনি
বেজে ওঠে}
(কুটির দ্বারে
কৃষ্ণ এসে দাঁড়ায় । হাতে ঘূর্ণায়মান চক্র ।)
কৃষ্ণ ।। বৎস পুণ্ডরীক ...... বৎস পুণ্ডরীক .....
{কুটির মধ্যে
থেকে উত্তর আসে ।}
পুণ্ডরীক ।। আস্তে আস্তে । কে ডাকছেন আমায় দয়াকরে ক্ষণিক
অপেক্ষা করেন দরজায় ।
কৃষ্ণ ।। আমি দেব শ্রেষ্ঠ কৃষ্ণ ।
পুণ্ডরীক ।। হে দেব প্রণাম ; গ্রহণ করুন আমার অভ্যর্থনা উষ্ণ । আপনি দয়াকরে ধুলো থেকে
কুটির সংলগ্ন শ্বেতপাথরে উঠে দাঁড়ান । ক্ষণিক পরে আপনার
পদযুগলের সেবার সুযোগ করে দেন ।
কৃষ্ণ ।। তুমি কি এমন কাজেরত?স্বয়ং কৃষ্ণ
উপেক্ষিত ।
পুণ্ডরীক ।। গুরুদেব আমি গুরু সেবায় চিরতরে সঁপেছি
মন ; সে কর্মে বিরতি পড়লে হারাব ভক্তির অমূল্য ধন ।
কৃষ্ণ ।। আমার চাইতে বড় গুরু কে । কে ঈশ্বর ।
পুণ্ডরীক ।। গুরু ব্রহ্মা ; গুরু বিষ্ণু ; গুরু দেব
মহেশ্বর । গুরুর কোন বৈষম্য নেই । স্থলে ,জলে ,পাতালে সে রয়েছে সর্বত্রই ।
কৃষ্ণ ।। সবাই সদা উন্মুখ যাকে দর্শনের অভিলাষে ; হেলায় হারাও
তাকে কুটির মধ্যে বসে ।
পুণ্ডরীক ।। যাকে হৃদয়ে করেছি স্থাপন ; হারাবে এ কথা
ভেবে বিচলিত হবে কেন মন ।
কৃষ্ণ ।। হাস্যকর এ বালক । যাকে রণে বনে মনে ধনে
লক্ষ কোটি মন্দিরে গেলনা ধরা সামান্য এক বালকের প্রেমে সে পড়ল মারা । ওরে ভন্ড
পাষণ্ড
বাতুলতার সীমা করেছিস অতিক্রম । গুরু
সেবা মুখের কথা নয় সে বড় কঠিন দুর্গম । আমি যুক্তি সহ প্রমাণ চাই মিথ্যা আবেগে
ভক্তি নাই ।
ব্যর্থতায় পাবি অভিশাপ বুঝবি আমার
রোষাগ্নির তাপ ।
পুণ্ডরীক ।। আপনার শাপ ও আমার কাছে আশীর্বাদ । দয়াকরে
আর সামান্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন হে নাথ ।
( কৃষ্ণ শ্বেত
পাথরের ওপর উঠে দাঁড়ায় । পুণ্ডরীক বড়ো একটা তালপাতার পাখা নেড়ে বাবা মা কে হাওয়া
করে । )
{আবহে গান
শোনা যায় ।}
ও দ্বারেতে
কৃষ্ণ রইলো অপেক্ষায় ;
সম্রাট
ভিখারির সাক্ষাৎ চায় ।
ও হরি তব একি
খেলা হায় ।।
ও অমন পাদুকা
যুগল চুমিছে যা এ এিভুবন
ধুলোতে যে গড়াগড়ি
খায় ।
ও হরি তব একি খেলা হায় ।।
ও সকলে পুজিছে যারে বালক ফেরায় তারে ;
এ বেদনা
লুকানো যে দায় ।
ও হরি তব একি খেলা হায় ।।
( গান শেষ হয় ।
পুণ্ডরীক পিতা মাতাকে কর জোড়ে প্রণাম করে কুটিরের বাইরে আসে ।)
পুণ্ডরীক ।। প্রণাম গুরুদেব ।
কৃষ্ণ
।। ত্যাগ কর বিনম্রতার প্রলেপ । এবার বলো ; কোন সে জাদুবলে ; স্বয়ং শ্রী
কৃষ্ণকে লাভ করেছো কৌশলে ।
পুণ্ডরীক ।। শুধুই ভক্তি ।
কৃষ্ণ
।। ব্যাখ্যা কর এ উক্তি ।
পুণ্ডরীক
।। প্রভু আমি যখন ডেকেছি গুরুদেব ; আপনি নির্দ্বিধায় দিয়েছেন সাড়া না করে আক্ষেপ ।
কৃষ্ণ
।। ভক্তের ডাকে সাড়া দেওয়াই ভগবানের কার্য ।
পুণ্ডরীক
।। ভক্ত না হলে ভগবানের অস্তিত্বের
সংকট অনিবার্য ।
কৃষ্ণ
।। তাতো বটে ; ভক্তেই ভগবান
আছে টিকে ।
পুণ্ডরীক ।। আপনিই গুরু এ ব্রম্ভান্ড ; আপনাকে দিয়ই
শুরু ।
কৃষ্ণ
।। এ সব কথা সর্বজন বিদিত । কিন্তু এর সাথে তোমার বাক্যের কোন সামঞ্জস্য
দেখিনাত ।
পুণ্ডরীক ।। দয়াকরে স্থির হন । আমার কথায় নিমজ্জিত হোক
আপনার অন্তরতম মন ।জন্মদাতা পিতা মাতা
জগত স্রষ্টা আপনি । সরল কথায় লতায়
পাতায় একাসনে তিনজনি । হে ঈশ্বর এর কোন দ্বিমত আছে ।
কৃষ্ণ
।। না স্বেচ্ছাচারিতা নেই তোমার বাক্যের পেঁচে । গুরু ঈশ্বরের সকার ; ঈশ্বর গুরুর
নিরাকার ।
পুণ্ডরীক ।। গঙ্গার অনেক শাখা প্রশাখা প্রবাহিত । গঙ্গা
থেকে দূরে ভাগীরথী তীরে তবে কী ভক্ত হবে মর্ম্মাহত । পদ্মাসনে - পদ্মাসনে ;
পদ্মার জলে পূজা যদি হয় । এ নিষ্ঠায়
আপনার আছে কি কোন সংশয় । যে নদ নালায় ঢালা
হোকনা কেন জল । সাগরে মিশবে সে
যে নাহয়ে বিফল । তেমনি ভাবে ভক্তি
ত্যাগে ; যদি সেবি
আমার স্রষ্টাকে । দূরে অলক্ষিত বিশ্বকর্মা সেবা পায় । কাছের নদীর চড়ায় ;
যে রোদ বৃষ্টি ; শস্য উৎকর্ষে
তার প্রতিফলন দেখাদেয় ; তা যে মহা
সাগরের দান । তাই ক্ষুদ্রের আশীর্বাদ বৃহতের সমান ।
কৃষ্ণ ।। আমি অভিভূত । ঋষিপুত্র ভক্তি তোমার শিরা
ধমনীতে সদা জাগ্রত । পরীক্ষায় হয়েছো উত্তীর্ণ বর চাও ।
পুণ্ডরীক ।। প্রভু এ অবোধ শিশুকে শুধু মহাকাশের ন্যায়
জ্ঞান দাও , ভক্তি দাও সাত সমুদ্রের মত ; বিশ্বাসে যেন
থাকি অটল অতি দুর্দিনও
আসুক যতো ।
কৃষ্ণ ।। বেশ তাই হোক বুদ্ধিতে তুমি বৃহস্পতি ; ভক্তির তুমি
হবে নৃপতি । বিশ্বাসে হবে হিমালয় থেকে অর উঁচু পর্বতমালা । তোমার কাছেই জগত
শিখবে জীবনের পথে চলা ।
(পুণ্ডরীক
মাথা নত করে কৃষ্ণের পায়ের কাছে বসে
আশীর্বাদ গ্রহণ করে । কৃষ্ণের হাতের তালু থেকে নীলাভ আলোক রশ্মি এসে পড়ে
পুণ্ডরীকের মাথায় । )
{অন্ধকার নেমে
আসে ।}
[তৃতীয়
দৃশ্য]স্থান: তপোবন \ সময়:
প্রাতঃকাল
(প্রথম
দৃশ্যের স্থির ছবি ভেঙ্গে তৃতীয় দৃশ্য শুরু হয় ।)
ঋষিবর ।।
তোমরা অবগত হলেতো ভক্তির কী অসীম শক্তি ।
ছাত্র-গণ ।।
হ্যাঁ গুরুদেব মানস চক্ষু উন্মোচিত হল
সত্যি।
ঋষিবর
।।তাহলে সার্থক আমার শিক্ষা ।ধন্য তোমাদের প্রতীক্ষা ।জ্ঞানের সূর্যালোক হয়েছে
উদিত । আগামী কাল আমাদের পাঠ থাকবে অব্যাহত ।
(ঋষিবর উঠে
দাঁড়ায় । ঋষি পুত্র-গন নতজানু হয়ে প্রণাম করলে তিনি আশীর্বাদ করেন ।)
{দৃশ্যটি ছবি
হয়}
[সমাপ্ত]