শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৬

অলভ্য ঘোষ



অলভ্য ঘোষ

বালক পুণ্ডরীক
                         

[প্রথম দৃশ্য ] স্থান: তপোবন \ সময়: প্রাতঃকাল
(সাদা পর্দার সামনে একদল ঋষিপুত্র কে দেখা যায় আসনাবিষ্ট ভাবে চোখ বন্ধ করে । সামনে একটি চক্রাকার বেদি ।
পর্দা উন্মোচনের সাথে সাথে তাদের মুখের ওপর লাল প্রভাত আলো এসে পড়ে । পাখির কাকলি ভোরের আভাস দেয় । )
{গীতা পাঠের শব্দ শোনা যায় ।}
             ।।    যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত ।
                   অভ্যুত্থানম ধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম্
                  পরিত্রাণায় সাধূনাং বিনাশায় চদুষ্কৃতাম্ ।
                  ধর্মসংস্হাপনাথায় সম্ভবানি যুগে যুগে ।।
{শঙ্খ ও ঘণ্টা ধ্বনি হয় । }
(লাল আলোক শিকা প্রজ্বলিত আলোক পিণ্ডে পরিণত হয়ে দিনের আভাস দেয় । কুমন্ডল হাতে মাথায় জটা গায়ে গৈরিক
বসন ধারী ঋষি বর প্রবেশ করেন । কুমন্ডল থেকে জল ছিটিয়ে দেয় ঋষি পুত্র দের মাথায় । )
ঋষি বর ।। পরিত্রানঃ ভব ।
ছাত্র গণ  ।। প্রণাম গুরুদেব ।
ঋষি বর ।। হে শিক্ষার্থী গণ ; আসন পরিগ্রহন করো আপন আপন । তোমাদের আজ পাঠ্য শাস্ত্র বেদান্ত । বেদের সমস্ত জ্ঞান
             জেনে রেখ অভ্রান্ত । যেমন আগুন কিংবা রথ আবিষ্কার মানুষের বিশেষ জ্ঞান । তেমনি বেদান্তে আছে জেনো অষ্টেপৃষ্ঠে
              বাঁধা বিজ্ঞানশিক্ষা তখনয়ই সম্ভব ; যখন তোমার চেতনায় জাগবে জীবনের কার্য-কারণ অনুভব । শিক্ষার্থীর
      চোখে আলোর অভ্যুত্থান; সকল অন্ধকার করবে মোচন । মনুষ্য জাতির পিতা মাতাই প্রথম গুরু ; গর্ভের প্রগাঢ় অন্ধকার
            থেকে তাদেরি আঙ্গুল ধরে সকলের পথচলা শুরু । এই অন্ধকার থেকে আলোয় আগমন ; জেনে রেখ জীবকুলে মনুষ্যের
             সর্বশ্রেষ্ঠ ধন । এ রতন খুইয়ো না ; কুপথে যাইয়ো না ।
ছাত্র-গণ  ।। গুরুদেব আমাদের কর্ম সম্পর্কে অবহিত করুন । আমাদের জীবনের লক্ষ্য কী হওয়া উচিত বলুন ।
ঋষি বর ।।  শাস্ত্রে একাধিক যোগে জ্ঞানের উচ্চলোকে অবতরণ । এদের মধ্যে সহজ এবং উৎকৃষ্ট ভক্তিযোগ জেন সর্বজন । ভক্তির মাঝে
              মুক্তি ; মুক্তির মাঝে প্রজ্ঞার বাস । তাই হে ছাত্র-গণ অনুক্ষণ ভক্তি ভালবাসায় কর এ পৃথিবীকে বশ।
ছাত্র-গণ  ।। গুরুদেব এ কঠিন উক্তি যদি সোজা করে বলেন ; অ-বোধগম্যের শুষ্ক পাত্রে দয়াকরে তরল পানীয় ঢালেন ।
ঋষি বর ।।  তাহলে এসো ভক্তির দিই ছোট্ট দৃষ্টান্ত । যদিও ভক্তি মহাবিশ্বে অপরিমেয় অনন্ত ; মনে রেখ তোমাদের কৃষ্টি সংস্কৃতি সর্বাগ্রে
             নির্ধারণ করবে জীবনের গতি মাতৃদেব ভব ..... পিতৃদেব ভব । বাবা মাকে দেবতার সনে পূজিবার এ স্তব পুরোটাই মেনেছিল
             সব ; যে বালক এসো আজ তার গল্প বলি ।
ছাত্র-গণ  ।। বিলম্ব নয় গুরুদেব মুক্ত করুন আপনার গল্পের ঝুলি ।
ঋষি বর ।। ছাত্রের কৌতূহল বৃদ্ধি এও ভক্তিরই সিদ্ধি ।
ছাত্র-গণ  ।। গুরুদেব দয়াকরে গল্প করুন প্রসারিত ।
ঋষি বর ।। তাই হোক ঋষিপুত্র-গণ ভক্তিকে করি ব্যক্ত । চন্দ্রভাগা নদী তীরে পুণ্য ক্ষেত্র পুন্ডরীপুরাম । সেখানেই ছিল ব্রাম্ভণ বালক পুণ্ডরীকের
             ধাম । প্রত্যহ প্রাতে মা বাবার চরণ কমলে জানিয়ে প্রণাম ; নিমগ্ন চিত্তে বিদ্যাভ্যাসে সিদ্ধহস্ত হত সে অধম । পুণ্ডরীকের ভক্তি
             শ্রদ্ধার এ নিদর্শন ; স্বয়ং শ্রী কৃষ্ণ কেও করেছিল আকর্ষণ ।

                                   ( দৃশ্যটি ছবি হয়ে যায় )

[দ্বিতীয় দৃশ্য] স্থান: চন্দ্রভাগা নদী তীরে কুটির \ সময়: পূর্ণিমা রাত্রি
{ একটি তিন দিক বেষ্টিত কুটিরের গায়ের বেড়ার ফাঁক থেকে চন্দ্রভাগা নদীকে খেলা করতে দেখাযায় । আকাশে প্রস্ফুটিত চন্দ্র । কুটির
কোটরে প্রজ্বলিত প্রদীপ শিখা । খড়ের বিছানায় শায়িত পুণ্ডরীকের পিতা মাতা । ধ্যানও মগ্ন চিত্তে তাদের পাদুকা পল্লব মর্দন করে দিতে থাকে
পুণ্ডরীক । }
পিতা     ।।  পুত্র রাত্রি ছুঁয়েছে মধ্যগগন ; তোমার বিশ্রামের আছে প্রয়োজন ।
 মাতা    ।।   দিনো ক্লান্তিতে তুমিও ক্লিষ্ট ; শয্যার কর আয়োজন ।
পুণ্ডরীক ।।   আপনাদের নিদ্রা স্পর্শ না করলে ; আমার চক্ষু থাকে অবিচল আঁখি মেলে 
 মাতা   ।।  কিন্তু পুত্র তোমার ওতো মানব শরীর ।
পিতা    ।। ক্লান্তি , গ্লানি , জর্জরতা আপাদমস্তক করে বধির ।
পুণ্ডরীক  ।। পিতা মানব পৃথিবীর উৎকৃষ্ট জীব । প্রতিকূলতার সাথে যে না লড়ে সে যে ক্লীব ।
 পিতা  ।।  তবুও তো প্রকৃতির নিয়ম আমরা করিনা লঙ্ঘন ; অবিশ্রান্ত শ্রমে ভয় পাই পাছে ভাঙ্গে শরীর মন ।
পুণ্ডরীক  ।। মাতা প্রকৃতিতো আপনাতে আমাতে নিমজ্জিত যেমন চালাবেন তাকে সে হবে পরিচালিত ।
  মাতা     ।। কী কঠিন উক্তি তোমার পুত্র ।
পুণ্ডরীক  ।। কিন্তু মাতা ইহাই বাস্তবিক সত্য । আর যাহা সত্য তাহা সুন্দর । সুন্দরয়ই ঈশ্বরের ঘর। প্রকৃতি হবে মানুষের সহৃদয় ; তবেই আসবে ছিন্নমূল জয় ।          
      অবিরত বিশ্রামে নয় মানসিক ; শারীরিক ;আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন । কর্মই করে জ্ঞানের বিকাশ  । শরীরের গঠন । তরবারি পাথরের ঘর্ষণে ধারালো              
   হয় । এমন শুনেছেন কী এ পন্থায় তার ধার কমে যায় । যার প্রথমে আত্মা পরে শরীর ; সেই তো পৃথিবীর জিতেন্দ্রিয় বীর । আত্মা যেখানে ভক্তিতে নিমগ্ন;      
          সেখানে শরীরের মূল্য সামান্য ।
 পিতা    ।।  পুণ্ডরীক জননী তর্কের বৃথা চেষ্টা তোমার । জ্ঞানের উচ্চ মার্গে ; আত্মার উন্নত লোকে পুত্র আমার ।
পুণ্ডরীক  ।।  পিতা অধিক কিছু যদি বলি কর জোড়ে মার্জনা চাই খালি ।
 মাতা     ।। না বৎস তুমি পরিমার্জিত ; তোমার বিনম্র ভাষা মধু বেষ্টিত ।
 পিতা    ।। এসো আমরা প্রয়াস করি ঘুমবার ; সত্যি বালক তোমার ভক্তি ইর্ষনীয় সবার।
(পুণ্ডরীকের পিতা মাতা চক্ষু বন্ধ করে । পূর্বের ন্যায় পুণ্ডরীক তাদের পাদুকা পল্লবের সেবা করে চলে । )
{সহসা কুটির বাহির দ্বারে বিদ্যুৎ চমক খেলে যায় । মঞ্চের ওপর থেকে নীল আলোক রশ্মি সরল রেখায় কুটির দ্বারে পতিত হয় ।}
{শঙ্খ ধ্বনি বেজে ওঠে}
(কুটির দ্বারে কৃষ্ণ এসে দাঁড়ায় । হাতে ঘূর্ণায়মান চক্র ।)
কৃষ্ণ    ।। বৎস পুণ্ডরীক ......  বৎস পুণ্ডরীক .....
{কুটির মধ্যে থেকে উত্তর আসে ।}
পুণ্ডরীক  ।। আস্তে আস্তে । কে ডাকছেন আমায় দয়াকরে ক্ষণিক অপেক্ষা করেন দরজায় ।
কৃষ্ণ      ।। আমি দেব শ্রেষ্ঠ কৃষ্ণ ।
পুণ্ডরীক  ।। হে দেব প্রণাম  ; গ্রহণ করুন আমার অভ্যর্থনা উষ্ণ । আপনি দয়াকরে ধুলো থেকে কুটির সংলগ্ন শ্বেতপাথরে উঠে দাঁড়ান । ক্ষণিক পরে আপনার
             পদযুগলের সেবার সুযোগ করে দেন ।
কৃষ্ণ      ।। তুমি কি এমন কাজেরত?স্বয়ং কৃষ্ণ উপেক্ষিত ।
পুণ্ডরীক   ।। গুরুদেব আমি গুরু সেবায় চিরতরে সঁপেছি মন  ; সে কর্মে বিরতি পড়লে হারাব ভক্তির অমূল্য ধন ।
কৃষ্ণ    ।। আমার চাইতে বড় গুরু কে । কে ঈশ্বর ।
পুণ্ডরীক   ।। গুরু ব্রহ্মা ; গুরু বিষ্ণু ; গুরু দেব মহেশ্বর । গুরুর কোন বৈষম্য নেই । স্থলে ,জলে ,পাতালে সে রয়েছে সর্বত্রই ।
কৃষ্ণ      ।। সবাই সদা উন্মুখ যাকে দর্শনের অভিলাষে ; হেলায় হারাও তাকে কুটির মধ্যে বসে ।
পুণ্ডরীক   ।। যাকে হৃদয়ে করেছি স্থাপন ; হারাবে এ কথা ভেবে বিচলিত হবে কেন  মন ।
কৃষ্ণ    ।। হাস্যকর এ বালক । যাকে রণে বনে মনে ধনে লক্ষ কোটি মন্দিরে গেলনা ধরা সামান্য এক বালকের প্রেমে সে পড়ল মারা । ওরে ভন্ড পাষণ্ড
           বাতুলতার সীমা করেছিস অতিক্রম । গুরু সেবা মুখের কথা নয় সে বড় কঠিন দুর্গম । আমি যুক্তি সহ প্রমাণ চাই মিথ্যা আবেগে ভক্তি নাই ।
           ব্যর্থতায় পাবি অভিশাপ বুঝবি আমার রোষাগ্নির তাপ ।
পুণ্ডরীক   ।। আপনার শাপ ও আমার কাছে আশীর্বাদ । দয়াকরে আর সামান্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন হে নাথ ।
( কৃষ্ণ শ্বেত পাথরের ওপর উঠে দাঁড়ায় । পুণ্ডরীক বড়ো একটা তালপাতার পাখা নেড়ে বাবা মা কে হাওয়া করে । )
{আবহে গান শোনা যায় ।}
                                 ও দ্বারেতে কৃষ্ণ রইলো অপেক্ষায় ;
             সম্রাট ভিখারির সাক্ষাৎ চায় ।
                                 ও হরি তব একি খেলা হায় ।।
            
             ও অমন পাদুকা যুগল চুমিছে যা এ এিভুবন
             ধুলোতে যে গড়াগড়ি খায় ।
               ও হরি তব একি খেলা হায় ।।

                    ও সকলে পুজিছে যারে বালক ফেরায় তারে ;
             এ বেদনা লুকানো যে দায় ।
              ও হরি তব একি খেলা হায় ।।
( গান শেষ হয় । পুণ্ডরীক পিতা মাতাকে কর জোড়ে প্রণাম করে কুটিরের বাইরে আসে ।)
পুণ্ডরীক   ।। প্রণাম গুরুদেব ।
  কৃষ্ণ    ।। ত্যাগ কর বিনম্রতার প্রলেপ । এবার বলো ; কোন সে জাদুবলে ; স্বয়ং শ্রী কৃষ্ণকে লাভ করেছো কৌশলে ।
পুণ্ডরীক   ।। শুধুই ভক্তি ।                      
 কৃষ্ণ    ।। ব্যাখ্যা কর এ উক্তি ।
 পুণ্ডরীক   ।। প্রভু আমি যখন ডেকেছি গুরুদেব ; আপনি নির্দ্বিধায় দিয়েছেন সাড়া না করে আক্ষেপ ।
 কৃষ্ণ    ।। ভক্তের ডাকে সাড়া দেওয়াই ভগবানের কার্য ।
 পুণ্ডরীক   ।। ভক্ত না  হলে ভগবানের অস্তিত্বের সংকট অনিবার্য ।
 কৃষ্ণ    ।। তাতো বটে ; ভক্তেই ভগবান আছে টিকে ।
পুণ্ডরীক   ।। আপনিই গুরু এ ব্রম্ভান্ড ; আপনাকে দিয়ই শুরু ।
 কৃষ্ণ    ।। এ সব কথা সর্বজন বিদিত । কিন্তু এর সাথে তোমার বাক্যের কোন সামঞ্জস্য দেখিনাত ।
পুণ্ডরীক   ।। দয়াকরে স্থির হন । আমার কথায় নিমজ্জিত হোক আপনার অন্তরতম মন ।জন্মদাতা পিতা মাতা
              জগত স্রষ্টা আপনি । সরল কথায় লতায় পাতায় একাসনে তিনজনি । হে ঈশ্বর এর কোন দ্বিমত আছে ।
 কৃষ্ণ    ।। না স্বেচ্ছাচারিতা নেই তোমার বাক্যের পেঁচে । গুরু ঈশ্বরের সকার ; ঈশ্বর গুরুর নিরাকার ।
পুণ্ডরীক   ।। গঙ্গার অনেক শাখা প্রশাখা প্রবাহিত । গঙ্গা থেকে দূরে ভাগীরথী তীরে তবে কী ভক্ত হবে মর্ম্মাহত । পদ্মাসনে - পদ্মাসনে ;
              পদ্মার জলে পূজা যদি হয় । এ নিষ্ঠায় আপনার আছে কি কোন সংশয় । যে নদ নালায় ঢালা  হোকনা কেন জল । সাগরে মিশবে সে
              যে নাহয়ে বিফল । তেমনি ভাবে ভক্তি ত্যাগে ; যদি সেবি আমার স্রষ্টাকে । দূরে অলক্ষিত বিশ্বকর্মা সেবা পায় । কাছের নদীর চড়ায় ;
             যে রোদ বৃষ্টি ; শস্য উৎকর্ষে তার প্রতিফলন দেখাদেয় ; তা যে মহা সাগরের দান । তাই ক্ষুদ্রের আশীর্বাদ বৃহতের সমান ।
কৃষ্ণ    ।। আমি অভিভূত । ঋষিপুত্র ভক্তি তোমার শিরা ধমনীতে সদা জাগ্রত । পরীক্ষায় হয়েছো উত্তীর্ণ বর চাও ।
পুণ্ডরীক   ।। প্রভু এ অবোধ শিশুকে শুধু মহাকাশের ন্যায় জ্ঞান দাও ভক্তি দাও সাত সমুদ্রের মত ; বিশ্বাসে যেন থাকি অটল অতি দুর্দিনও
       আসুক যতো
কৃষ্ণ    ।। বেশ তাই হোক বুদ্ধিতে তুমি বৃহস্পতি ; ভক্তির তুমি হবে নৃপতি । বিশ্বাসে হবে হিমালয় থেকে অর উঁচু পর্বতমালা । তোমার কাছেই জগত
            শিখবে জীবনের পথে চলা ।


(পুণ্ডরীক মাথা নত করে  কৃষ্ণের পায়ের কাছে বসে আশীর্বাদ গ্রহণ করে । কৃষ্ণের হাতের তালু থেকে নীলাভ আলোক রশ্মি এসে পড়ে পুণ্ডরীকের মাথায় । )
{অন্ধকার নেমে আসে ।}


[তৃতীয় দৃশ্য]স্থান: তপোবন \ সময়: প্রাতঃকাল
(প্রথম দৃশ্যের স্থির ছবি ভেঙ্গে তৃতীয় দৃশ্য শুরু হয় ।)
ঋষিবর ।। তোমরা অবগত হলেতো ভক্তির কী অসীম শক্তি ।
ছাত্র-গণ ।। হ্যাঁ গুরুদেব মানস  চক্ষু উন্মোচিত হল সত্যি।
ঋষিবর ।।তাহলে সার্থক আমার শিক্ষা ।ধন্য তোমাদের প্রতীক্ষা ।জ্ঞানের সূর্যালোক হয়েছে উদিত । আগামী কাল আমাদের পাঠ থাকবে অব্যাহত ।
(ঋষিবর উঠে দাঁড়ায় । ঋষি পুত্র-গন নতজানু হয়ে প্রণাম করলে তিনি আশীর্বাদ করেন ।)
{দৃশ্যটি ছবি হয়}
                                      

                          [সমাপ্ত]