শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৬

সৈয়দ মাকসুদ



সৈয়দ মাকসুদ


কতো যে স্মৃতি
---
বৃষ্টি এলেই মনে পরে সেই দিনটার কথা;
হাতের আঙুল ছুঁয়ে; পরাণে হৃদয়;
প্রহরী চোখ ফাঁকি দিয়ে ঘন ঘন জলের নদীতে খালিপায়ে হাটা ।
হাটতে হাটতে ক্লান্তি এলে দৈত শরীরে,
ঝুপড়ী দোকানীর চা শেষে আবার হাটা ।
জলের কনাগুলো পায়ের মধ্যে লেগে থাকা,
লুকোচুরি খেলায় কাশফুলের মধ্যে নিজেদের হারিয়ে ফেলা ।
হালকা বাতস এলো দৌরে পালানো বুকের ভিতর;
বাহানায় ভড় করে কাপুনি এলে সঞ্চিত ওম চুরি করে আগুন জালিয়ে,
সে কি তুমুল যৌবনের উ্ল্লাস; বৃষ্টির সাথে দিয়ে পালা!

আরো কতো যে স্মৃতি আছে,
এই সব পরিচিত যায়গা গুলো আজ কতো অপরিচিত হয়ে গেছে-
এই যায়গাগুলো হয়তো একদিন ভুলেই যাবে আমাদের ।






অপেক্ষা

অপেক্ষায় আছি;
অপেক্ষায় আর অপেক্ষায়,
নির্ঘুম রাত বৃষ্টির দাবানলে যদি ভিজে যায়,
আমার অপেক্ষা আর এইসব জমানো অভিমান;
আমি দুঃখ পাইনা আর,
অপেক্ষায় থাকি;
অপেক্ষায় আর অপেক্ষায়।







কৃষ্ণকলি; গুঁজে দিলাম ঘাঁষফুল

রুপালী নদীর ভরা বুকে, নিটোলে উঠেছ তুমি কৃষ্ণকলি!
তোমার মখমল বিছানা; ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টিতে আমি পুড়ি রৌদ্রখরায়;
অরণ্যের সব বনলতা যেন আজ কাঁকণ গড়েছে শুনে তোমায়,
কৃষ্ণকলি; দিশে হারা চোখে অপলক গুজে দিলাম আজ
কিছু ঘাঁষফুল এখান থেকে তোমার খোঁপায়।

কেউ কেউ কী জানি কিসের ঘোরে করে বিষ পান;
আমিতো শুনে; ক্ষোভেপ্রেমের,
মাথা ঠুকি অনাহুত দূরত্বের বধির দেয়ালে।






ঝড় হয়ে বয় জলের জীবন

মাঝে মাঝে আমিও ভাবি; আমার হবে একটি নদী
নীল পাহাড়ের কোলে এলিয়ে আনবে কাটুম্বা গ্রাম;
বৃষ্টির জলে ধোয়া ভেজা বাতাসে এলোকেশি
ঝিমঝিমে আলোর ফোয়াড়া ছোটাবে প্রেমের।
কবিতায় পেখম মেলে ভালোবাসার
আমরা হেঁটে যাবো পথ হাজার বছর, ক্লান্তিহীন
আমি জোনাকিদের যৌবন এনে দেব তার খোপায়
বিছানায় বিছিয়ে দেব বকুলের সুবাস।


এলোকেশি বোঝে না!
আমাকে বুঝতে চায় না!!
কেন বুঝি না !!!
ও শুধু পয়সাওয়ালা লোকগুলোর ক্ষিধে মেটায়
গাড়ী চড়ে আসে;
শুধু একটা চুমু খায় আমাকে।






মুখ ও মুখোশ

জীবনের স্ল্যাবে বসে,
হাতের আঙুলে গুনি
মুখোশধারী মানুষ!
কান্নার জল দুচোখে পুষে
রাতঅবদি ঘুমাই;
ফুতপাতে বিছানার মতো,
তবুও নষ্ট মানুষ;
রঙিন অহংকার গায়ে মেখে,
আমাকে প্রতিদিন বিদ্রোহী করে তোলে।
 --