হাসিদা মুন
অস্থির কিছু ঘাম
কাশবনে
জ্যোৎস্না সোপান খোঁজে
দুঃখবতী
নদী রিনরিনিয়ে কাঁদে
এখন
তো বরষায় - সেই স্রোত নয় আর
জলের
অভাবে জ্বলে যাক পত্রপুট
পক্ষাঘাত
হোক সরলবর্গীয় ঝিঙে ফুলে
সেমিকোলন
দিয়ে দিয়ে নগর ভরাটের স্নায়ুভার
তবুও
ফুলুক ফাঁপুক কংক্রিটের কীটেরা
কি
এসে যায় তাতে কার ?
দৈব
ইশারায় নাচে চোখের পাতায় চৌহদ্দি
নাভিনীচে
নেচে উঠে লোভের লাভার কাম
আম্লজানের
অভাবে দাপাক নাহয়
অস্থির
কিছু ঘাম ................
বিক্রীত খুলি
.
নির্ভেজাল বিক্রির জন্য
দলিল করাথাকে ভূ - খন্ডের
বিভিন্ন - চড়াই উৎরাই
.
তবে - অতিদ্রুত বিকোয়
চলমান খুলিযুক্ত
মানুষেরাই
.
বিক্রীত খুলিগুলো
কাদের ?
বিকৃত
আমাদের
এবং
সেসব আমরাই ......
পৃষ্ঠা
উল্টাও
উদ্বেগহীন স্বল্প হেলে কোল
ছুঁয়ে আছে -শৈশব
সুবাসিত গোলাপ আঁকা বিছানা
ঘুমের ঘোরেও চুষে যাচ্ছি
স্রোতস্বিনী যুগল স্তন
এ বিশ্ব যখন পরিচয় করিয়ে
দিচ্ছে আমার আপনজনদের
.
পৃষ্ঠা উল্টাও
হাতে কাঠপেন্সিল পাঠশালার
নামতা কন্ঠে জপি -'দুই
ঈক্কে দুই'
আপনজন বদলে যাচ্ছে চাঁছা ছোলা
চেহারায়
এখন স্তন্যবৃন্ত এগিয়ে ধরেনা
কেউ আগেকার মত
পান করার পানিটাও নিজেকেই বয়ে
নিয়ে যেতে হয়
.
পৃষ্ঠা উল্টাও
রসায়ন ল্যাব এ অক্সিজেনের
ব্যাবহার শিখি
জি'এর মানের
সাথে নিজের মানকদন্ড গড়ি উচ্ছল কৈশোরে
অন্ত্র পুড়ে যায় - নিদারুণ
রহস্য জিজ্ঞাসায়
অংকের খাতা ফেলে মাষ্টার মশাই
-আমার বক্ষ পানে কেন চায় ?
.
পৃষ্ঠা উল্টাও
নগ্ন জীবনের শরীর শরীর বোধে
আপ্লুত হয় জাদুকরী ছলকানি
দীর্ঘ দীর্ঘ আলিঙ্গন চায়
পাঁজরার হাড় মজ্জা
শরীরের খনিতে জ্বলে বিগলন হয়
মোমদানি
মনের দিবাস্বপ্নে ডুবিয়ে
চুবিয়ে তুলি খেয়ালে বেখেয়ালে
পাতালের 'মাকাম' থেকে উঠে
আসে কিছু কাম
.
পৃষ্ঠা উল্টাও
বিচরণ করে যায় -আলোর নেতৃত্ব
পিছনে শাশ্বত অন্ধকার
সর্বনাশা বোধে যুগ যুগান্তরের
বিভক্তির ত্রাস
বাঁধ মানেনা গুরুমস্তিস্কের
জটে অবুঝ ওঙ্কার
কি জটিল মানুষের মন সম্প্রদায়
!?
মাটির আসন বিকিয়েছে শুভ্রতার
ইতিবৃত্তে
কালক্রমে সেও উঠেছে কাদাটে
-সুনিশ্চয়
হাতড়ে যা পাওয়া যায় , সেতো
-বস্তুতে বস্তুর বিনিময়
.
.পৃষ্ঠা উল্টাও
বাধ্য পায়রার ঘর চেনানোর
মতোকরে যত বিঁধান
যদিও বিঁধি অনন্য প্রথায় , যাঞ্চা করে
যাই
কি চাই ? কি পাই ? কি যেন নাই
!
অফুরন্ত নাই এর মিছিল বেরোয়
আকাঙ্ক্ষা মুহূর্তে ?
নিজআশ্রয় 'আছে'র আবাস
খুঁজতে
হয়রাণ হয়ে এগিয়ে আসে ঈশ্বর
ধরণীর অস্তিত্বে
.
পৃষ্ঠা উল্টাও
একে ওঁকে নয়
প্রতি পৃষ্ঠায় লিখে রাখা জীবন
গঠনের চরণে চরণে
নিজেই নিজেকে- বারবার পড়ে নাও .........
শরীর
সেতু
-
চমৎকার এক নতুন শুরু আমাকে
দাও
নতুন চরে'তে অহিফেন
চাষে
নির্মাণ বুনে দেবো
.
সংস্কার নদীর জলোচ্ছ্বাসে
ভেসে
শান্তনা ডুবাবো
কারাদন্ড দিয়ে জোয়ার ভাঁটাতে
নোঙ্গরকরণ হবো
.
আমার শরীরে সেতু নির্মাণে
তোমার শরীর ছোবো .........
ভালো আছি
'
ভেবে নেয়া
.
টপকে এসেছি কয়যুগ
হামাগুড়ি দিয়েনয়
- ধীর স্পষ্ট ধাপফেলে
বিষণ্ণ
সময় - কাছে এসেও চোখাচোখি হতে পারেনি
বড্ড বেশী একাকীত্বে
গেঁথেছি বিনে সুতোর মালা
হাত বদলের পালা হয়নি কোন
বেলাতেই
সুস্থির চিন্তায় ঝাঁজ বাড়েনি শ্রাবণ মেঘের অমসৃণ আকাশ তলে
আঁকা বাঁকা মেঠোপথে হারাতে
পারেনি গন্তব্য ভুলে
.
নদীর মতো বয়ে গেছে দিন
কাল পাথুরে বেষ্টনী
খাড়ির ফাঁদ ঘুরে
লক্ষ্য কি এহেন মানবজনমের ?
শুধুই পথ বেয়ে রথের মেলা দেখা
আর পায়ে পায়ে এলোমেলো হাঁটা ?
সখেদে চেঁচায় অন্তরাত্মা
বিকতে পারেনা মূল্যহীন রাজ্যপাটে
বিরামহীন অনুতাপ
.
এখানে ছাইরঙা আকাশে নীলের
প্রাদুর্ভাব
এখানে দেশপাহারায় দেশখোর
এখানে পাতার সবুজে ভ্যাজাল
অক্সিজেন ফলে
এখানে জাগরিত
হৃদয় ঝিমায় দুর্মূল্যে
এখানে চোখে হাত চেপে পিছনে
স্বজন
.
বিস্বাদের বাষ্প ছড়ায় তেজস্ক্রিয় বিকিরণ
এর মাঝেই বেঁচে বর্তে
থাকাথাকি মমিফিকেশানে
কে কাঁদে , কার
শোকে হায় !
দৃষ্টি প্যাঁচানো বিলাপের পট্টিতে
অকেজো কাজে নিজেই নিজের
মুখাগ্নি করে যাওয়া
.
আঁধারের অলিতে গলিতে গা ঢাকা
দেয়া কর্মপন্থা
সফেদ পোশাক পরে দাঁড়কাক
সাঁজে বলাকা অবলীলায়
বিফল লোক লজ্জা ,সন্দিহান আফসোসে মরে আরতি
কুবুদ্ধির
মায়াজালে অপরাধী গড়ে তোলে মহাকালের
খেয়া
.
বৈকল্য মনে -''ভালো আছি ' ভেবে
নেয়া ...............