প্রণব বসুরায়
তাথৈ তাথৈ
শুনেছি জলের ডাক, দুটি পায়ে তাথৈ তাথৈ
লুকোনো দানায় আজ রাঁধা হলো ভাত
অন্নব্যঞ্জনের ঘ্রাণ, আহা
বাতাসের গায়ে গায়ে ঘোরে
অবেলায় বৃষ্টি এলো, যেন সে ভেজাতেই চায়
বারণ করে নি কেউ, কোনো চোখ বিস্ময়বাচক
খোলা কাঁধে হাত রেখে পুরস্কার দ্যায়...
জল ডেকেছিলো তাই ভিজেছি বৃষ্টিতে
প্রিয় খাদ্যের ঘ্রাণ প্রতিবেশী বাড়িটার উঠোন পেরোয়
ভারি পর্দার পাশে, দ্যাখো আমি সুষমায় জাগি
শুনেছি জলের ডাক, দুটি পায়ে তাথৈ তাথৈ
লুকোনো দানায় আজ রাঁধা হলো ভাত
অন্নব্যঞ্জনের ঘ্রাণ, আহা
বাতাসের গায়ে গায়ে ঘোরে
অবেলায় বৃষ্টি এলো, যেন সে ভেজাতেই চায়
বারণ করে নি কেউ, কোনো চোখ বিস্ময়বাচক
খোলা কাঁধে হাত রেখে পুরস্কার দ্যায়...
জল ডেকেছিলো তাই ভিজেছি বৃষ্টিতে
প্রিয় খাদ্যের ঘ্রাণ প্রতিবেশী বাড়িটার উঠোন পেরোয়
ভারি পর্দার পাশে, দ্যাখো আমি সুষমায় জাগি
পরখ
আমি ভাবি হারিয়ে গিয়েও কী মসৃণ
থাকা যায়, লুকোনো বইয়ের ভাঁজে
ঠান্ডা আরামে, পোকার সাধ্য নেই
সাহস দেখায়...
কোনো এক বৃষ্টি দুপুরে অথবা বানভাসি রাতে
ফিসফিস নিশির ডাক শোনা যায়...
দুপুরে নিশি ডাকের বাস্তবতা নিয়ে
কেইবা ভাবে, কেনই বা ভাবার বিষয়!
কম্বলের উষ্ণতা ভালো, প্রিয় ঊরুর বালিশ
ভাবিই কেবল-- কোনোদিন পরখ করি নি...
থাকা যায়, লুকোনো বইয়ের ভাঁজে
ঠান্ডা আরামে, পোকার সাধ্য নেই
সাহস দেখায়...
কোনো এক বৃষ্টি দুপুরে অথবা বানভাসি রাতে
ফিসফিস নিশির ডাক শোনা যায়...
দুপুরে নিশি ডাকের বাস্তবতা নিয়ে
কেইবা ভাবে, কেনই বা ভাবার বিষয়!
কম্বলের উষ্ণতা ভালো, প্রিয় ঊরুর বালিশ
ভাবিই কেবল-- কোনোদিন পরখ করি নি...
ফুর্তি দিবস
আজকে মানি ফুর্তি দিবস, আষাঢ় এখন সদ্য
দুপুরবেলায় কেউ দেবে ঠিক চুমু নামের মদ্য।
স্বাদ নেব তো ঠোঁটের ওপর জড়িয়ে ধরে গাল
সন্ধ্যেবেলায় আরেক গল্প যা ছিল ঠিক কাল।
নামতা আমার মুখস্ত নেই, মস্ত বড় দো্ষ
কাঙালপনা বন্ধ থাকুক, মাথা নাড়ায় রোষ
এসব কথা নাজুক ছায়ায়, ঘোর বাস্তব ফক্কা
বাউন্সারেও মার খাচ্ছি, উড়ছে কেবল ছক্কা।
আষাঢ় মাসে দাদন দিও ফল পেতে সেই মাঘ
তখন কিন্তু মাংস চাই, গুহার বাইরে বাঘ...
দুপুরবেলায় কেউ দেবে ঠিক চুমু নামের মদ্য।
স্বাদ নেব তো ঠোঁটের ওপর জড়িয়ে ধরে গাল
সন্ধ্যেবেলায় আরেক গল্প যা ছিল ঠিক কাল।
নামতা আমার মুখস্ত নেই, মস্ত বড় দো্ষ
কাঙালপনা বন্ধ থাকুক, মাথা নাড়ায় রোষ
এসব কথা নাজুক ছায়ায়, ঘোর বাস্তব ফক্কা
বাউন্সারেও মার খাচ্ছি, উড়ছে কেবল ছক্কা।
আষাঢ় মাসে দাদন দিও ফল পেতে সেই মাঘ
তখন কিন্তু মাংস চাই, গুহার বাইরে বাঘ...
তফাৎ
সামান্য তফাৎ ছিলো আজ
ঝড় ছাড়াই বৃষ্টি এলো
অগোছাল সকাল বেলায়...
ছাতা মেলি নি, আমাকে ভেজা্লো সে--
আমি অবশ বসে পড়ি জামরুল গাছের নীচে
ফিরে যাই দ্বাদশ বছরে--
পড়ে থাকা জামরুল কুড়িয়ে নিই
কোঁচড় ভর্তি করে,
একটা পিঁপড়েও এসেছিলো, লক্ষ্য করি নি
তার বুঝি এতটা ক্ষমতা, বৃষ্টি আনার!
ঝমঝম বৃষ্টি এলো রক্ত রঙের
ঝড় ছিলো না, দিনটা সামান্য তফাৎ ছিলো শুধু
ঝড় ছাড়াই বৃষ্টি এলো
অগোছাল সকাল বেলায়...
ছাতা মেলি নি, আমাকে ভেজা্লো সে--
আমি অবশ বসে পড়ি জামরুল গাছের নীচে
ফিরে যাই দ্বাদশ বছরে--
পড়ে থাকা জামরুল কুড়িয়ে নিই
কোঁচড় ভর্তি করে,
একটা পিঁপড়েও এসেছিলো, লক্ষ্য করি নি
তার বুঝি এতটা ক্ষমতা, বৃষ্টি আনার!
ঝমঝম বৃষ্টি এলো রক্ত রঙের
ঝড় ছিলো না, দিনটা সামান্য তফাৎ ছিলো শুধু
বৃষ্টিস্নাত
(টানা গদ্যে)
এখানে দুপুর প্রৌঢ় হয়ে এল্লো,
এলোমেলো ঝোড়ো বাতাসে বিকেল আসছে ঘন মেঘের টোপর পড়ে, সঙ্গে বৃষ্টিকুচি। হয়ত এখন
ব্যস্ত আছো অথবা বিশ্রামে...
ভূগোল প্রকৃত-দূরত্ব রচনা করতে
পারে না বলে আমি এই মুহূর্তে তোমার কাছেই। তাই আমি দেখি, স্পষ্টতই দেখতে পাই নরম
জানু বেয়ে উঠে যাচ্ছে পিঁপড়ে, সহস্র বিদ্যুৎকণা নিয়ে; তুমি শিহরিত হচ্ছো এবং
অন্ধদেশে ফুটে উঠছে আলো! এ সময়ে শুয়ে থাকা সাপের ঘুম ভাঙে ও সে মাথা তুলে দাঁড়াতে
উদ্যত, মুখে তার লালা আর কষের নীচে লুকনো থলিতে তরল উষ্ণ বীজ।
ঘরের সংলগ্ন অনুচ্ছ ঝোপ কোন আবরণ
রচনা করতে পারে না, শুধু এক টুকরো মোহ আঁধার! সে বারণের পর্দা টানে নি। বরং একটা
আবছা সরু পথ এঁকে দিয়েছে কক্ষমুখ পর্যন্ত। পদ্মগন্ধ উঠে আসছে মূল থেকে—ঘ্রাণের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে শোণিতে।
চোখ ওপরে তুলে অন্য দেখা—সুডৌল পাহাড়ের মাথায় স্থির বসা বাদামী ভ্রমর। সে ভ্রমরের
ছায়া নিকট সানুদেশে বৃত্ত গড়েছে। সেও তো আশ্লেষে অধীর...
নিজেকে বাড়িয়ে দিই... ঘরের দরজা
শব্দহীন খুলে যায়...পদ্মপাপড়ির ডাক...ঘন পিচ্ছিলতায় সাপ ঢুকে যায়... ঢুকে
যায়...সাপ ফিরে আসে, বীজ রেখে দিয়ে—