বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০১৬

মোকসেদুল ইসলাম



মোকসেদুল ইসলাম
সেলফীসুখ
....................
ইথারে মিলিয়ে যাচ্ছে সব
      
মায়ের ভালোবাসা
পলিমাটি সুখ
      
রমণীয় হাসি
গোত্রপতির গুণ
      
নারীর ঘন চুল
নাগরিক বোধ

ফিরে আসছে সব
     
ঘুণপোকা রাত
বাদুড়ের মতোন
     
দুঃসহ দুপুর
জন্মান্ধ মানুষ
     
সেলফী সুখ







পাখিকথা
.............................
সব পাখিকথা এবার পড়ে থাক মুক্তমঞ্চে
স্তনকে রন্ধনপাত্র মনে করে যেসব পুরুষ রেখেছিল ঠোঁট
নির্জনতা ঘনীভূত হলে তারাও সবাই ছুটে পালায়
হাওয়া রোদে ভেসে যাওয়ার আগে তীব্রতর হয় কামবোধ
কালো চুলে হাসে যে মেয়ে সোনালী হাসি সেতো বুনো ফুলের গন্ধ ছড়ায়
ঠোঁটের কারুকাজ দেখে মনে জাগে প্রস্তর যুগের একরাশ সুখ
চন্ডিদাসের মতো করে প্রাচীন প্রার্থনায় বসে যাবো আমিও
এসো তবে বালকরোদে বসে ভেঙ্গে ফেলি দূর্বোধ্য শ্যাওলার দেয়াল
পাখি বিলাপ শুনে বাড়ছে যেসব দেনা গোপন ডাকে মুছে দিয়ে যাই সব
আবিষ্কারের নেশায় ঘুমিয়ে যাওয়ার আগেই হয়ে উঠি ইতিহাস








নারীর মতো সুখ
..................................
সব কিছু মনে হয় নারীর মতো
     
     স্বপ্ন
        
সুখ
           
কল্পনা
   
              এবং
                    
বাস্তবতা
আমাদের সংসার নিয়ে
প্রতিদিনই বাঁচার লড়াই








নগন্য মানুষের কথামালা
.......................................
ঢেউ শূন্য বাতাসে ভাসতে গেলে তোমাকে মনে পড়ে
সত্যি বলছি আমার নিজস্ব কোন মহিমা নেই
রাতের নেশা চোখে ধরলে বুক পকেট থেকে উড়ে যায় অচেনা পাখি
যে জোনাক উড়ে বেড়ায় আঁধার রাতে সে কি বুঝতে পারে
অনিদ্রার অসুস্থতা কাকে বলে?

সামান্য মানুষ আমি শব্দঋণ শোধের আশায় জলের ক্ষুধা নিয়ে জাগি
সেইসব রাতজাগা পাখি জানে ঝরাপাতাদের কষ্টগাঁথা
যাদের স্মৃতি জুড়ে খেলা করে হলুদ সন্ধ্যার বাতাস
পানপাত্র হাতে নিয়ে আমি আজও তাঁদের পিছেই ঘুরছি
কথার কোন বাজারদর নেই জেনেও বিজ্ঞাপনী ভাষায় যারা গেয়ে যায় গান
সময়ের ভাঁজে তারাই লিখে রাখে সব অক্ষরচেনা কথামালা








ছায়াপথের সুখ
...............................
ধানখেতে যে ডাহু ডাকে সেতো মিলনের আহ্বান
প্রকৃতির খেয়ালে বাজে যে সুর সে বাতাসের গান
ওগো ভগ্নাংশের মেয়ে, জান তো
পালক দিয়ে ঢেকে রাখতে নেই শালিক যৌবন
চলো তবে এবার অনন্তের পথে হাটি
কুয়াশায় জন্ম নেয়া শিশির পায়ে মেখে চলি পথ
সূর্যের আলোয় বিছিয়ে দিই কিছু ছায়াপথ সুখ