ইন্দ্রাণী সরকার
ওর চোখে বৃষ্টি
এলোমেলো বৃষ্টি ওর
চোখের পাতা ছুঁয়ে দেয় ।
ওর কাজল কালো
চোখে জমানো মেঘ
জলের ফোঁটা হয়ে
বৃষ্টিধারায় মিশে যায় ।
অভিমানী মুখখানি
বৃষ্টিতে ভিজে আরো যেন
সুন্দর, সতেজ হয়ে ওঠে ।
ওর ঠোঁট কাঁপতে থাকে
কোন অজানা আবেগে !
কান পেতে শুনি ও বলছে -
"মন মোর মেঘের সঙ্গী ।"
ও ছুটে যায় বৃষ্টি ভেজা মাঠে
ওর নরম পা দুখানি ভেজা
মাটির স্পর্শে যেন আবার
জীবন ফিরে পায় ।
ও ছুটে বেড়ায় পরম আনন্দে,
যেন পারিজাতের পাপড়ি
ধীরে ধীরে খুলে যাচ্ছে ।
অথবা কবিগুরুর ভাষায়
"বাদল দিনের প্রথম কদম
ফুল করেছে দান ।"
বৃষ্টি
বৃষ্টি নামে চোখে, ঠোঁটে
পরতে পরতে বক্ষ হতে বাহুমূলে
নাভিতে গিয়ে জন্ম নেয়
একটা ছোট্ট দিঘী
বড় শান্ত টলমলে জল
আমি দুচোখ ধুয়ে নিই
সমস্ত ক্লেদ মুছে যায়
কি করে বোঝাই কি করে বলি
সে না এলে ভোরের আলো
ফোটে কি ফোটে না
ফুলেরা লুকিয়ে রাখে মুখ
তার জল জ্যোত্স্না ছুঁয়ে
ভোরের আলোতে মিশে যায়
শব্দের ভীড়ে
ভালবাসা নাম তোমাকেই বুঝি
স্বপ্নভেলায় তোমাকেই খুজি
ভোরের উজান রাতের গান
মধুকর লোভে সঁপেছি পরাণ
ঘুম ভেঙ্গে শুধু দেখে নিও প্রিয়
সবটুকু হৃদয় তুমি শুধু নিও
বাতাসে সুরভি আকাশের নীল
করতলে লেখা পংক্তির মিল
ব্যঞ্জনাময় শব্দের ভীড়ে
আঁকি বসে তাই প্রেম উপতীরে ।
সে চলে গেল
সে চলে গেল আনমনে
কিছু না বলা কথা এখনো বাতাসে ভাসে
এ তার প্রথম যাওয়া না
এমন বহুবার সে এভাবেই চলে গেছে
তার সুখ দু:খের টুকরো স্মৃতি
ছড়িয়ে গেল অজস্র মনের মণিকোঠায়
সে ফিরে আসবে আবার
আসতেই যে হয়
চির পরিচিত সমাজ, জায়গা ছেড়ে
কতদিন আর আলাদা থাকা যায় ?
স্বপ্নে ওড়া
স্বপ্নে ওড়ে পাখির ডানা
চাঁদের আলো ফোটে
তারারা খেলে লুকোচুরি
করমচা রঙা ঠোঁটে ।
এত কাছাকাছি বসে থাকি
দূরত্ব সীমা ছাড়িয়ে
কথা নেই কোন চুপকথা সব
চোখের কাজল ছাপিয়ে ।
কফির কাপে তোমার ছোঁওয়া
এখনো উষ্ণ মধুর
সহজ হাসির দিনগুলি ফের
হয়েছে গল্প বিধুর ।
ফিরে পাওয়া রেশ এনেছে আবেশ
তোমার পাথর চোখে
মন দেখি হাসে শুধু ভালোবাসে
মনের আয়না রেখে