ঈশানী
রায়চৌধুরী
*
সন্ধেবেলায় জানলাগুলো খোলাই
ছিল
ঝড়ের দাপট তোমার কথা ভুলিয়ে
দিয়ে
মোমের আলোয় অদ্ভুতুড়ে অলীক
ছায়া
মনখারাপের বৃষ্টিদানা দেয়
ছড়িয়ে
এক ঝটকায় জানলাগুলো বন্ধ করি
দুষ্টু দামাল বজ্রপাতে নকশা
আঁকে
আকাশ -রুমাল , চাঁদের চোখে
সুর্মা কালো
তোমার গল্প ...পৃষ্ঠা ওড়ে ...
পড়েই থাকে
**
চোখ বুজলেই মোমের আলোয় তোমার
মুখ
বিষণ্ণতায় আবছা ধুলোর
ক্যানভাসে
যেমন তেমন ইচ্ছে -ঘুড়ির
হ্যাঁচকা টান
পলকা লাটাই মন-কেমনের মেঘ
ভাসে
দমচাপা এক ছটফটানির যন্ত্রণায়
পুড়ছ কি খুব ? বড্ড কষ্ট
বুঝবে কে
আমিও তো সেই একই রকম ছন্ন সুখ
ছিন্নমূলেও দিব্যি জীবন বইছি
যে
***
আমি যখন আকন্ঠ ডুব
নাম-না-জানা বিষে
তোমার চুলে এলাচগন্ধী
জ্যোৎস্না ছিল মিশে
****
তোমার না - বলা কথা ..জমে
থাকা মেঘের মতন
তোমার না- লেখা গান হৃদয়ে
পাথর হয়ে থাকে
তোমার না- আঁকা ছবি বুকে
নিয়ে সাদা ক্যানভাস
আ-ভেজা রঙের তুলি..কান্না যে
জল হয়ে ডাকে
রুখুশুখু ঠোঁটদুটি ছুঁয়ে থাকে
বিবর্ণ সকাল
অচেনা আঙুল ঘোরে আধখোলা চিঠির
অক্ষরে
তোমার ও চেনা মুখ ভেঙেচুরে
একশ ' হাজার
রোজ ডাকি, রোজ বল ..'' আজ থাক , লক্ষীটি
..পরে !"
*****
জোনাকিরা ডানা মুড়ে আছে , ভুলে গেছে
কী কী কথা আর ...
ঝিম ঝিম মলিন আঁধারে কথা ছিল
পথ চেনাবার
মাঠ ঘাট নদী ও ঝিলেরা কালচে
সবুজ কাচঘর
রাত বাড়লেই কানামাছি ভয়ের
কান্না তারপর ....
অথচ খুব কী ছিল ক্ষতি ?
যদি তুমি হাতটি বাড়াতে ....
অন্ধকারে....
একক তপতী !