মিজান
ভূইয়া
কালোজাল
তখনো হয়তো বা
সন্ধ্যাবেলা গল্পগুলো
জমে উঠতো।
টের পাওয়া যেতো,
জ্যোৎস্না ও কয়েকজন নারী।
প্রতিপৃষ্ঠার ইতিহাসে
থাকতো সাদা রঙ ও পাখির ডাক।
কেউ কেউ খুঁজে পেতো
বর্ণময় বৃষ্টিপাতে প্রাচীন
কিছু
পরাজিত মুখ।
এমনও সময় ছিল, বুনো দেহে
হারিয়ে যেতো মাটির পুতুল…
কেউ কেউ আঙুল তুলে মাঠ
দেখাতো,
তখন শব্দ করে নড়ে উঠতো
পেটুক পাহাড়।
জানি, অনেকেই
ভুলবে না
পায়ের তলায় চাদরের মতো
আগুন…
তবুও একথা সত্য যে,
একহাতের কালো জাল আরেক হাতে
নিয়ে,
আজও আকাশের মিষ্টি চোখ
দেশের মতো ডাকে… ।
ছিলাম
আমি থাকব আমি
আমি ছিলাম উঠোনের মাটি,
পুকুরের জল।
ছিলাম শস্যের বীজ, বারান্দায়
রৌদ্র।
মাঝে মাঝে মনে হয়, আমি
হয়তো পুইঁয়ের মাচা, শীতের
প্রজাপতি,
হয়তো গ্রীষ্মের ফল,
না হয় বারুদ।
একদিন আমি ছিলাম কাকডাকা ভোর,
বর্ষার বৃষ্টি, গহীন বনের
ভিতর ভেজা ভেজা পাতা…
আমি ছিলাম মাঠে মাঠে ঘাস
ছিলাম শিশির
ছিলাম শরৎ…
মানুষের মাথার উপর আশ্বিনের
চাঁদ আমি,
মায়ের পায়ে পায়ে ঘুরা
বহমান নদী আমি…
আছি আমি
বসন্তের ফুল!
ছিলাম আমি
থাকবো আমি…
সেই নারী
জল স্থল
সবকিছু ঘিরে একজনই নারী
আকাশ পুর্ণিমায়
সিঁড়ি বারান্দায় নির্ঘুম
লাল দুটি চোখে
যাবতীয় আলাপনে
অন্ধকারে
একজনই নারী
আমাকে পোড়ায় সে
আমিও পোড়াই তাকে, সেই নারী,
একজনই নারী।
আমাকে চিঠি লিখে সেই একজনই
আমাকে ভুলে থাকে সেই
একজনই।
সামুদ্রিক
বাতাস
তুমি চাঁদ
তুমি একাকীত্ব
তুমি একটি কাঠের চেয়ার
তোমার নীল দুটি চোখে
স্নান করে
সবুজ বৃষ্টি ও সামুদ্রিক
বাতাস
অস্ত
যায় বেলা
আশ্বিনের পূজো। বাতাসে শাদা
কফিনের ঘ্রাণ।
তারপর পথ। কুয়াশা।মনে পড়ে
তোমার বিষন্ন মুখ। দেখি গাংচিল। ভুলে যাই
অসুখ, জনসাধারণ।
মানিনা শিউলী, বকুল। হাতের
চুড়ি। রঙ্গিন গোধূলি। শক্ত কাঠে বাজে কালের
ব্যাথা। হারিয়ে যায় কিছু
লাল ফুল। মুগ্ধ নদী। এবং কাগজের পিঠে চড়ে
অস্ত যায় বেলা।