দ্বিতীয় চুম্বন
মোকসেদুল ইসলাম
.......................
সূর্যাস্তে এ আমি কার ছায়া দেখি
সেকি ঈশ্বর নাকি তুমি?
সুদূর অতীত
বিরতিহীন সময়
জলসা ঘরে বাজে শঙ্খের ধ্বনি।
.......................
সূর্যাস্তে এ আমি কার ছায়া দেখি
সেকি ঈশ্বর নাকি তুমি?
সুদূর অতীত
বিরতিহীন সময়
জলসা ঘরে বাজে শঙ্খের ধ্বনি।
সূর্য প্রাপ্তির ইতিহাস কারো নেই
দূরে যে বাঁশি বাজে সে ঈশ্বরের হাহাকার
এ আমার অনিবার্য ভালোবাসা
রূপবতী নদীতে নেমে দেই হাঁসঘুম।
জল মসৃনতায় চাষ করি যে ফসল
সে গেয়ে ওঠে ভূমিহীন কৃষকের গান
ও আমার ঘুম অপ্সরী অষ্টাদশী শৈল্পিক রাতে
আমি অপেক্ষায় আছি দ্বিতীয় চুম্বনের প্রতীক্ষায়।
সে গেয়ে ওঠে ভূমিহীন কৃষকের গান
ও আমার ঘুম অপ্সরী অষ্টাদশী শৈল্পিক রাতে
আমি অপেক্ষায় আছি দ্বিতীয় চুম্বনের প্রতীক্ষায়।
অবুঝ মেয়ে
মোকসেদুল ইসলাম
..........................................
ফুলচন্দন পড়ুক সেইসব ঠোঁটে যারা প্রেমালাপে মেতেছিল একদিন
রক্ত সমুদ্র যদি দ্যায় নগ্ন মরণের ডাক
তবে আমি মিছিলে যাবো প্রিয় ফুল পদতলে রেখে।
মৎস শীৎকারে থমকে দাড়ায় যেসব পুরুষ তাদের প্রতি সমবেদনা।
ফুলচন্দন পড়ুক সেইসব ঠোঁটে যারা প্রেমালাপে মেতেছিল একদিন
রক্ত সমুদ্র যদি দ্যায় নগ্ন মরণের ডাক
তবে আমি মিছিলে যাবো প্রিয় ফুল পদতলে রেখে।
মৎস শীৎকারে থমকে দাড়ায় যেসব পুরুষ তাদের প্রতি সমবেদনা।
চেতনার গভীরে বাসা বাঁধে সব ঘাতকের প্রেমিকার দল
কেউ কেউ মৃত্যু বয়স নিয়েও দেখায় কুমারীত্বের বাহার
বুকের ক্ষুদ্র কুটিরে রেখেছি যে সুখ সেতো দৃষ্টি সীমার বাইরে
অভিধানে কাঁচা মেয়ে তুমি কি ভালোবাসা বুঝ?
এভাবে আর কতদিন লুকিয়ে রাখবে বুকের স্বর্ণ ভান্ডার।
জলের সাথে প্রেম
মোকসেদুল ইসলাম
.........................................
নৈঃশব্দ্যের ঘোর কেটে গেলে চেনা পাখিও অচেনা লাগে আমার
ফুলপাখি চেনো, অনুভূতিমালা, ভাবনার চোখ?
এসব পথকেন্দ্রিক কথাবার্তা বন্ধ করো এবার।
প্রেম করবো বলে একদিন জল শরীরের সাথে
খুনসুটিতে মেতেছিলাম আমিও
জলের সাথে ভাব- ভালোবাসা করি
তবু বুঝতে পারিনা জীবন নদী।
সাঁতারের সব কৌশল জানা নেই
কাঁটা শরীর নিয়ে পুকুরে নেমেছি মৎসগন্ধ নেবো বলে
সম্মতি দিলে জাগিয়ে দেবো ঘুমিয়ে থাকা দুরন্ত কৈশোর।
.........................................
নৈঃশব্দ্যের ঘোর কেটে গেলে চেনা পাখিও অচেনা লাগে আমার
ফুলপাখি চেনো, অনুভূতিমালা, ভাবনার চোখ?
এসব পথকেন্দ্রিক কথাবার্তা বন্ধ করো এবার।
প্রেম করবো বলে একদিন জল শরীরের সাথে
খুনসুটিতে মেতেছিলাম আমিও
জলের সাথে ভাব- ভালোবাসা করি
তবু বুঝতে পারিনা জীবন নদী।
সাঁতারের সব কৌশল জানা নেই
কাঁটা শরীর নিয়ে পুকুরে নেমেছি মৎসগন্ধ নেবো বলে
সম্মতি দিলে জাগিয়ে দেবো ঘুমিয়ে থাকা দুরন্ত কৈশোর।
অর্ধেক নীরবতা অর্ধেক সুখ
মোকসেদুল ইসলাম
............................................
কে তুমি?
রাতঘোরে একাই এঁকে যাচ্ছো দূর্বোধ্য স্বপ্নের পাহাড়
ফুটপাত বিহীন পথে হেঁটে হেঁটে শোনাও ট্রাফিক গান
আমরা তো প্রতিবাদী মানুষ, নরম বালিশে মাথা রেখে
জ্বালিয়ে দিই দিয়াশলাইয়ের শেষ কাঠি।
অচিন পাখিরা জানে শীতপোশাকে তাদের কতটা লাগে ভালো
দৃশ্যের বিপরীতে যে ছবি দেখি সে হলো নিত্যদিনের খতিয়ান
ঠোঁটের ফণায় ছড়িয়ে যাচ্ছে যে সর্বনাশা হাসি সেতো উল্লসিত মৃত্যুর গান
জল স্রোতে ভেসে যাবো বলে অর্ধেক নীরবতা রেখেছি তোমার জন্যেও।
রক্তের রং লাল হয জেনেও কুমারী বুকে ঠাঁই দিয়েছো যাকে সে তো
চির শুদ্ধ তাপস নয় ভীরুতার পোশাক পড়ে বাজিয়ে যাচ্ছে কষ্ট পিয়ানো
বিষাদের ঢেউগুচ্ছ বুকে টেনে নিলে নদী শান্ত হয়ে যায় বলে
তখন আর মঙ্গল প্রদীপ ঘরে জ্বালানোর প্রয়োজন নেই।
আমার ঈশ্বর বিশ্বাসী মা
মোকসেদুল ইসলাম
.......................................
আমার ঈশ্বর বিশ্বাসী মা বলতেন- ‘দূরত্ব রাখতে নেই’, স্পর্শ করতে না পারার যন্ত্রণা বুঝতেন বলেই হয়তো আমার মেঘবেলায় চৌকাঠ পেরোনো আগেই বুকে ফুঁ দিতেন। এখন আমার পাখিবেলা, গাঙচিল সময় রুপোলি পর্দায় দেখি অদ্ভুত পৃথিবীর ছবি। নির্জলা সময়ে যে নৈবেদ্য সাজিয়েছি দেবতালয়ে তা জ্বলে যাচ্ছে সূর্যতাপে। মাতাল স্বপ্ন নিয়ে যখন সমুদ্রের ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম তখনও আমি নারীর বাহুমূলে বাঁধা। ঘামসিক্ত রাতে গোপন পরীক্ষায় জন্ম নেয় যে দেবশিশু আমরা তাঁর পোস্টমর্টেম করতে বসি। কি আশ্চর্য সময়, বিবর্ণ বাঁশির ফুৎকারে উড়িয়ে দিচ্ছি সমস্ত অর্জিত পাপ। পেটের ভূগোল সবসময় নিয়ম মেনে চলে না, মানুষের বিরুদ্ধে মিছিলে নামতে পারে যেকোন সময়। সম্ভাবনার আত্মহননে যারা দিচ্ছে তিমির বিদারী ডাক চলো সেই পথে চলি। বিচ্ছেদ বিরহে পড়ে থাক লৌকিকতার খাম।এবার তবে উপসংহার টানি, আমার ঈশ্বর বিশ্বাসী মা বসে আছেন অপেক্ষায়।