পাবলো
দীপ রায়
সাদা
ল্যান্ডস্কেপে দুটো-তিনটে
তুলির আঁচড়
আজ আমার শীতঘুম কার্যত ভেঙে চলে যায়
একটা কমলালেবু রোদ আচ্ছন্ন করে ফেলে আমাকে
সেই মুহূর্তে ঈশ্বর বোধহয় পাশ ফিরে শুয়েছিল
আজ আমার শীতঘুম কার্যত ভেঙে চলে যায়
একটা কমলালেবু রোদ আচ্ছন্ন করে ফেলে আমাকে
সেই মুহূর্তে ঈশ্বর বোধহয় পাশ ফিরে শুয়েছিল
আরও
সেই মুহূর্তে, আমার
চোখে ভেসে আসে এক দৃশ্য
বিদেশবিভুঁইয়ে কোনো এক কফি-শপে পাবলো তুই বসে আছিস একা, স্থির, চিন্তাশীল
পরবাস তোকে সর্বাঙ্গে গ্রাস করেছে জানি
তুই আজ ছাপোষা জীবনের পাঁচিল পার করা প্রগতিশীল পৃথিবী যার দিকে আমি সন্তর্পণে চেয়ে থাকি
সন্তর্পণে, পাছে চোখ না ঝলসে যায়
বিদেশবিভুঁইয়ে কোনো এক কফি-শপে পাবলো তুই বসে আছিস একা, স্থির, চিন্তাশীল
পরবাস তোকে সর্বাঙ্গে গ্রাস করেছে জানি
তুই আজ ছাপোষা জীবনের পাঁচিল পার করা প্রগতিশীল পৃথিবী যার দিকে আমি সন্তর্পণে চেয়ে থাকি
সন্তর্পণে, পাছে চোখ না ঝলসে যায়
আর
এই ক্রমাগত চেয়ে থাকার অন্তরে বিঁধে থাকে এক টুকরো আশা
পাবলো, তুই ফিরে এসে একদিন
হাত রাখবি আমার কাঁধে
________________________________________
পাবলো, তুই ফিরে এসে একদিন
হাত রাখবি আমার কাঁধে
________________________________________
অগোচরে
দীপ রায়
প্রতিটা
পথের কিনারেই থাকে
একটি একাকী দামাল নদী
একটি একাকী দামাল নদী
রন্ধ্রে
রন্ধ্রে নোনা বিষ নিয়ে
তবু কি ভীষণ নাছোড়বান্দা পারাপার
তবু কি ভীষণ নাছোড়বান্দা পারাপার
আমাদের
যে ভিজতে বড় ভয় আজও
বন্ধু একটি সুড়ঙ্গের সন্ধান চাই
বন্ধু একটি সুড়ঙ্গের সন্ধান চাই
_____________________________________
মাছওয়ালা, বরফকুচি ও
আমি
বরফকুচি
দাও,
আমায় কয়েকটি বরফকুচি দাও
আধ-পোড়া দেশলাইয়ের ছোঁয়াচে আগুন
নির্বিগ্নে ছুটে গেছে আমার বুকের ওপর দিয়ে
ও মাছওয়ালা,
আমায় কয়েকটি বরফকুচি দাও
উত্তর মেরু কয়েক হাজার মাইল দূর
আমায় কয়েকটি বরফকুচি দাও
আধ-পোড়া দেশলাইয়ের ছোঁয়াচে আগুন
নির্বিগ্নে ছুটে গেছে আমার বুকের ওপর দিয়ে
ও মাছওয়ালা,
আমায় কয়েকটি বরফকুচি দাও
উত্তর মেরু কয়েক হাজার মাইল দূর
ধারালো
বঁটিতে তুমি রোজ মুণ্ডুছেদ করো
বরফ-কনায় লেগে থাকে রুপোলি আঁশগুলো
সেই কয়েকটি বরফকুচি আমাকে দাও
ও মাছওয়ালা
আমি ছাইমাখা হৃদয়ে আধশেষ দেশলাইটি নেভাবো এবার
বরফ-কনায় লেগে থাকে রুপোলি আঁশগুলো
সেই কয়েকটি বরফকুচি আমাকে দাও
ও মাছওয়ালা
আমি ছাইমাখা হৃদয়ে আধশেষ দেশলাইটি নেভাবো এবার
_________________________________________
ভ্রান্তি
দীপ রায়
ইতিহাস
বলবে টিপ্ অফ অ্যান্ আইসবার্গ
আমি দেখতে পারছি পাহাড়-চূড়া দিয়ে ধেয়ে আসছে তোর একরাশ জমাট বিষাদ
গলিত, পচনশীল
সময়ের বেগে শুকনো রক্তের-ছোপ লাগা
ক্রমশ্য খাদের কিনারে গড়িয়ে যাচ্ছিস আজ
আমি দেখছি, গভীর থেকে গভীরতর,
এ যেন তোরই কাঙ্খিত কোনো ধুলোমাখা অবসান
আমি দেখতে পারছি পাহাড়-চূড়া দিয়ে ধেয়ে আসছে তোর একরাশ জমাট বিষাদ
গলিত, পচনশীল
সময়ের বেগে শুকনো রক্তের-ছোপ লাগা
ক্রমশ্য খাদের কিনারে গড়িয়ে যাচ্ছিস আজ
আমি দেখছি, গভীর থেকে গভীরতর,
এ যেন তোরই কাঙ্খিত কোনো ধুলোমাখা অবসান
আজ
খালি একটাই প্রশ্ন জাগে,
কবে নিঃশব্দে গড়েছিলি রে তুই চাপাতন্ত্রের কবরস্থান ?
কবে নিঃশব্দে গড়েছিলি রে তুই চাপাতন্ত্রের কবরস্থান ?
_________________________________________
দরজা
দীপ রায়
যদি
আসতে চাও, ভিতরে
এসো
কেবল চৌকাঠে দাঁড়িয়োনা
যদি যেতে চাও, তাও যাও
শুধু মুখ ফিরিয়ে তাকিয়োনা
কেবল চৌকাঠে দাঁড়িয়োনা
যদি যেতে চাও, তাও যাও
শুধু মুখ ফিরিয়ে তাকিয়োনা
যা
ইচ্ছে হয় করো
শুধু রেখোনা কোনো তাক্ষনিক মতান্তর
দ্রুতগামী মুহূর্তরা বড় অনিয়ন্ত্রিত
জেনো বাকি ইতিহাস অবান্তর
শুধু রেখোনা কোনো তাক্ষনিক মতান্তর
দ্রুতগামী মুহূর্তরা বড় অনিয়ন্ত্রিত
জেনো বাকি ইতিহাস অবান্তর
যদি
আসতে চাও ভিতরে এসো
নিয়ে পুনরাবৃত্তি, সেতুবন্ধন
যদি যেতে চাও, তাও যাও
পেড়িয়ে স্মৃতিমিছিল, পিছুটান
_________________________________________নিয়ে পুনরাবৃত্তি, সেতুবন্ধন
যদি যেতে চাও, তাও যাও
পেড়িয়ে স্মৃতিমিছিল, পিছুটান