মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০১৬

হাসিদা মুন




ইতিমধ্যে
হাসিদা মুন

ইতিমধ্যে নির্জীব পরাগ উড়েছে জীবন বানাতে
ইতিমধ্যে প্রজাপতি গুঁটি কেটে দিচ্ছে ঝাপটানি
নতুন জন্মানো শিশু বুঝেছে জঠরের প্রেম ব্যাখ্যা
মায়েদের কণ্ঠ চিনেছে নিজ পরিচয় দেখা
.
ইতিমধ্যে নিরবধি বয়ে চলেছে নদী
বিষধর ক্ষুদ্র সর্পবিশেষ সেও চিনেছে ফণা
জন্মানো শিশু চিনেছে স্তন
জীবন বাঁচানোর তাগিদে পাওনা
.
ইতিমধ্যে নতুন শাখা পাইন গাছ আমার শরীরে
দক্ষিণ হাওয়ায় করে যাই বেশ- উড়োউড়ি
পাতার উপর পাতায় বেরিয়েছে কিছু  প্রেম নামক-  মঞ্জুরী ............








সত্যরাও এখোনো সত্যি নয়
হাসিদা মুন

সব সত্য, বা পুরোপুরি সত্যরাও এখোনো সত্যি নয়
যে ভাবে সত্য যতটুকু জানি
মুখের উপর ধরপাকড় হলে পরে বেরিয়ে আসলে
কিম্ভূত দেখাবে সেসব সঞ্চয়

হতে পারে সে আরেক রকমের কিছু কিংবা কেঊ
আদি থেকে এ পর্যন্ত যা জানাজানি হয়েছে
সেসব যথাযথ জেনে গেলে মিলিয়ে মিলালে
পরম কোন সত্যের গায়ে ফুটকী দাগ দেখা দেয়

জানবার শেষাংশে এ সত্য সে সত্য ঘেঁটে জেনে গেলে
শরীরের নাতিশীতোষ্ণ প্রান্তর চেঁচিয়ে বলে
পক্ষের মধ্যেই পায়চারী করে যাও

মেনে নাও !!!
 শতাব্দী বাতিল করা পরাজয় ......................








এখন এবং তারপর
হাসিদা মুন

তখন এক 'এখন' নামের সময় ছিল
এবং এক তারপরছিল ...
এখন এখানে কিছু লাল নীল আঁচলে পাড় বোনা হবে
জীবন পূর্ণ সবুজ ভূমি বিছিয়ে তাঁকে আমন্ত্রণ জানাবে
রূপালী শাখায় নদী বয়ে যায়
সূর্যের চুমু দেয়া দিগন্ত রেখা পর্যন্ত
এক সময় মরুভূমিও মুকুলিত ছিল
অবশ বীজ পত্র পল্লবে সাজানো ছিল
বৃষ্টির শোরগোল সৃষ্টি সেবায় মত্ত ছিল
জীবনের চমকপ্রদ স্পর্শতে স্পন্দনশীল হয়েছিল
সচেতন জীবন নিজেই নিজেকে প্রকাশ করেছিল
অসীম প্রণয়ে উড়নচণ্ডী ঠোঁটে কাছে ডেকেছিল
শ্লীলতামোচন তারপর’ ...
বিশ্বাসহনন বিচ্ছেদে
কষ্টের কান্ডে কাঁটা বেরিয়ে এলো
পথ কৌশল বলে দিলো
এখানে বহুমূল্য মাটি ফেটে যায়
এখানে সবুজ ধূসর হয়
এখানে রহস্যময় প্রেম আমন্ত্রণ জানিয়ে দূরে সরে থাকে
রাত নামলে সমুদ্রের জল রঙ বদলায়
নদী বাঁক বদলায়
উদিত সূর্য দিক বদলায়
ইন্দ্রিয় প্রস্থ প্রান্তে রুপ বদলায়
সময় নতুন কিছু তারপরমেনে নিলো
নাহ ! এখানে বিনাশহীন এখনআর নয় ......









সমূলে অপর্যাপ্ত
হাসিদা মুন

সারা ব্রহ্মাণ্ড সঙ্গমরত
পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময় প্রাণরস যত

সাগরে - মোহনা
মনে -চেতনা
চোখে -দৃষ্টি
ভূমিতে -বৃষ্টি
হৃদপিণ্ডে - রক্ত
লাজে -আরক্ত
ফুসফুসে - শ্বাস
মেঘে - আকাশ
কলমে - লিখনি
কত্ত কি জানি !

পারঙ্গমে নিয়ামক শত
ধরে আছে সক্ষমতা - সমূলে অপর্যাপ্ত ...............







একি সেই
হাসিদা মুন

একি সেই
যা বলতে নেই
বললেই কালা পানি ফাঁসি হয়ে যাবেই
না বলা কথা বুঝে নিতে হয়
মুখে আনতে নেই
-
একি সেই
যা দেখে বিমোহিত হতে হয়
ভাষায় প্রকাশের উপায় নেই
ভাবে ভাব মুড়ে রেখে দিতে হয়
খুলিবার ফুরসৎ নেই
-
একি সেই
যা দেখতে চাই অবিরাম
জপে যাই নাম
নিশিদিন কেটে যায় মুহূর্তের অভিমানে
আকাশ ভেঙ্গে আনে
-
একি সেই
গোঁড়ামিমুক্ত বানান শৈলীতে আধুনিক প্রবণতা
সুন্দর সব একযোগে অদ্ভুত সচেতনতা
চোখের পাতা 'ঝাপটানি
এক প্রহর না কথা হলেই অভিমানি
মনে হয় নেই ...............নেই


কোথাও কিতসু আর নেই ......... একি সেই ?