সিগনেচার
স্টাইল
মণিজিঞ্জির সান্যাল
জীবনের রঙ ভেন্টিলেশনে
পড়ে থাকা এক
শরীর
থাকা আর যাওয়ার মাঝামাঝি
নড়বড়ে এক
সেতু
বিদ্বেষ বিভক্তি আর বৈরী
সময়ের
যন্ত্রণার মাঝে
তবুও বাঁচিয়ে রাখি
অসম্পূর্ন
সহস্র মীড়
বেঁচে থাকে আমার অস্তিত্ব
নিজস্ব
সিগনেচার স্টাইল
অধরা
মণিজিঞ্জির
সান্যাল
একটা বৃষ্টির
ফোঁটা
আমার চিবুক স্পর্শ করে ঠিক ততোটাই
যতটা একটা
বুভুক্ষু পেট ভরে খেতে চায়
কোনো একটা দিন
একটা শূন্যতার মধ্যে আরো একটা শূণ্য
ততোটাই জায়গা করে নেয়
যতটা শূণ্য হলে আরো একটা হৃদয়কে চেনা যায়
শূণ্যতর থেকে
জীবনের গান ঠিক সেভাবেই গাওয়া যায়
যদি সেই গানে
কোনো
হিসেবের কানাকড়ি চিহ্ন না থাকে
একটা কবিতার ঠিক
ঠিক জন্ম হয় তখনই
যখন কবিতার বাঙ্ময় অধরা থেকে যায়
কবির
কল্পনায় .......................
দীর্ঘরেখা
মণিজিঞ্জির
সান্যাল
নৈঃশব্দ মোড়া জঙ্গল, চা বাগান
রাত গভীর ,
নিস্তব্ধ নিশ্চুপ
তোমার শরীরী ঘ্রাণ, নিভৃত আলাপন
জ্যোতস্নার
চাঁদ যেন নতুন
কথা না বলা , বেশী বলা
ধীরে ধীরে খাদ
বেয়ে , অতি ধীরে
প্রিয় যা পাতার প্রান্তরে ঘুমোচ্ছে রাতের ঘুম
জঙ্গল থেকে
জঙ্গলে
কুয়াশার চাদর
সরিয়ে
নিষ্পাপ
আকর্ষণ
আমার ভালোবাসা
আমার অভিমান
হাতির দঙ্গল তখন কুয়াশা গায়ে নিশিযাপন
বড়ো আপন এই সময়
কোমল স্পর্শ
ভালোবাসা
বনে আঘাতের
প্রতিশব্দ নেই
নেই হিংসা
প্রতিহিংসার দাবানল
জ্যোতস্না মাখা শরীর
বিন্দু বিন্দু
শিশির
স্থির দাঁড়িয়ে
আমার পাশে
প্রিয় প্রহরী
দীর্ঘরেখা
আমি একা নই
লাল
গোলাপ
মণিজিঞ্জির
সান্যাল
গোপনীয়তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে কিছু শূণ্য খাম
বহু যুগের ওপারে যে আমার উত্তরপুরুষ
খুঁজে দেখবে কি
আমার গোপনীয়তাকে
আমার ভালবাসাকে
ভালোবাসা কি জানে বিবর্তনের তত্ত্ব!
দেরাজে লুকিয়ে আছে
গোলাপি পাতাগুলো
সলজ্জ ভঙ্গীতে
নিজের মতো করে
বিবর্তনের
ইতিহাস বহন করে।
আমি নিশ্চিত নই তাই জানতে চাই বারবার
ভালোবাসা কি
বিবর্তনের তত্ত্ব
জানে ?
বহু যুগের ওপারে
যে আমার
উত্তরপুরুষ
সত্যিই খুঁজে দেখবে
কি
গোপনীয়তা বেঁচে আছে
কিনা ?
চুম্বন
মণিজিঞ্জির
সান্যাল
পৌঁছে গেছি নীল সমুদ্রের ঢেউ এর কাছে
সূর্যাস্তের খুব
কাছাকাছি
ওষ্ঠতে ওষ্ঠ
কোনো কথা নয়
শুধু নিস্তব্ধতা
অন্তত কল্পনায়
একবার