শনিবার, ২১ মে, ২০১৬

কুমারেশ তেওয়ারী



আয়না
কুমারেশ তেওয়ারী

ভেঙ্গ পড়ার মুহূর্ত আগে আয়না লুফে নিচ্ছে প্রতিবিম্ব
আমার ভেঙ্গে গেলে কিভাবে বাইসনের লড়াই
দেখতে দেখতে দৃষ্টি ফেরানো আন্তরিক হরিণীর দিকে
অলীক নদীর ঢেউ নয় চারুশিল্পে বন্দী করবো বলে
পরিস্কার রেখেছি দেয়াল প্রেমভাস্য
#
রঙবাজী যে কোনো শব্দ হতে পারে শোনেনি ব্যালকনি
বরঞ্চ ছেঁড়া জামা পরে সকাল কাছে এসে দাঁড়াতেই
রিফু করে দিচ্ছে আঙুল ঘোড়ার কেশরে
খুঁজছে নক্ষত্রের মালা
যেখানে ফসিল হতে বসা সোহাগস্পর্শ নিয়ে আদি কথপোকথন
টানাপোড়েনর শেষে মিলন চাইছে অতৃপ্ত পরাগ
#
কিছু কিছু কুয়াশা মেফিস্টোফিলিসের মতো
নরক দেখেবেই বলে ছিঁড়ে দিয়ে বিনিসুতোর মালা
গড়ে তোলে কালবৃত্ত
তবুও আয়না শব্দহীন শুধু মুছেই চলে
অলীক বিজ্ঞাপন






কুয়োতলা
কুমারেশ তেওয়ারী

কুয়োতলা দিয়ে যেতে যেতে লেবুর মনকেমনকরা গন্ধে
বাতাসের খুব সরবত পিপাসা পায়
অথচ লেবুরও যে সংগীতের নিজস্ব ঘরানা আছে
এবং তা লোকোসংগীত গত
সে বিষয়ে জানার প্রয়োজন মনে করেনি
পরিযায়ী
বাতাস আইসক্রীমের রেসিপীর খোঁজ নিতে যায়
মিসেস রায়ের বাড়ি
অথচ প্রদীপের তলার অন্ধকার বিষয়ে
উদাসীনই রয়ে গেল চিরটাকাল
#
এই যে এখন একটি স্থলশামুকি অভিসারে
চলেছে তার পুরুষের দিকে
আর বাতাস খোঁজ করছে রম্যশালার
যেখানে ক্যাথেটার নিয়েও কেউ অলীক ভাবছে
মহাজাগতিক করিডোরে ভারশূন্য ভেসে থাকার
অর্থহীন মজা
#
স্থলশামুকের সীমিত ভাণ্ডার থেকে রেখে যাওয়া
পিচ্ছিল রসে মুখ ঘষছে এসে কক্ষপথ
যেখানে কুয়াশা রাখেনি কোনো রিবনের খেলা
------------------------------------------------------






চড়ুইভাতি
কুমারেশ তেওয়ারী

এভাবেই ভেসে যেতে যেতে থমকে দাঁড়ায় মেঘ
কত কিছু দেখে
#
অসংখ্য দেয়াল আর গাঁথা হচ্ছে আরও
কোথাও দেয়ালে বসে নিজেরই মাংসের দিকে
লোভি চেয়ে আছে কাক
#
মেট্রো স্টেশনের সিঁড়ি বেয়ে নেমে যাচ্ছে
তালঢ্যাঙা আত্মহত্যা প্রবণতা
কোথাও উপমেয়কে চিবিয়ে খাচ্ছে উপমা
আর ঘিলুর পাগলামো শুনতে শুনতে হেলমেট
খুলে দিচ্ছে ডানা, যাজকের ডাকও
ফেরাতে পারবে না আর তাকে
#
এইসময় আত্মনিবেদনই পারে এঁদো গলিতে আলো ফেলতে
একথা ভাবতে ভাবতে মেঘ দেখে আম্বেদকারের স্ট্যাচুতে
ক্যাকটাসের কাঁটা ফুটিয়ে দিচ্ছে মরুভূমি
#
আর গলগল রক্ত নাচতে নাচতে ছুটে যাচ্ছে
আর্ট গ্যাল্যারির দিকে, খুঁজছে ফাঁকা ক্যানভাস
----------------------------------------------------------






রাস্তা
কুমারেশ তেওয়ারী

রাস্ত সম্বন্ধীয় প্রশ্নে বুলডোজারেরও
চোখের জিভে লজ্জা,হেসে ওঠে প্রত্নবিদ্যা
#
ও দয়াল সুতো কি রেখেছ দিয়ে গিঁট
দয়ালু আঙুলে? প্রপঞ্চময় খেলালে কত
বঁড়শির টোপ
সাবানের ফেনা মেখে রয়েছি ফেনিল!
#আমি কি বেড়াল তবে চেয়ে আছি, শিকে
ছিঁড়ে যদি নেমে আসে রোদ রঙমিলান্তির
শীতকাল টুপি নিয়ে আসেনি কখনও, হিম
নাসারন্ধ্রে ঢুকে দেখে আগাপাশতলা মাটি
কতটা নরম হাড়মাস
রেজারেকশান কতকাল দাঁড়িয়ে রয়েছে চৌকাঠে
#
আমাকে ফ্যালনা ভেবে চলে গেছে বুঝি
সাইকেল? মাঝরাস্তায় পাংচার
বৃন্দগান মরে গেছে ভেবে আঙুলের কাছে পেয়ে
ছুঁড়ে দিলে জাল টার্গেটের দিকে! নেমে আসা অন্ধকারে
মাখামাখি হতে হতে আমিও ভেবেছি কিছু
ছুঁড়ে দেব খিস্তিখেউড়
তোমার ও ভেজা তবকে যেন ফুটে ওঠে বিজ্ঞাপন
রাস্তা কারও বাপের নয়
#
রাস্তাও জানোনা?