মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২০

লক্ষ্মী নন্দী


লক্ষ্মী নন্দী

সমুদ্র পুরুষ

যাদু  শিল্পী তুমি।
যে, অন্ধকারের
মধ্যে এসে  ছিলে 
অকম্প ঝিলিক
আহা অপরূপ ।
প্রথম দেখেই 
তুমুল উল্লাসে
ভেঙ্গেছি নিজেকে
আজও আমার
চোখে তোমারই
ছায়া তোমারই
স্নিগ্ধ প্রস্তাব।
আহা বহুরূপী
বেঁচে থাকারই
সঞ্জীবন ওগো
তোমার ইশারা
অনুপস্থিতিতে
নিশ্বঃ হয় আমার
অপেক্ষার  দৃষ্টি
আসলে জেগে বা
ঘুমিয়ে তোমাকে
ছাড়া আর আমি
থাকতে পারিনা।








সমুদ্র পুরুষ ২

হে সমুদ্র পুরুষ তোমাতেই
আচ্ছন্ন  মহীত হয়েছিলাম
প্রথম সেদিন  নিশিভর
লেপ্তে থেকেছি।
তারপর ঢুকে পড়েছিলে
আমার  দাম্পত্যের ফুল
বিছানো সয্যায়।
বাল্য, কৈশর, যৌবন শেষে
আজও অবিরাম আমার
হৃৎপিণ্ডে তোমার  নিত্য ওঠা বসা।
তুমি আমার গোপন অহংকার।
যার সাথে সবার  অলক্ষে
অনেক সত্যের উপরে গাঢ় প্রলেপ
দিয়ে শুয়ে থাকি কুয়াশাময় বিছানায়।
তোমার যাওয়া আর ফিরে ফিরে
আসার মাঝে আমার ইচ্ছেগুলো
কথা হতে থাকে প্রতিনিয়ত।








সমুদ্র পুরুষ ৩
    
হে সমুদ্র পুরুষ, হে  অতনু
তুমি এই নিশীথ রাতে নিকষ
অন্ধকারের বুক ভেদ করে
কীভাবে নিয়ে এলে???!!
আদিম ব্রম্ভ্র বৃক্ষের শাখা।
এ যে অসম্ভব ছায়া তোমার
এত সন্তর্পণ  , এত সংযমী
এত শান্ত, এত বোধ, চেতনা
এ যে ঈশ্বরেরই প্রকৃত রূপ।
কিভাবে ধ্যানমগ্ন উল্লাসে এমন
সহজ আচরণে, নির্ভুল স্কেচে
স্বরলিপি বুনে দিলে তন্দ্রায় ।